ডাচ রাজপরিবার সবচেয়ে খরচে
ইউরোপের রাজপরিবারগুলোর মধ্যে নেদারল্যান্ডসের রাজপরিবারই সবচেয়ে বেশি খরচ করছে। গত বছর খরচের দিক থেকে ব্রিটিশ রাজপরিবারকেও ছাড়িয়ে গেছে তারা। ডাচ রানি বিয়েত্রিচ ও তাঁর সন্তান-সন্ততীরা গত বছর প্রায় তিন কোটি ১০ লাখ পাউন্ড খরচ করেছেন। পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্রপ্রধানদের খরচ বিষয়ে এক গবেষণার পর
বেলজিয়ান শিক্ষাবিদ হেরমান ম্যাথিস একথা জানিয়েছেন। তবে খরচের দিক থেকে ইউরোপে রাজপরিবারগুলোর মধ্যে সবার ওপরে থাকলেও ডাচ রাজপরিবারের খরচ আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে ম্যাথিসের হিসাবে ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দ। এলিসি প্রাসাদের জন্য গত বছর খরচ হয়েছে আট কোটি ৭২ লাখ পাউন্ড।
বেলজিয়ামের জেন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেরমান ম্যাথিস ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের খরচবিষয়ক তাঁর ষষ্ঠ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন সম্প্রতি। তিনি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সায়েন্স অ্যান্ড পাবলিক ফিন্যান্স বিষয়ে পড়ান। রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক ব্যয়-সংক্রান্ত বিভিন্ন তালিকার ভিত্তিতে তিনি এই গবেষণা চালিয়েছেন। তবে ইউরোপীয় রাজপরিবারগুলোর নিরাপত্তা বাবদ খরচ ও ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে আসা আয় এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ম্যাথিস জানান, ব্যয়সঙ্কোচন নীতির কারণে গত বছর ইউরোপের প্রায় প্রতিটি রাজপরিবারের খরচই কমেছে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের খরচ প্রায় ১৬ শতাংশ কমেছে। ২০১০ সালে যেখানে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তিন কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড খরচ করেছেন, সেখানে গত বছর তাঁদের খরচ নেমে এসেছে দুই কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ডে।
নেদারল্যান্ডসের রাজপরিবার গত বছর তিন কোটি সাত লাখ পাউন্ড পরিমাণ খরচ করেছে। রানি বিয়েত্রিচের ব্যক্তিগত এক কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড পরিমাণ খরচও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্পেনের রাজপরিবারের তুলনায় এই খরচ প্রায় চারগুন বেশি। রাজপরিবারের খরচ নেদারল্যান্ডসের করদাতাদের ওপরও ব্যাপক চাপ তৈরি করেছে। কারণ, নেদারল্যান্ডসের জনসংখ্যা স্পেনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
তবে রানি বিয়েত্রিচ অবশ্য তাঁর ছয় লাখ ৪৭ হাজার পাউন্ড পরিমাণ বাৎসরিক ভাতা কমানোর কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্বে যুক্ত থাকার কারণে তিনি এই ভাতা পান। স্পেনের রাজা হুয়ান কার্লোস তাঁর চেয়ে তিনগুন বেশি ভাতা পান। তবে ইউরোজোন ঋণ সংকটের শিকার স্পেনের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে গত বুধবার কার্লোস তাঁর ও তাঁর ছেলে প্রিন্স ফেলিপের ভাতা সাত শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
গত বছর প্রায় আট কোটি ৭২ লাখ পাউন্ড খরচের কারণে ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদ ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের ব্যয়ের তালিকায় শীর্ষে চলে এসেছে। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
তবে ম্যাথিসের হিসাবে ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দ। এলিসি প্রাসাদের জন্য গত বছর খরচ হয়েছে আট কোটি ৭২ লাখ পাউন্ড।
বেলজিয়ামের জেন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেরমান ম্যাথিস ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের খরচবিষয়ক তাঁর ষষ্ঠ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন সম্প্রতি। তিনি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সায়েন্স অ্যান্ড পাবলিক ফিন্যান্স বিষয়ে পড়ান। রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক ব্যয়-সংক্রান্ত বিভিন্ন তালিকার ভিত্তিতে তিনি এই গবেষণা চালিয়েছেন। তবে ইউরোপীয় রাজপরিবারগুলোর নিরাপত্তা বাবদ খরচ ও ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে আসা আয় এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ম্যাথিস জানান, ব্যয়সঙ্কোচন নীতির কারণে গত বছর ইউরোপের প্রায় প্রতিটি রাজপরিবারের খরচই কমেছে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের খরচ প্রায় ১৬ শতাংশ কমেছে। ২০১০ সালে যেখানে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তিন কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড খরচ করেছেন, সেখানে গত বছর তাঁদের খরচ নেমে এসেছে দুই কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ডে।
নেদারল্যান্ডসের রাজপরিবার গত বছর তিন কোটি সাত লাখ পাউন্ড পরিমাণ খরচ করেছে। রানি বিয়েত্রিচের ব্যক্তিগত এক কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড পরিমাণ খরচও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্পেনের রাজপরিবারের তুলনায় এই খরচ প্রায় চারগুন বেশি। রাজপরিবারের খরচ নেদারল্যান্ডসের করদাতাদের ওপরও ব্যাপক চাপ তৈরি করেছে। কারণ, নেদারল্যান্ডসের জনসংখ্যা স্পেনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
তবে রানি বিয়েত্রিচ অবশ্য তাঁর ছয় লাখ ৪৭ হাজার পাউন্ড পরিমাণ বাৎসরিক ভাতা কমানোর কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্বে যুক্ত থাকার কারণে তিনি এই ভাতা পান। স্পেনের রাজা হুয়ান কার্লোস তাঁর চেয়ে তিনগুন বেশি ভাতা পান। তবে ইউরোজোন ঋণ সংকটের শিকার স্পেনের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে গত বুধবার কার্লোস তাঁর ও তাঁর ছেলে প্রিন্স ফেলিপের ভাতা সাত শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
গত বছর প্রায় আট কোটি ৭২ লাখ পাউন্ড খরচের কারণে ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদ ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানদের ব্যয়ের তালিকায় শীর্ষে চলে এসেছে। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments