চীন নয়, বাংলাদেশই হবে বিশ্বের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশ : মজিনা
বাংলাদেশ সত্যিই ব্যতিক্রমী একটি দেশ। দেশটির ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। এর রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। এ হিসেবে বলা যায়, চীন নয়, বাংলাদেশই একদিন হবে বিশ্বের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ২৩৬তম বার্ষিকী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিয়ে এভাবেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঢাকায় নিযুক্ত
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা। রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত অভিজাত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার-২ এ এই উৎসবের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ মৈত্রী সোসাইটি ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর হোমল্যান্ড সিকিউরিটিজ।
অনুষ্ঠানের অতিথি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে নিয়ে যখন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন, তখন সবাই দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে ড্যান ডাব্লিউ মজিনা বলেন, 'আমি বাংলাদেশ ঘুরে দেখেছি। এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যেমন আমি অভিভূত, তেমনি এ দেশের মানুষের অন্তরের সৌন্দর্য ও হৃদয়ের ঐশ্বর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এমন একটি দেশের রাষ্ট্রদূত হতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান ও ধন্য মনে করি। আপনাদের দেখতে, এ দেশের উন্নতি দেখতে, আমি আবারও বাংলাদেশে ফিরে আসতে চাই।'
মজিনা বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশটির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চীন নয়, বাংলাদেশই হবে বিশ্বের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশ। বিশেষ করে ওষুধ শিল্প, চামড়া, তৈরি পোশাক, পাট, তথ্যপ্রযুক্তি ও হিমায়িত মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হতে পারে এশিয়ার পরবর্তী টাইগার। তিনি আরো বলেন, 'এ দেশের মানুষ মেধা ও সৃজনশীলতায় খুবই ব্যতিক্রমী। শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করবে। আমার এসব বক্তব্য স্বপ্ন নয়। এটিই বাস্তবতা এবং এ সবই হবে এক থেকে দুই দশকের মধ্যে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ও দেশের বৃহত্তম ব্যবসায়ী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, সম্মিলিত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। আয়োজক সংগঠন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ মৈত্রী সোসাইটির সভাপতি এম গোলাম মেহেরাজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর সদ্য প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এবং সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শিশু-কিশোররা মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে স্বাগত নৃত্য পরিবেশন করে। শিশুদের পরিবেশনায় 'শুভ জন্মদিন যুক্তরাষ্ট্র' গানটিও ছিল বিশেষ আয়োজন। অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। অতিথিদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে জমকালো সাংস্কৃতিক আয়োজন দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'আমি আশা করি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। এখন এ দুই দেশের নিবিড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কও গভীর। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে দুই দেশই উপকৃত হচ্ছে।' তিনি হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'বাংলাদেশের ছেলেরা যখন শান্তি মিশনে যায়, তখন বিশ্ববাসী বলে আমরা বীর যোদ্ধা। অথচ ব্রিটিশরা আমাদের বলে গিয়েছে, আমরা ভিতু। শান্তি মিশনে গিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি- আমরা যোদ্ধা, আমরা নিষ্ঠাবান এবং আস্থাভাজন। আমাদের দেশের একজন নোবেল বিজয়ীও রয়েছেন। তবু আমাদের দেশ ৪২ বছরেও এগোতে পারেনি। কারণ ভুল নেতৃত্ব। আমাদের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এত বেশি সংঘাতের রাজনীতি করছে যে আমরা অগ্রসর হতে পারিনি।'
মাহবুবুর রহমান বলেন, 'গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সন্ত্রাস দমনসহ অনেক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ।' তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের নীতির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।'
আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, 'এগিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দেশকে কাজ করতে হবে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আমরা অনেক দূর এগোতে পারব।'
এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ওয়ালিউর রহমান বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। আমাদের যেমন গণতন্ত্র প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রকেও।' তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা যখন হাত মেলালেন, সেটা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত অনেক মিল রয়েছে। আমরা আশা করি, বিশ্বের অগ্রযাত্রায় এক দিকে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র, আরেক দিকে বাংলাদেশ।'
এম গোলাম মেহেরাজ স্বাগত ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস তুলে ধরেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য পিটার টি কিংয়ের ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। পাঠ করা হয় আমেরিকার নেতাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী। ইউএস কংগ্রেস সদস্য জোসেফ ক্রাউলি, গোরি এল একেরম্যানের পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনানো হয় অনুষ্ঠানে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তানভীর আহমেদ।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীতের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে 'আমরা কজন শিল্পীগোষ্ঠী'র শিল্পীরা পরিবেশন করে সমবেত নৃত্য। এরপর অতিথিরা মঞ্চে ওঠে আসেন। দর্শক-শ্রোতারা হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে এ পরিবেশনাটি উদযাপন করে। 'হ্যাপি বার্থ ডে টু আমেরিকা' গানটির সঙ্গে যখন শিশু শিল্পীরা নেচে বেড়ায় মঞ্চজুড়ে, তখন সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখে তাদের সেই নাচ। আমেরিকার বিপ্লব ও ইতিহাসের ওপর নির্মিত ভিডিওচিত্রগুলো ছিল উপভোগ্য। গত ৪ জুলাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ২৩৬তম বার্ষিকী।
অনুষ্ঠানের অতিথি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে নিয়ে যখন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন, তখন সবাই দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে ড্যান ডাব্লিউ মজিনা বলেন, 'আমি বাংলাদেশ ঘুরে দেখেছি। এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যেমন আমি অভিভূত, তেমনি এ দেশের মানুষের অন্তরের সৌন্দর্য ও হৃদয়ের ঐশ্বর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এমন একটি দেশের রাষ্ট্রদূত হতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান ও ধন্য মনে করি। আপনাদের দেখতে, এ দেশের উন্নতি দেখতে, আমি আবারও বাংলাদেশে ফিরে আসতে চাই।'
মজিনা বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশটির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চীন নয়, বাংলাদেশই হবে বিশ্বের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশ। বিশেষ করে ওষুধ শিল্প, চামড়া, তৈরি পোশাক, পাট, তথ্যপ্রযুক্তি ও হিমায়িত মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হতে পারে এশিয়ার পরবর্তী টাইগার। তিনি আরো বলেন, 'এ দেশের মানুষ মেধা ও সৃজনশীলতায় খুবই ব্যতিক্রমী। শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করবে। আমার এসব বক্তব্য স্বপ্ন নয়। এটিই বাস্তবতা এবং এ সবই হবে এক থেকে দুই দশকের মধ্যে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ও দেশের বৃহত্তম ব্যবসায়ী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, সম্মিলিত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। আয়োজক সংগঠন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ মৈত্রী সোসাইটির সভাপতি এম গোলাম মেহেরাজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর সদ্য প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এবং সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শিশু-কিশোররা মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে স্বাগত নৃত্য পরিবেশন করে। শিশুদের পরিবেশনায় 'শুভ জন্মদিন যুক্তরাষ্ট্র' গানটিও ছিল বিশেষ আয়োজন। অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। অতিথিদের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে জমকালো সাংস্কৃতিক আয়োজন দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'আমি আশা করি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। এখন এ দুই দেশের নিবিড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কও গভীর। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে দুই দেশই উপকৃত হচ্ছে।' তিনি হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'বাংলাদেশের ছেলেরা যখন শান্তি মিশনে যায়, তখন বিশ্ববাসী বলে আমরা বীর যোদ্ধা। অথচ ব্রিটিশরা আমাদের বলে গিয়েছে, আমরা ভিতু। শান্তি মিশনে গিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি- আমরা যোদ্ধা, আমরা নিষ্ঠাবান এবং আস্থাভাজন। আমাদের দেশের একজন নোবেল বিজয়ীও রয়েছেন। তবু আমাদের দেশ ৪২ বছরেও এগোতে পারেনি। কারণ ভুল নেতৃত্ব। আমাদের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এত বেশি সংঘাতের রাজনীতি করছে যে আমরা অগ্রসর হতে পারিনি।'
মাহবুবুর রহমান বলেন, 'গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সন্ত্রাস দমনসহ অনেক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ।' তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের নীতির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।'
আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, 'এগিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দেশকে কাজ করতে হবে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আমরা অনেক দূর এগোতে পারব।'
এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ওয়ালিউর রহমান বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। আমাদের যেমন গণতন্ত্র প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রকেও।' তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা যখন হাত মেলালেন, সেটা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত অনেক মিল রয়েছে। আমরা আশা করি, বিশ্বের অগ্রযাত্রায় এক দিকে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র, আরেক দিকে বাংলাদেশ।'
এম গোলাম মেহেরাজ স্বাগত ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস তুলে ধরেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য পিটার টি কিংয়ের ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। পাঠ করা হয় আমেরিকার নেতাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী। ইউএস কংগ্রেস সদস্য জোসেফ ক্রাউলি, গোরি এল একেরম্যানের পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনানো হয় অনুষ্ঠানে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তানভীর আহমেদ।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীতের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে 'আমরা কজন শিল্পীগোষ্ঠী'র শিল্পীরা পরিবেশন করে সমবেত নৃত্য। এরপর অতিথিরা মঞ্চে ওঠে আসেন। দর্শক-শ্রোতারা হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে এ পরিবেশনাটি উদযাপন করে। 'হ্যাপি বার্থ ডে টু আমেরিকা' গানটির সঙ্গে যখন শিশু শিল্পীরা নেচে বেড়ায় মঞ্চজুড়ে, তখন সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখে তাদের সেই নাচ। আমেরিকার বিপ্লব ও ইতিহাসের ওপর নির্মিত ভিডিওচিত্রগুলো ছিল উপভোগ্য। গত ৪ জুলাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ২৩৬তম বার্ষিকী।
No comments