ছেলের সঙ্গে মায়ের জয় by আজাদ রহমান
ছোটবেলা থেকেই পড়ার প্রতি দুর্বার আগ্রহ ছিল তাঁর। পড়াশোনা করে শিক্ষিত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন ছিল মনে। কিন্তু এসএসসির পাট চুকানোর পরপরই পরিবারের লোকজন তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পর সংসার সামলাতেই চলে যায় ষোলোটি বছর। পড়ার প্রতি সুপ্ত ইচ্ছাটা তবু মরেনি তাঁর।
২০০৮ সালে বড় ছেলের সঙ্গে ফের পড়াশোনা শুরু করেন। দুই বছর পর আবারও এসএসসি পাস করেন তিনি; সঙ্গে ছেলেও। এবার সেই মা এইচএসসিও পাস করলেন। ছেলেও বৈতরণী পেরিয়েছেন ভালোভাবেই। প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তির অধিকারী সেই মায়ের নাম নাসরিন সুলতানা। তিনি এবার কারিগরী শিক্ষাবোর্ড থেকে জিপিএ ৪ দশমিক ৩১ পেয়েছেন। আর ছেলে সোহেল রানা পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৫৪। এই মা-ছেলের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রামে। তাঁরা দুজনেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান।
নাসরিন সুলতানা জানান, তাঁর বাবার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে। ১৯৯২ সালে কালীগঞ্জের জামির হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। তাঁদের সংসারে দুই ছেলে আসে। ওদের বড় করে তুলতেই পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়। শেষে ২০০৮ সালে নাসরিন সুলতানা আবার পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় বড় ছেলে সোহেল রানা নবম শ্রেণীর ছাত্র। আর ছোট ছেলে সজল রানা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। বড় ছেলের সঙ্গে পড়ালেখা শুরু করেন মা। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ভর্তি হন নবম শ্রেণীতে।
নাসরিন আরও জানান, ২০১০ সালে তাঁরা মা-ছেলে এসএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন স্থানীয় মাহতাবউদ্দিন ডিগ্রি কলেজে। তিনি কলেজে নিয়মিত ক্লাস করেছেন। ছেলের সাইকেলে চড়ে কলেজে গেছেন। গৃহশিক্ষকের কাছেও গেছেন একসঙ্গে। এখন স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি হবেন। শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন।
পড়াশোনায় স্বামীর সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্বামী জামির হোসেনের সহযোগিতার কারণেই তিনি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। জামির হোসেন জানান, তাঁর স্ত্রী যখন পড়ালেখা করতে চেয়েছেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে মত দিয়েছেন। এখন স্ত্রীকে স্নাতকে (সম্মান) ভর্তির বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ পৌর শহরের মাহতাবউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নাসরিন শিক্ষিত নারী হতে চান, অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার কারণে যা তিনি হতে পারেননি। আমি আশা করি তাঁর ইচ্ছা পূরণ হবে।’
নাসরিন সুলতানা জানান, তাঁর বাবার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে। ১৯৯২ সালে কালীগঞ্জের জামির হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। তাঁদের সংসারে দুই ছেলে আসে। ওদের বড় করে তুলতেই পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়। শেষে ২০০৮ সালে নাসরিন সুলতানা আবার পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় বড় ছেলে সোহেল রানা নবম শ্রেণীর ছাত্র। আর ছোট ছেলে সজল রানা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। বড় ছেলের সঙ্গে পড়ালেখা শুরু করেন মা। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ভর্তি হন নবম শ্রেণীতে।
নাসরিন আরও জানান, ২০১০ সালে তাঁরা মা-ছেলে এসএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন স্থানীয় মাহতাবউদ্দিন ডিগ্রি কলেজে। তিনি কলেজে নিয়মিত ক্লাস করেছেন। ছেলের সাইকেলে চড়ে কলেজে গেছেন। গৃহশিক্ষকের কাছেও গেছেন একসঙ্গে। এখন স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি হবেন। শিক্ষাজীবন শেষে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন।
পড়াশোনায় স্বামীর সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্বামী জামির হোসেনের সহযোগিতার কারণেই তিনি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। জামির হোসেন জানান, তাঁর স্ত্রী যখন পড়ালেখা করতে চেয়েছেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে মত দিয়েছেন। এখন স্ত্রীকে স্নাতকে (সম্মান) ভর্তির বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ পৌর শহরের মাহতাবউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নাসরিন শিক্ষিত নারী হতে চান, অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার কারণে যা তিনি হতে পারেননি। আমি আশা করি তাঁর ইচ্ছা পূরণ হবে।’
No comments