বাজেটে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার by আজমাল হোসেন মামুন
২০১১-১২ অর্থবছরের জাতীয় রাজস্ব বাজেট কিছুদিন পরই ঘোষণা করা হবে। এবারের বাজেটকে প্রতিবন্ধীবান্ধব হিসেবে দেখার জন্য বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, আমাদের দেশে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে।
সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত দেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গণ্য করে বিগত কয়েক অর্থবছর থেকে তাদের প্রতি একটু সুনজর দিয়েই বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
বিগত কয়েক বছরের বাজেট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ক্রমে বাড়ছে প্রতি বছর। অন্যদিকে বিভিন্ন কারণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংখ্যাও বাড়ছে।
আগের বাজেটকে বিশ্লেষণ করলে এটি স্পষ্ট যে, প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। আয়বর্ধকমূলক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত না করলে তারা মর্যাদা ও সব আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকবে। সে জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হবে তার ১৫ ভাগ প্রতিবন্ধীদের মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষ মানবসম্পদরূপে গড়ে তুলতে হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্ব-সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অর্থাৎ ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বাজেটে বরাদ্দ দিতে হবে, যা কেবল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্ব-সংগঠন ও তাদের সদস্যদের শক্তিশালী করতে ব্যয় হবে।
আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সমস্যার সীমা নেই। তবে যেসব সমস্যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা তা হলো_ তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকারের অভাব, নির্মাণ-কাঠামোগত পরিবেশ ও জনপরিবহনগুলোতে অভিগম্যতার অভাব, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্ব-সংগঠন কাঠামো দুর্বল, সক্ষমতা উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং দীর্ঘস্থায়ী জীবিকা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব। ফলে বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সব উন্নয়ন খাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করা যেমন উচিত, তেমনি জাতীয় ব্রেইল প্রিন্টিং প্রেস ও ইশারা ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশগম্যতা যুগোপযোগী, সহায়ক উপকরণ উৎপাদন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য যানবাহনকে উপযুক্ত করার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা যুক্তিযুক্ত। গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য 'গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিনিবাস' স্থাপনের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা দরকার। এছাড়া জাতীয় বাজেটে এর সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাসহ জবাবদিহিতা ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে দেশের যেমন উন্নয়ন হবে দ্রুত, ঠিক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীও আশার আলো দেখতে পারবে। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি কামনা করছি।
হ দক্ষিণখান, উত্তরা, ঢাকা
বিগত কয়েক বছরের বাজেট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ক্রমে বাড়ছে প্রতি বছর। অন্যদিকে বিভিন্ন কারণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংখ্যাও বাড়ছে।
আগের বাজেটকে বিশ্লেষণ করলে এটি স্পষ্ট যে, প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। আয়বর্ধকমূলক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত না করলে তারা মর্যাদা ও সব আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকবে। সে জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হবে তার ১৫ ভাগ প্রতিবন্ধীদের মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষ মানবসম্পদরূপে গড়ে তুলতে হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্ব-সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অর্থাৎ ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বাজেটে বরাদ্দ দিতে হবে, যা কেবল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্ব-সংগঠন ও তাদের সদস্যদের শক্তিশালী করতে ব্যয় হবে।
আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সমস্যার সীমা নেই। তবে যেসব সমস্যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা তা হলো_ তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকারের অভাব, নির্মাণ-কাঠামোগত পরিবেশ ও জনপরিবহনগুলোতে অভিগম্যতার অভাব, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্ব-সংগঠন কাঠামো দুর্বল, সক্ষমতা উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং দীর্ঘস্থায়ী জীবিকা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব। ফলে বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সব উন্নয়ন খাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করা যেমন উচিত, তেমনি জাতীয় ব্রেইল প্রিন্টিং প্রেস ও ইশারা ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রবেশগম্যতা যুগোপযোগী, সহায়ক উপকরণ উৎপাদন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য যানবাহনকে উপযুক্ত করার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা যুক্তিযুক্ত। গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য 'গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিনিবাস' স্থাপনের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা দরকার। এছাড়া জাতীয় বাজেটে এর সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাসহ জবাবদিহিতা ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে দেশের যেমন উন্নয়ন হবে দ্রুত, ঠিক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীও আশার আলো দেখতে পারবে। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি কামনা করছি।
হ দক্ষিণখান, উত্তরা, ঢাকা
No comments