নিশাত হত্যা-বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা পরিবারের
‘টিভিতে দেখেছি, সাগর-রুনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এর কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা তো সাধারণ মানুষ। আমার বোন হত্যারও কোনো বিচার হবে না।’ গতকাল সোমবার কানাডা থেকে দেশে ফিরে তোপখানা রোডের বাসায় প্রথম আলোর কাছে এভাবেই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করলেন দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়া নিশাত বানুর বড় বোন রাশিদা বানু।
তিনি ছাড়াও মা খালেদা বানুসহ পরিবারের অন্যরাও নিশাত হত্যার সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। শঙ্কার পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।
৫ জুন রাতে তোপখানা রোডের তিনতলা বাড়ির নিচ তলার বাসায় ঢুকে তিন যুবক মা খালেদা বানুকে বেঁধে রেখে আরেকটি কক্ষে শ্বাসরোধে মেয়ে নিশাত বানুকে হত্যা করে। খালেদা বানুর অভিযোগ, ২০ বছর আগে তিনি তাঁর বাসার পাশে নিজের জায়গায় মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তিকে ‘খাবার হোটেল’ করতে দিয়েছিলেন, যা মনির হোটেল নামে পরিচিত। কিছুদিন না যেতেই মনির ওই জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে মামলা হওয়ায় তাঁর সঙ্গে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। মনিরুজ্জামান মারা গেলেও তাঁর দুই ছেলে সাইফুল ও সেলিম জায়গা দখলে রাখেন। ওই সাইফুল ও সেলিমই সবকিছু দখলে নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন খালেদা বানু।
এ ঘটনায় খালেদা অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ ‘সন্দেহজনক’ হওয়ায় আসামির ছকে দুই ভাই সেলিম ও সাইফুলের নাম উল্লেখ করেনি। তাঁদের আটক করেও ছেড়ে দেয়। স্বজনেরা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললে এবং এ বিষয়ে প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পুলিশ গত রোববার তাঁদের গ্রেপ্তার করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
নিশাত বানুর বড় বোন রাশিদা থাকেন কানাডায়, ছোট বোন সানজিদা যুক্তরাষ্ট্রে। খবর পেয়ে গতকাল সকালেই রাশিদা বানু মেয়েকে নিয়ে দেশে আসেন। তিনি বলেন, দেশে ফিরেই জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। অপরদিকে মা খালেদার কণ্ঠেও একই অভিযোগ।
রাশিদা বলেন, ‘অন্য কেউ নয়, সাইফুল ও সেলিমই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তারা এর আগে আমার ছোট বোন জেবাকেও হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি চাই।’
৫ জুন রাতে তোপখানা রোডের তিনতলা বাড়ির নিচ তলার বাসায় ঢুকে তিন যুবক মা খালেদা বানুকে বেঁধে রেখে আরেকটি কক্ষে শ্বাসরোধে মেয়ে নিশাত বানুকে হত্যা করে। খালেদা বানুর অভিযোগ, ২০ বছর আগে তিনি তাঁর বাসার পাশে নিজের জায়গায় মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তিকে ‘খাবার হোটেল’ করতে দিয়েছিলেন, যা মনির হোটেল নামে পরিচিত। কিছুদিন না যেতেই মনির ওই জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে মামলা হওয়ায় তাঁর সঙ্গে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। মনিরুজ্জামান মারা গেলেও তাঁর দুই ছেলে সাইফুল ও সেলিম জায়গা দখলে রাখেন। ওই সাইফুল ও সেলিমই সবকিছু দখলে নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন খালেদা বানু।
এ ঘটনায় খালেদা অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ ‘সন্দেহজনক’ হওয়ায় আসামির ছকে দুই ভাই সেলিম ও সাইফুলের নাম উল্লেখ করেনি। তাঁদের আটক করেও ছেড়ে দেয়। স্বজনেরা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললে এবং এ বিষয়ে প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে পুলিশ গত রোববার তাঁদের গ্রেপ্তার করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
নিশাত বানুর বড় বোন রাশিদা থাকেন কানাডায়, ছোট বোন সানজিদা যুক্তরাষ্ট্রে। খবর পেয়ে গতকাল সকালেই রাশিদা বানু মেয়েকে নিয়ে দেশে আসেন। তিনি বলেন, দেশে ফিরেই জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। অপরদিকে মা খালেদার কণ্ঠেও একই অভিযোগ।
রাশিদা বলেন, ‘অন্য কেউ নয়, সাইফুল ও সেলিমই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তারা এর আগে আমার ছোট বোন জেবাকেও হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি চাই।’
No comments