যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমা হলে গুলি, নিহত ১৪
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের একটি সিনেমা হলে গতকাল শুক্রবার বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তিনিই হামলাকারী কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) এ ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
ডেনভার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কলোরাডোর ডেনভার নগরের শহরতলি আওরোরা এলাকায় একটি সিনেমা হলে শুক্রবার রাতে ব্যাটম্যান সিরিজের দ্য ডার্ক নাইট রাইজেজ-এর প্রদর্শনী চলছিল। এ সময় বিশেষ পোশাক পরা ও মুখ ঢাকা একজন বন্দুকধারী সেখানে গিয়ে টিয়ার গ্যাসের মতো গ্যাস ছোড়ে। এরপর গুলি চালানো শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর অপর চারজন মারা যায়। আহত হয় অন্তত ৫০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী বেঞ্জামিন ফার্নান্দেজ বলেন, তিনি মনোযোগ দিয়ে সিনেমা দেখছিলেন। হঠাৎ করেই কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এরপর হলের ভেতরে থাকা লোকজনের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হয়। জ্যাক নামের আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সিনেমায় তখন অ্যাকশনের দৃশ্য চলছিল। এ সময় তিনি বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনতে পান। প্রথমে ধারণা করছিলেন, এটা বোধ হয় সিনেমার অ্যাকশনেরই শব্দ। তবে লোকজনের ছোটাছুটি দেখে দ্রুতই বুঝতে পারেন, বন্দুকধারী সিনেমা হলে ঢুকে পড়েছেন।
ব্যাটম্যান সিরিজের সিনেমা দেখেছেন এমন কয়েকজন জানান, ব্যাটম্যান সিরিজের সিনেমায় এ রকম চরিত্র রয়েছে, যা দেখে ওই বন্দুকধারী এমন ঘটনা ঘটাতে উৎসাহ বোধ করতে পারেন।
আওরোরা পুলিশের প্রধান ড্যান ওয়টস বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁদের জানিয়েছেন, বন্দুকধারী শুরুতেই কিছু গোলাকার ছোট কৌটা ছুড়ে মারেন। এসব কৌটা থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। এরপর বন্দুকধারী গুলি চালানো শুরু করেন।
পুলিশের মুখপাত্র ফ্রাঙ্ক ফানিয়া বলেন, বন্দুকধারীর বয়স বিশের কোটায় বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ ধরনের পোশাক পরে রাইফেল ও দুটি হাতবন্দুক নিয়ে তিনি হামলা চালান। বন্দুকধারী আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য গ্যাস ব্যবহার করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তিনি বলেন, এই মুহূর্তে মার্কিন জনগণকে একটি পরিবারের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এএফপি, বিবিসি।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
ডেনভার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কলোরাডোর ডেনভার নগরের শহরতলি আওরোরা এলাকায় একটি সিনেমা হলে শুক্রবার রাতে ব্যাটম্যান সিরিজের দ্য ডার্ক নাইট রাইজেজ-এর প্রদর্শনী চলছিল। এ সময় বিশেষ পোশাক পরা ও মুখ ঢাকা একজন বন্দুকধারী সেখানে গিয়ে টিয়ার গ্যাসের মতো গ্যাস ছোড়ে। এরপর গুলি চালানো শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর অপর চারজন মারা যায়। আহত হয় অন্তত ৫০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী বেঞ্জামিন ফার্নান্দেজ বলেন, তিনি মনোযোগ দিয়ে সিনেমা দেখছিলেন। হঠাৎ করেই কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এরপর হলের ভেতরে থাকা লোকজনের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হয়। জ্যাক নামের আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সিনেমায় তখন অ্যাকশনের দৃশ্য চলছিল। এ সময় তিনি বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনতে পান। প্রথমে ধারণা করছিলেন, এটা বোধ হয় সিনেমার অ্যাকশনেরই শব্দ। তবে লোকজনের ছোটাছুটি দেখে দ্রুতই বুঝতে পারেন, বন্দুকধারী সিনেমা হলে ঢুকে পড়েছেন।
ব্যাটম্যান সিরিজের সিনেমা দেখেছেন এমন কয়েকজন জানান, ব্যাটম্যান সিরিজের সিনেমায় এ রকম চরিত্র রয়েছে, যা দেখে ওই বন্দুকধারী এমন ঘটনা ঘটাতে উৎসাহ বোধ করতে পারেন।
আওরোরা পুলিশের প্রধান ড্যান ওয়টস বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁদের জানিয়েছেন, বন্দুকধারী শুরুতেই কিছু গোলাকার ছোট কৌটা ছুড়ে মারেন। এসব কৌটা থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। এরপর বন্দুকধারী গুলি চালানো শুরু করেন।
পুলিশের মুখপাত্র ফ্রাঙ্ক ফানিয়া বলেন, বন্দুকধারীর বয়স বিশের কোটায় বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ ধরনের পোশাক পরে রাইফেল ও দুটি হাতবন্দুক নিয়ে তিনি হামলা চালান। বন্দুকধারী আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য গ্যাস ব্যবহার করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তিনি বলেন, এই মুহূর্তে মার্কিন জনগণকে একটি পরিবারের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এএফপি, বিবিসি।
No comments