গ্রাম মাদকমুক্ত করতে গিয়ে বাড়িছাড়া স্কুলছাত্রী
গ্রাম মাদকমুক্ত করতে গিয়ে রাজশাহীর তানোরের এক স্কুলছাত্রীকে বাড়িছাড়া হতে হয়েছে। স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ীর প্রাণনাশের হুমকির কারণে তিন দিন ধরে ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ে যাওয়াও বন্ধ। এর আগে আট দিন তাকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে থাকতে হয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে রাজশাহীর মহিলা অধিদপ্তরের নিরাপদ নিবাসে (সেফ হোম) নেওয়া হয়েছে।
গত রোববার স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্বে ওই ছাত্রীকে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। এমনকি ওই মাদক ব্যবসায়ীকে ডেকে শাসন করেন। এর পরও ছাত্রীকে হুমকি দেওয়া থেমে নেই। এদিকে ৬ জুন ওই ছাত্রী তানোর থানায় অভিযোগ দিতে যায়, কিন্তু পুলিশ ওই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে পাঠিয়েছে।
নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ওই ছাত্রীকে নিরাপদ নিবাসে আনা হয়েছে বলে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় সমন্বয়কারী দিল সেতারা নিশ্চিত করেছেন।
আরিফা খাতুনের বাড়ি তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের নোনাপুকুর গ্রামে। সে স্থানীয় কোইল উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। বছর খানেক আগে গ্রামের ১৫ জন কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে সে ‘নোনাপুকুর মাদকবিরোধী গণগবেষক দল’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলে।
আরিফার পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একই গ্রামের আমিনুল ইসলাম (২৬) প্রায় পাঁচ বছর ধরে ফেনসিডিল, গাঁজা ও দেশীয় মদের ব্যবসা করে আসছেন। তিনি মাদকও সেবন করেন। গ্রামে কিশোর সংগঠন গড়ার পর থেকেই আরিফা ও সংগঠনের অন্য সদস্যরা আমিনুলের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। বিষয়টি তারা পুলিশকেও জানায়। এতে আমিনুল ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফার বাবা আবদুল বারী ও তার (আরিফা) ভাই মিনারুলকে মারধর করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে আরিফার ওপর হামলা চালান আমিনুল। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে ১২ দিন তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ আমিনুলকে গ্রেপ্তার করে। আট দিন পর তিনি জামিনে ছাড়া পান। এর পর থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই আরিফাকে আজেবাজে কথা বলতেন আমিনুল। সম্প্রতি তাঁর অত্যাচার চরমে ওঠে। এবার আরিফাকে হত্যার হুমকি দেন আমিনুল। বাধ্য হয়ে ২ জুন মা-বাবা আরিফাকে তার খালার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
গতকাল সোমবার সকালে মুঠোফোনে আরিফা বলে, ‘ছুটির পর গত শনিবার আমার স্কুল খুলেছে। কিন্তু আমিনুলের ভয়ে স্কুলে যেতে পারছি না।’ সে অভিযোগ করে, মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার পর থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তানোর থানার পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত রোববার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মমিনুল হক দায়িত্ব নিয়ে তাকে খালার বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। তিনি আমিনুলকে ডেকে কয়েকটি চড়-থাপড় মারেন এবং আর কোনো ঝামেলা না করার জন্য শাসিয়ে দেন। আরিফা জানায়, সালিস থেকে রাতে বাড়ি ফিরেই আমিনুল আবারও তাকে হুমকি দেন।
পাঁচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান মমিনুল হক গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, তিনি আমিনুলকে শাসন করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে নাকি আবারও হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছেন। তিনি আরিফাকে ইউএনওর কাছে যেতে বলেছেন।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী জিয়াউল বাসেত গতকাল প্রথম আলোকে জানান, মেয়েটি সকালে তাঁর কাছে এসেছিল। তিনি তাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে বলেছেন।
অভিযুক্ত আমিনুল বলেন, তাঁকে বিনা দোষে আরিফা জেল খাটিয়েছে। এর পরও তিনি ধৈর্য ধরে আছেন। তাঁকে আবারও ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে সে। তিনি আরিফাকে কোনোভাবেই হুমকি দেননি বলে দাবি করেন।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশেম বলেন, ‘আমিনুল মাদকসেবী। আগে মাদক ব্যবসা করতেন। তার ওপর পুলিশের নজর রয়েছে। মেয়েটি আগে যে মামলা করেছিল, সেই মামলার জের ধরেই তাকে হুমকি দিচ্ছে আমিনুল।’
গত রোববার স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্বে ওই ছাত্রীকে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। এমনকি ওই মাদক ব্যবসায়ীকে ডেকে শাসন করেন। এর পরও ছাত্রীকে হুমকি দেওয়া থেমে নেই। এদিকে ৬ জুন ওই ছাত্রী তানোর থানায় অভিযোগ দিতে যায়, কিন্তু পুলিশ ওই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে পাঠিয়েছে।
নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ওই ছাত্রীকে নিরাপদ নিবাসে আনা হয়েছে বলে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় সমন্বয়কারী দিল সেতারা নিশ্চিত করেছেন।
আরিফা খাতুনের বাড়ি তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের নোনাপুকুর গ্রামে। সে স্থানীয় কোইল উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। বছর খানেক আগে গ্রামের ১৫ জন কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে সে ‘নোনাপুকুর মাদকবিরোধী গণগবেষক দল’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলে।
আরিফার পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একই গ্রামের আমিনুল ইসলাম (২৬) প্রায় পাঁচ বছর ধরে ফেনসিডিল, গাঁজা ও দেশীয় মদের ব্যবসা করে আসছেন। তিনি মাদকও সেবন করেন। গ্রামে কিশোর সংগঠন গড়ার পর থেকেই আরিফা ও সংগঠনের অন্য সদস্যরা আমিনুলের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। বিষয়টি তারা পুলিশকেও জানায়। এতে আমিনুল ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফার বাবা আবদুল বারী ও তার (আরিফা) ভাই মিনারুলকে মারধর করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে আরিফার ওপর হামলা চালান আমিনুল। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে ১২ দিন তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ আমিনুলকে গ্রেপ্তার করে। আট দিন পর তিনি জামিনে ছাড়া পান। এর পর থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই আরিফাকে আজেবাজে কথা বলতেন আমিনুল। সম্প্রতি তাঁর অত্যাচার চরমে ওঠে। এবার আরিফাকে হত্যার হুমকি দেন আমিনুল। বাধ্য হয়ে ২ জুন মা-বাবা আরিফাকে তার খালার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
গতকাল সোমবার সকালে মুঠোফোনে আরিফা বলে, ‘ছুটির পর গত শনিবার আমার স্কুল খুলেছে। কিন্তু আমিনুলের ভয়ে স্কুলে যেতে পারছি না।’ সে অভিযোগ করে, মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার পর থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তানোর থানার পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত রোববার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মমিনুল হক দায়িত্ব নিয়ে তাকে খালার বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। তিনি আমিনুলকে ডেকে কয়েকটি চড়-থাপড় মারেন এবং আর কোনো ঝামেলা না করার জন্য শাসিয়ে দেন। আরিফা জানায়, সালিস থেকে রাতে বাড়ি ফিরেই আমিনুল আবারও তাকে হুমকি দেন।
পাঁচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান মমিনুল হক গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, তিনি আমিনুলকে শাসন করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে নাকি আবারও হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছেন। তিনি আরিফাকে ইউএনওর কাছে যেতে বলেছেন।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী জিয়াউল বাসেত গতকাল প্রথম আলোকে জানান, মেয়েটি সকালে তাঁর কাছে এসেছিল। তিনি তাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে বলেছেন।
অভিযুক্ত আমিনুল বলেন, তাঁকে বিনা দোষে আরিফা জেল খাটিয়েছে। এর পরও তিনি ধৈর্য ধরে আছেন। তাঁকে আবারও ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে সে। তিনি আরিফাকে কোনোভাবেই হুমকি দেননি বলে দাবি করেন।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশেম বলেন, ‘আমিনুল মাদকসেবী। আগে মাদক ব্যবসা করতেন। তার ওপর পুলিশের নজর রয়েছে। মেয়েটি আগে যে মামলা করেছিল, সেই মামলার জের ধরেই তাকে হুমকি দিচ্ছে আমিনুল।’
No comments