ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন-ধর্মঘট পালিত, ২৯ জুলাই সংহতি সমাবেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ এই কর্মসূচি পালন করে।আন্দোলন সফল করতে শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের সঙ্গে যোগ দেন একাধিক বাম ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
একই দাবিতে ২৯ জুলাই সংহতি সমাবেশের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।
ধর্মঘট চলাকালে ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কিছু বিভাগে ক্লাস হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া, পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলোও হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২২ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ তৈরি করেন। ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে নির্দলীয় এই সংগঠনের ব্যানারে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতেও গিয়েছেন সংগঠনের কর্মীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ভোর পাঁচটার দিকে ধর্মঘট ডাকা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, কার্জন হল, কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের বিভিন্ন ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। একই সঙ্গে তাঁরা বিভিন্ন কক্ষে ঝোলানো তালার ওপর আঠা ঢেলে দেন। এরপর তাঁরা অবস্থান নেন কলা ভবনের প্রধান ফটকে। সেখানে তাঁরা প্রশাসনবিরোধী স্লোগান দেন। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাঁরা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলনকারীরা যেসব ভবনে তালা লাগিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষার স্বার্থে সেসব তালা ভেঙেছে। কর্তৃপক্ষ মনে করে, গণতান্ত্রিক পরিবেশে আন্দোলন হতে পারে। তবে তা কারও স্বার্থে আঘাত হেনে নয়। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদেরই ক্লাস বন্ধ রাখা সমীচীন নয়।
এদিকে আন্দোলনকারীরা দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংগঠনের অন্যতম মুখপাত্র তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নূর বাহাদুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২৯ জুলাইয়ের আগেই ডাকসু নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি। তা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে ১২ জুলাই শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয়। সেখানে দাবি আদায়ে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়সীমা শেষ হলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ১৫ জুলাই দুপুর ১২টায় তারা উপাচার্যের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তবে ওই সময় উপাচার্য তাঁর কার্যালয়ে ছিলেন না।
১৯৯০ সালে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়। এর পরে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাকসু নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
ধর্মঘট চলাকালে ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কিছু বিভাগে ক্লাস হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া, পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলোও হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২২ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ তৈরি করেন। ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে নির্দলীয় এই সংগঠনের ব্যানারে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতেও গিয়েছেন সংগঠনের কর্মীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ভোর পাঁচটার দিকে ধর্মঘট ডাকা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, কার্জন হল, কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের বিভিন্ন ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। একই সঙ্গে তাঁরা বিভিন্ন কক্ষে ঝোলানো তালার ওপর আঠা ঢেলে দেন। এরপর তাঁরা অবস্থান নেন কলা ভবনের প্রধান ফটকে। সেখানে তাঁরা প্রশাসনবিরোধী স্লোগান দেন। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাঁরা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলনকারীরা যেসব ভবনে তালা লাগিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষার স্বার্থে সেসব তালা ভেঙেছে। কর্তৃপক্ষ মনে করে, গণতান্ত্রিক পরিবেশে আন্দোলন হতে পারে। তবে তা কারও স্বার্থে আঘাত হেনে নয়। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদেরই ক্লাস বন্ধ রাখা সমীচীন নয়।
এদিকে আন্দোলনকারীরা দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংগঠনের অন্যতম মুখপাত্র তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নূর বাহাদুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২৯ জুলাইয়ের আগেই ডাকসু নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি। তা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে ১২ জুলাই শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয়। সেখানে দাবি আদায়ে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়সীমা শেষ হলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ১৫ জুলাই দুপুর ১২টায় তারা উপাচার্যের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তবে ওই সময় উপাচার্য তাঁর কার্যালয়ে ছিলেন না।
১৯৯০ সালে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়। এর পরে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাকসু নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
No comments