পরীক্ষাকেন্দ্রে হামলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া চলবে না-বেপরোয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ
কোনোভাবেই যেন ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। অপ্রতিরোধ্য গতিতে তারা পেশি ও রাজনৈতিক শক্তির একের পর এক প্রদর্শনী করে চলেছে। আগের ধারা অব্যাহত রেখে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র-যুব সংগঠন হিসেবে তারা স্বমূর্তিতে আবির্ভূত।
চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তার, হল দখল, ভর্তি-বাণিজ্যসহ যাবতীয় অপরাধমূলক কাজকর্ম তারা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই যথেচ্ছাচারের আরও এক নজির গত শুক্রবার পাবনায় জেলা প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যাপক হামলা চালানোর ঘটনা।
নিজেদের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগের দাবিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দুটি পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাঁরা দুটি কেন্দ্রে ভাঙচুর, লুটতরাজ, মারধর এবং প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পুড়িয়ে ফেলেন। বাধা দিতে গেলে চারজন সরকারি কর্মকর্তাকে তাঁরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করেন। এভাবে পেশিশক্তি ব্যবহার করে নিয়োগপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা নিয়মতান্ত্রিকতা ও ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের চরম অবজ্ঞাকেই প্রকাশ করে। কোনো সংগঠনের ভেতর অবক্ষয় কোন পর্যায়ে গেলে তাঁরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এমন আবদার প্রকাশ্যে করতে পারেন? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য এটি এক অশনিসংকেত।
সরকারের মন্ত্রীরা মাঝেমধ্যেই বলে থাকেন, সন্ত্রাসী, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখানে ভাঙচুর, লুটতরাজ, সরকারি কর্মকর্তাদের মারধর করা হলেও অপরাধদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা তো দূরের কথা, কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। পুলিশের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে এবং পুলিশ সরকার-সমর্থক এসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখায়নি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের আশ্রয়, তোষণ ও রক্ষা করার পুরোনো সংস্কৃতির বদল যে দিনবদলের সরকারের শাসনামলেও ঘটেনি, তা আবারও প্রমাণ করল পাবনার এই ঘটনা। অতীতের মতোই দুষ্কৃতকারীদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত নন। এভাবে নিজেদের দুষ্কর্ম আড়াল করা যাবে না।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের চলতি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থানের জানান দিয়েছিলেন। তার পরও ছাত্রলীগ তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাজির হচ্ছে ভয়ংকর চেহারা নিয়ে। শাসক দলগুলোর ছাত্র ও যুব সংগঠনের রাজনীতির এই চেহারা অবশ্যই বদলাতে হবে। আশা করি, পাবনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে হামলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
নিজেদের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগের দাবিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দুটি পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাঁরা দুটি কেন্দ্রে ভাঙচুর, লুটতরাজ, মারধর এবং প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পুড়িয়ে ফেলেন। বাধা দিতে গেলে চারজন সরকারি কর্মকর্তাকে তাঁরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করেন। এভাবে পেশিশক্তি ব্যবহার করে নিয়োগপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা নিয়মতান্ত্রিকতা ও ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের চরম অবজ্ঞাকেই প্রকাশ করে। কোনো সংগঠনের ভেতর অবক্ষয় কোন পর্যায়ে গেলে তাঁরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এমন আবদার প্রকাশ্যে করতে পারেন? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য এটি এক অশনিসংকেত।
সরকারের মন্ত্রীরা মাঝেমধ্যেই বলে থাকেন, সন্ত্রাসী, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখানে ভাঙচুর, লুটতরাজ, সরকারি কর্মকর্তাদের মারধর করা হলেও অপরাধদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা তো দূরের কথা, কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। পুলিশের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে এবং পুলিশ সরকার-সমর্থক এসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখায়নি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের আশ্রয়, তোষণ ও রক্ষা করার পুরোনো সংস্কৃতির বদল যে দিনবদলের সরকারের শাসনামলেও ঘটেনি, তা আবারও প্রমাণ করল পাবনার এই ঘটনা। অতীতের মতোই দুষ্কৃতকারীদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত নন। এভাবে নিজেদের দুষ্কর্ম আড়াল করা যাবে না।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের চলতি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থানের জানান দিয়েছিলেন। তার পরও ছাত্রলীগ তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাজির হচ্ছে ভয়ংকর চেহারা নিয়ে। শাসক দলগুলোর ছাত্র ও যুব সংগঠনের রাজনীতির এই চেহারা অবশ্যই বদলাতে হবে। আশা করি, পাবনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে হামলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
No comments