বহে কাল নিরবধি-শূন্যগর্ভ আশ্বাসের রাজনীতি by এম আবদুল হাফিজ
দেশের আন্ডার ডগদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী দল হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের কাছ থেকে জনগণ কখনোই এমনকি সংকটকালেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় অভ্যস্ত নয়। অভ্যস্ত নয় এই দলটিও জনগণকে 'না' বলতে। আজকের কঠিন বাস্তবতায় যেখানে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে সব কিছু লেজেগোবরে
করে ফেলেছে এবং এমন কোনো খাত নেই যেখানে তাদের সাফল্যের স্বাক্ষর আছে তখনো কি নির্লিপ্তভাবে তারা সংশয়িত জনগণের কাছে তাদের সাফল্য ও গৌরবগাথা তুলে ধরছে। কিন্তু সমস্যা, সংকট, ব্যর্থতা তাও তো ঢাকা থাকে না। সেখানেও আওয়ামীদের কোনো উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা বা ইতস্তত ভাব নেই। নির্বিবাদে বলে যাচ্ছে ওহ্, এটা হয়নি, ওটা অসমাপ্ত বা নির্বাচনী ইশতেহারের অমুখ অমুখ কাজে হাতের ছোঁয়াই পড়েনি। কুছ পরোয়া নেহি। দৃঢ় প্রত্যয়ে সেখানেও আছে আওয়ামীদের আশ্বাসের রাজনীতি। হবে, হচ্ছে ইত্যাকার আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি।
জনগণ এমনটা শুনতেই ভালোবাসে। যদিও তাদের না জানার কারণ নেই যে প্রতিশ্রুত ওগুলোর কোনোটাই হবে না। বাস্তব কারণেও সেসব হওয়া সম্ভব নয়। বলুন, দ্রব্যমূল্য কি কস্মিনকালেও সহনীয় পর্যায়ে আসবে? আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে? এই যে পবিত্র রমজান মাস সমাগত। আগের মতো এবারও কর্তৃপক্ষ একটি অস্বস্তিকর আবহ গড়ে তুলেছে। ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটগুলোর জন্য আইন ও শাস্তির হুমকি বা ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। অতীতে তার কি ফল দেখেছেন? এবার কি তার ব্যত্যয় হবে?
এই যে দেশব্যাপী দুর্নীতি, যা বিরোধী দলের প্রাত্যহিক অভিযোগকে বুড়ো আঙুল প্রদর্শন, এখনো আগের মতোই অবলীলায় চলছে- তা কি সরকারের একটি নির্বাহী আদেশে বন্ধ হয়ে যাবে? দুর্নীতি মাদকের মতো, একবার যে তা করেছে তার কৌমার্য ঘুচে গেছে। তার আর লজ্জা-শরম নেই। সে তার আসক্তির দ্বারাই পরিচালিত হবে। যে দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু ঋণচুক্তি বাতিল হলো, তা নিয়ে সরকারি মহলে কোনো উৎকণ্ঠা দেখছেন? এখন নাকি তা দেশজ অর্থায়নেই হবে বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। যে দুর্নীতির আভাস পেয়ে বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করল, সে দুর্নীতি কি বৈধতা পেল? এর জন্য দায়ীদের কি আর কোনো জবাবদিহিতা থাকল না?
নিজেদের অর্থায়নেই আদৌ যদি সেতুটি নির্মিত হতে পারে, যা সম্পর্কে সরকারের অন্দরমহলেই মতানৈক্য আছে, সেখানে আর বাইরের নিরপেক্ষ কোনো খবরদারির সুযোগ থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা যথার্থই বলছেন, নিজেদের অর্থায়নে এই বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে সামষ্টিক অর্থনীতি বিপর্যপ্ত হবে এবং তার নেতিবাচক চাপ জনগণের ওপরই বর্তাবে। বর্তমান বাজেটে ইতিমধ্যেই করের ভারে ন্যুব্জ জনগণকেই বইতে হবে দেশ ও সরকারকে চলমান রাখার দায়িত্বভার। নতুন নতুন কর আরোপ করেই বাড়তি চাপকে সামলাতে হবে। কেননা অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধিকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থেই রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মুদ্রাস্ফীতিকে। সম্ভবত শুধু সেতুর জন্য টোল ধার্য করে নয়, বরং দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতকে কাটছাঁট করে সেতু হয়তো একটি অস্তিত্বে আসবে। কিন্তু তা ব্যবহার করা সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকবে না, শুধু দেশের সামর্থ্যবানরাই সেই সেতুর সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
পবিত্র মাস সমাগত হলে এমনিতেই মানুষের হৃদয় নরম হয়। অথচ আজকেই কোনো এক সংবাদপত্রে দেখলাম যে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, মহাসড়কে পুলিশের সহযোগিতায় চাঁদাবাজি চলছে, যা রমজানে নিত্যব্যবহার্য পণ্যকে সাধারণের নাগালের বাইরে রাখবে। পুলিশকেই বা কী দোষ দেব! তারাও তো সরকারের ওপরওয়ালাদেরই অনুসরণ করবে। মন্ত্রীর এপিএসের গাড়িতে যদি বস্তাভরা টাকা থাকে, পুলিশেরও তো ঘর-সংসার আছে, সাধ-আহ্লাদ আছে। তাই পবিত্র রমজানে খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারলাম, কী পারলাম না তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কী লাভ?
আমাদের সদাশয় সরকার আগামী মাসে জনগণের শান্তিতে রোজা নিশ্চিত করতে অন্য বছরের মতো আইনশৃঙ্খলার ব্যবস্থা নিয়েছে। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ! কিন্তু আমাদের মতো যাদের পকেট সব সময়ই প্রায় গড়ের মাঠ, তাদের জন্য কর্তৃপক্ষের কী দরকার এত কষ্ট করার। সরি! ভুল বললাম, আমরা হয়তো ঈদে-পার্বণে শপিংমলে বিচরণ করব না, কিন্তু দেশের এলিট শ্রেণী তো করবে। পবিত্র মাসেও কিন্তু ছিনতাইসহ বড় বড় অপরাধ সংঘটিত হতে দেখি আমরা।
ক্ষমতাসীনদের দাবি অনুযায়ী দেশে প্রচুর রেমিট্যান্স আসছে, রেকর্ড পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়ে কত না কত বিলিয়ন ডলার এখন আমাদের কোষাগারে। গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী, সরকারের কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনেই নাকি তা হতে পেরেছে, যদিও নিন্দুকরা বলে যে কিছু বাছাই করা ঠিকাদার দিয়ে কাজ করিয়ে সরকারের দুর্নীতির পথই প্রশস্ত হয়েছে। কোনো এক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনদের আলোচনায়ই এ তথ্যগুলো উঠে এসেছে।
দেশ যখন শনৈঃ শনৈঃ অগ্রগতির মহাসড়কে ধাবিত হচ্ছে, দেশে তখন মহাসড়কসহ সব রকমের অবকাঠামোর অবস্থা প্রায় আদিম। খানাখন্দে ভরা মহাসড়কে কিছুদিন ধরে আবার নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। যখন এই নিবন্ধটি লিখছি, রাতের টিভি চ্যানেলগুলোয় তখনো নতুন করে মৃত্যু মিছিলের হিড়িক। এত বিভিন্ন স্থান ও সংখ্যায় মাত্র এক বা দেড় দিনের পরিসরে এগুলোর সংখ্যা মনে রাখা দুষ্কর। কিন্তু নিরাপদ সড়ক নিয়ে মাঝেমধ্যেই এত উচ্চবাচ্যের মধ্যেও মানুষের এমন করুণ পরিণতি থেমে নেই এবং তা সত্যিই যেকোনো সংবেদনশীল মানুষের মনকে ভারাক্রান্ত না করে পারে না।
যে দেশে কোনো কিছুই স্বাভাবিক নেই, সর্বত্রই অনিয়ম, অস্থিরতা- সেগুলোকে কি আগামী দেড় বছরে বাগে আনা সম্ভব? তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, বাগে আনার সদিচ্ছাই কি আছে সরকারের? তা থাকলে কি দেশের এই বেহাল অবস্থা হয়? তা ছাড়া সরকার তো এখন প্রকারান্তরে নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কৌশল প্রণয়নে ব্যস্ত। সদিচ্ছার উদয় হয়ে থাকলেও দলে শীর্ষ পর্যায়ে অসমাপ্ত কাজ শেষ করার সময়ই বা কোথায়?
মাঝেমধ্যে মনে হয়, সরকার ও জনগণ আশ্বাস দিয়েও সেই আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে পরস্পরকে প্রতারণা করছে। এতে সরকারের কিছু নিষ্কৃতি লাভ হলেও জনগণকেই বইতে হবে প্রতারিত হওয়ার ক্ষতির বোঝা।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও সাবেক পরিচালক, বিএসআইএসএস
জনগণ এমনটা শুনতেই ভালোবাসে। যদিও তাদের না জানার কারণ নেই যে প্রতিশ্রুত ওগুলোর কোনোটাই হবে না। বাস্তব কারণেও সেসব হওয়া সম্ভব নয়। বলুন, দ্রব্যমূল্য কি কস্মিনকালেও সহনীয় পর্যায়ে আসবে? আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে? এই যে পবিত্র রমজান মাস সমাগত। আগের মতো এবারও কর্তৃপক্ষ একটি অস্বস্তিকর আবহ গড়ে তুলেছে। ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটগুলোর জন্য আইন ও শাস্তির হুমকি বা ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। অতীতে তার কি ফল দেখেছেন? এবার কি তার ব্যত্যয় হবে?
এই যে দেশব্যাপী দুর্নীতি, যা বিরোধী দলের প্রাত্যহিক অভিযোগকে বুড়ো আঙুল প্রদর্শন, এখনো আগের মতোই অবলীলায় চলছে- তা কি সরকারের একটি নির্বাহী আদেশে বন্ধ হয়ে যাবে? দুর্নীতি মাদকের মতো, একবার যে তা করেছে তার কৌমার্য ঘুচে গেছে। তার আর লজ্জা-শরম নেই। সে তার আসক্তির দ্বারাই পরিচালিত হবে। যে দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু ঋণচুক্তি বাতিল হলো, তা নিয়ে সরকারি মহলে কোনো উৎকণ্ঠা দেখছেন? এখন নাকি তা দেশজ অর্থায়নেই হবে বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। যে দুর্নীতির আভাস পেয়ে বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করল, সে দুর্নীতি কি বৈধতা পেল? এর জন্য দায়ীদের কি আর কোনো জবাবদিহিতা থাকল না?
নিজেদের অর্থায়নেই আদৌ যদি সেতুটি নির্মিত হতে পারে, যা সম্পর্কে সরকারের অন্দরমহলেই মতানৈক্য আছে, সেখানে আর বাইরের নিরপেক্ষ কোনো খবরদারির সুযোগ থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা যথার্থই বলছেন, নিজেদের অর্থায়নে এই বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে সামষ্টিক অর্থনীতি বিপর্যপ্ত হবে এবং তার নেতিবাচক চাপ জনগণের ওপরই বর্তাবে। বর্তমান বাজেটে ইতিমধ্যেই করের ভারে ন্যুব্জ জনগণকেই বইতে হবে দেশ ও সরকারকে চলমান রাখার দায়িত্বভার। নতুন নতুন কর আরোপ করেই বাড়তি চাপকে সামলাতে হবে। কেননা অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধিকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থেই রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মুদ্রাস্ফীতিকে। সম্ভবত শুধু সেতুর জন্য টোল ধার্য করে নয়, বরং দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতকে কাটছাঁট করে সেতু হয়তো একটি অস্তিত্বে আসবে। কিন্তু তা ব্যবহার করা সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকবে না, শুধু দেশের সামর্থ্যবানরাই সেই সেতুর সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
পবিত্র মাস সমাগত হলে এমনিতেই মানুষের হৃদয় নরম হয়। অথচ আজকেই কোনো এক সংবাদপত্রে দেখলাম যে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, মহাসড়কে পুলিশের সহযোগিতায় চাঁদাবাজি চলছে, যা রমজানে নিত্যব্যবহার্য পণ্যকে সাধারণের নাগালের বাইরে রাখবে। পুলিশকেই বা কী দোষ দেব! তারাও তো সরকারের ওপরওয়ালাদেরই অনুসরণ করবে। মন্ত্রীর এপিএসের গাড়িতে যদি বস্তাভরা টাকা থাকে, পুলিশেরও তো ঘর-সংসার আছে, সাধ-আহ্লাদ আছে। তাই পবিত্র রমজানে খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারলাম, কী পারলাম না তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কী লাভ?
আমাদের সদাশয় সরকার আগামী মাসে জনগণের শান্তিতে রোজা নিশ্চিত করতে অন্য বছরের মতো আইনশৃঙ্খলার ব্যবস্থা নিয়েছে। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ! কিন্তু আমাদের মতো যাদের পকেট সব সময়ই প্রায় গড়ের মাঠ, তাদের জন্য কর্তৃপক্ষের কী দরকার এত কষ্ট করার। সরি! ভুল বললাম, আমরা হয়তো ঈদে-পার্বণে শপিংমলে বিচরণ করব না, কিন্তু দেশের এলিট শ্রেণী তো করবে। পবিত্র মাসেও কিন্তু ছিনতাইসহ বড় বড় অপরাধ সংঘটিত হতে দেখি আমরা।
ক্ষমতাসীনদের দাবি অনুযায়ী দেশে প্রচুর রেমিট্যান্স আসছে, রেকর্ড পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়ে কত না কত বিলিয়ন ডলার এখন আমাদের কোষাগারে। গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী, সরকারের কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনেই নাকি তা হতে পেরেছে, যদিও নিন্দুকরা বলে যে কিছু বাছাই করা ঠিকাদার দিয়ে কাজ করিয়ে সরকারের দুর্নীতির পথই প্রশস্ত হয়েছে। কোনো এক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনদের আলোচনায়ই এ তথ্যগুলো উঠে এসেছে।
দেশ যখন শনৈঃ শনৈঃ অগ্রগতির মহাসড়কে ধাবিত হচ্ছে, দেশে তখন মহাসড়কসহ সব রকমের অবকাঠামোর অবস্থা প্রায় আদিম। খানাখন্দে ভরা মহাসড়কে কিছুদিন ধরে আবার নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। যখন এই নিবন্ধটি লিখছি, রাতের টিভি চ্যানেলগুলোয় তখনো নতুন করে মৃত্যু মিছিলের হিড়িক। এত বিভিন্ন স্থান ও সংখ্যায় মাত্র এক বা দেড় দিনের পরিসরে এগুলোর সংখ্যা মনে রাখা দুষ্কর। কিন্তু নিরাপদ সড়ক নিয়ে মাঝেমধ্যেই এত উচ্চবাচ্যের মধ্যেও মানুষের এমন করুণ পরিণতি থেমে নেই এবং তা সত্যিই যেকোনো সংবেদনশীল মানুষের মনকে ভারাক্রান্ত না করে পারে না।
যে দেশে কোনো কিছুই স্বাভাবিক নেই, সর্বত্রই অনিয়ম, অস্থিরতা- সেগুলোকে কি আগামী দেড় বছরে বাগে আনা সম্ভব? তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, বাগে আনার সদিচ্ছাই কি আছে সরকারের? তা থাকলে কি দেশের এই বেহাল অবস্থা হয়? তা ছাড়া সরকার তো এখন প্রকারান্তরে নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কৌশল প্রণয়নে ব্যস্ত। সদিচ্ছার উদয় হয়ে থাকলেও দলে শীর্ষ পর্যায়ে অসমাপ্ত কাজ শেষ করার সময়ই বা কোথায়?
মাঝেমধ্যে মনে হয়, সরকার ও জনগণ আশ্বাস দিয়েও সেই আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে পরস্পরকে প্রতারণা করছে। এতে সরকারের কিছু নিষ্কৃতি লাভ হলেও জনগণকেই বইতে হবে প্রতারিত হওয়ার ক্ষতির বোঝা।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও সাবেক পরিচালক, বিএসআইএসএস
No comments