৩০ বছরে জমি উদ্ধার ১০ দিনেই ইজারা by অরূপ রায়
ঢাকার সাভার উপজেলা পরিষদের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে বেহাত হয়ে যাওয়া ৬০ শতাংশ পরিত্যক্ত জমি ৩০ বছর পর উদ্ধার করা হয়। এর কয়েক দিনের মধ্যেই তা নামমাত্র মাসুলে ইজারা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দখল বুঝে পাওয়ার পরপরই ইজারাদাররা জমিতে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণের পাঁয়তারা শুরু করেছেন। যদিও শর্ত অনুযায়ী, ইজারা নেওয়া জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণসহ ইজারার সম্পত্তি ভাড়া ও হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বাধানিষেধ রয়েছে।
সাভার উপজেলা প্রশাসন সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির এক আদেশে উপজেলার পূর্বভবানীপুর মৌজার ওই জমি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন খলিলুর রহমান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি তা দখল করে সেখানে ঘরবাড়ি ও দোকান তুলে ভাড়া দেন। পরে জেলা প্রশাসন অবৈধ দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলে তিনি জমির মালিকানা দাবি করে ১৯৮২ সালে আদালতে একটি মামলা করেন। মামলা জটিলতায় উচ্ছেদ অভিযান ঝুলে যায়। ২০০৬ সালে এ জটিলতার অবসান হয়। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় ছয় বছর পর ৫ জুলাই। এই উচ্ছেদের মাত্র ১০ দিনের মাথায় জমি নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কেউ ইজারা নেওয়ার সুযোগ পাননি।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দখলদারদের উচ্ছেদের পর ৯ জুলাই কতিপয় ব্যক্তি ওই জমি ইজারা নেওয়ার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার শেখ জাহিদুল হককে ১২ শতাংশ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের ফারুক হোসেনকে ৪ শতাংশ এবং সাভারের গেণ্ডা এলাকার জালাল উদ্দিন, কুদ্দুছ মিয়া ও রাজাবাড়ির জজ মিয়াকে ১০ শতাংশ জমি এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। প্রতি শতাংশ জমির এক বছরের ভাড়া বাবদ নেওয়া হয় ৮০ টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, ইজারা পাওয়া এ পাঁচজন ক্ষমতাসীন দলের কর্তাব্যক্তিদের নিকটাত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন। তা ছাড়া জমির বাকি ৩৪ শতাংশও একইভাবে ইজারা দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পূর্ব পাশে কাঁটাতার দিয়ে ঘেরাও করে জমির ওপর ইজাদারদের নামসংবলিত সাইনবোর্ড ঝুলছে। এ বেড়ার মধ্যে ইজারার ২৬ শতাংশ জমি ছাড়াও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমিও রয়েছে।
৩০ বছর পর অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় জমি ইজারা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাভারের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু জাফর বলেন, পুনরায় অবৈধ দখল ঠেকাতে তড়িঘড়ি করে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাভার উপজেলা প্রশাসন সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির এক আদেশে উপজেলার পূর্বভবানীপুর মৌজার ওই জমি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন খলিলুর রহমান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি তা দখল করে সেখানে ঘরবাড়ি ও দোকান তুলে ভাড়া দেন। পরে জেলা প্রশাসন অবৈধ দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলে তিনি জমির মালিকানা দাবি করে ১৯৮২ সালে আদালতে একটি মামলা করেন। মামলা জটিলতায় উচ্ছেদ অভিযান ঝুলে যায়। ২০০৬ সালে এ জটিলতার অবসান হয়। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় ছয় বছর পর ৫ জুলাই। এই উচ্ছেদের মাত্র ১০ দিনের মাথায় জমি নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কেউ ইজারা নেওয়ার সুযোগ পাননি।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দখলদারদের উচ্ছেদের পর ৯ জুলাই কতিপয় ব্যক্তি ওই জমি ইজারা নেওয়ার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার শেখ জাহিদুল হককে ১২ শতাংশ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের ফারুক হোসেনকে ৪ শতাংশ এবং সাভারের গেণ্ডা এলাকার জালাল উদ্দিন, কুদ্দুছ মিয়া ও রাজাবাড়ির জজ মিয়াকে ১০ শতাংশ জমি এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। প্রতি শতাংশ জমির এক বছরের ভাড়া বাবদ নেওয়া হয় ৮০ টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, ইজারা পাওয়া এ পাঁচজন ক্ষমতাসীন দলের কর্তাব্যক্তিদের নিকটাত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন। তা ছাড়া জমির বাকি ৩৪ শতাংশও একইভাবে ইজারা দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পূর্ব পাশে কাঁটাতার দিয়ে ঘেরাও করে জমির ওপর ইজাদারদের নামসংবলিত সাইনবোর্ড ঝুলছে। এ বেড়ার মধ্যে ইজারার ২৬ শতাংশ জমি ছাড়াও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমিও রয়েছে।
৩০ বছর পর অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় জমি ইজারা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাভারের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু জাফর বলেন, পুনরায় অবৈধ দখল ঠেকাতে তড়িঘড়ি করে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
No comments