যুদ্ধাপরাধ-পাকিস্তানের মতো ভুল শ্রীলংকা যেন না করে by ইরফান হুসাইন
আজ থেকে ৪০ বছর আগে বর্তমানের বাংলাদেশে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যে ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছিল, তার জবাবদিহিতা তাদের কাছে আমরা চাইনি। যার ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় সব পাকিস্তানিই সে সময়ের যুদ্ধাপরাধকে অস্বীকার করে থাকে
শ্রীলংকার 'কিলিং ফিল্ড'-এর ওপর চ্যানেল ফোরে প্রদর্শিত টিভি ডকুমেন্টারিটি আমার দেখা সাম্প্রতিককালের ডকুমেন্টারিগুলোর মধ্যে অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও হতবুদ্ধিকর। ওই রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের শেষের কয়েকটি দিনে সরকারি বাহিনী ও তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে মুলি্লভাইকলে যে ধরনের কৌশল গ্রহণ করা হয়েছিল তা রীতিমতো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। ওই লড়াইয়ে সরকারি বাহিনী বিজয় অর্জন করেছিল।
স্মরণ করা যেতে পারে, কয়েক মাসের প্রথাগত যুদ্ধ চলার এক পর্যায়ে টাইগাররা একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। তাদের সামনে ছিল অগভীর হ্রদ আর পেছনে সমুদ্র। ওই এলাকাটি দু'দিক থেকেই সেনাবাহিনী বেষ্টন করে আছে। আর সমুদ্রে নৌবাহিনী অবরোধ আরোপ করেছে। টাইগাররা যুদ্ধের সময় আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে প্রায় তিন লাখের মতো ভীত-সন্ত্রস্ত তামিল বেসামরিক নাগরিককে তাদের সঙ্গে যেতে বাধ্য করেছিল। এই সাধারণ মানুষেরা শেষ পর্যন্ত টাইগারদের সঙ্গেই থেকে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এসব পরিবারকে বাধ্য করা হতো প্রত্যেকের পরিবার থেকে একজন করে শিশু-তরুণকে টাইগারদের হাতে তুলে দিতে। আর এই শিশু-তরুণদের টাইগাররা পাঠাত বিপজ্জনক সামরিক কর্মকাণ্ডসহ আত্মঘাতী মিশনে। লাখ লাখ তামিল, যারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল, তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাইগাররা তাদের ফান্ডে অর্থ প্রদান করতে বাধ্য করত। তারা তাদের তৎপরতা অব্যাহত রাখতে এসব ফান্ড ব্যবহার করত।
প্রভাকরণের নেতৃত্বাধীন এলটিটিই ছিল সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও আত্মঘাতী হামলার পথপ্রদর্শক। তাদের আত্মঘাতী হামলায় অনেক রাজনীতিবিদ, এমনকি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও প্রাণ হারিয়েছেন। এই দক্ষ খুনে বাহিনী প্রভাকরণের নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও তিনি ততটা রাজনৈতিকভাবে কুশলী ছিলেন না। তাকে যখন তামিলদের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনসহ বড় ধরনের সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন সে শান্তি প্রস্তাব প্রভাকরণ প্রত্যাখ্যান করেন। সর্বশেষ বন্দুকের নলের মুখে তিনি তামিল এলাকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বয়কটের আহ্বান কার্যকর করেন। তার এ পদক্ষেপ কট্টরপন্থি মাহিন্দ রাজাপাকসের বিজয়কে নিশ্চিত করে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রনিল বিক্রমাসিংহেকে রাজনৈতিকভাবে অপ্রয়োজনীয় করে তোলে। অথচ এই বিক্রমাসিংহেই শান্তিপূর্ণ উপায়ে তামিল সমস্যা সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।
তামিল টাইগাররা যে খুব ভালোমানুষ ছিলেন, তা কিন্তু নয়। তাই বলে এর মাধ্যমে শ্রীলংকার সামরিক বাহিনী যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে যে নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছে, তা জায়েজ হয়ে যায় না। তামিলরা ওই যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যে নিষ্ঠুরতা ও দুর্ভোগের শিকার হয় তা সচিত্র চ্যানেল ফোরে ভিডিও ফুটেজসহ দেখানো হয়। সেখানে সৈনিকদের মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিওচিত্রও ঠাঁই পায়। ওই স্থানটিতে কী ধরনের নারকীয় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছিল, এসব ভিডিওচিত্র থেকে তার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়।
ডাক্তার ও নার্সরা যখন চরম অবস্থায় পতিত রোগীদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, তখন একটি ফিল্ড হাসপাতালে সরকারি বাহিনী কিভাবে উপর্যুপরি হামলা চালাচ্ছে_ সে নিদারুণ চিত্রও ডকুমেন্টারিটিতে ঠাঁই পায়। বিমান থেকে ব্যাপক গোলাবর্ষণে আতঙ্কিত শিশুদের ছোটাছুটির দৃশ্য রয়েছে এতে। এই শিশুদের অনেকেই পালাতে গিয়ে হতাহত হয়েছে। বেসামরিক লোকেরা যখন হামলা থেকে পরিত্রাণের চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন তারা এখানে-ওখানে মানুষের খুলি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখতে পায়। শেষ দৃশ্যগুলোতে দেখা যায়, আটককৃত তামিল টাইগার সদস্যদের বিবস্ত্র অবস্থায় হাঁটু গেড়ে বসিয়ে পেছনের দিক থেকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। শ্রীলংকার সৈন্যদের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওদৃশ্যে নারীদের ধর্ষণের পর নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার চিত্রও বাদ যায়নি।
এই সচিত্র প্রতিবেদন সম্প্রচারের পর পূর্ণ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে বিশ্ব সরব হয়ে ওঠে। বছরের পর বছর ধরে সেনাবাহিনী তামিলদের ওপর যে নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেসব দিনের আলোয় বেরিয়ে আসতে থাকে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের সঠিক তদন্ত চায়। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘ রিপোর্টে সরকারি বাহিনী ও এলটিটিই বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বস্তুত যুদ্ধের শেষ কয়েক ঘণ্টায় টাইগার গেরিলাদের প্রায় সমগ্র নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তারা অবশ্য আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল। সুতরাং শ্রীলংকার সরকারি বাহিনীকে এসব প্রশ্নের জবাব দিতেই হবে। রাজাপাকসে ও তার মুখপাত্র এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তারা এসব অভিযোগ তদন্তে নিজেরাই তদন্ত কমিশন গঠনের কথা বলেছেন।
যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নিরপেক্ষ তদন্ত প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত সম্ভব নয়। তবে ক্ষমতাসীন শাসক পরিবারের চেয়েও জোরের সঙ্গে সাধারণ সিংহলিরা এ অভিযোগকে অস্বীকার করছে। আমি যখনই চ্যানেল ফোরে প্রদর্শিত ডকুমেন্টারির প্রসঙ্গ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তখনই দেখা গেছে সিংহলিদের তা সাজানো বলে অস্বীকার করতে। একজন পাকিস্তানি হিসেবে এ ধরনের মানসিকতার সঙ্গে আমি পরিচিত।
যুদ্ধ কখনোই সুখকর নয় এবং ইতিহাসজুড়েই দেখা গেছে, যুদ্ধে সৈন্যরা অবর্ণনীয় নৃশংসতা প্রদর্শন করে। তবে সভ্য জাতিগুলো ও নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা সামরিক বাহিনীগুলো বিরল নিষ্ঠুর ঘটনাবলির অভিযোগের তদন্ত করে থাকে। কিন্তু আজ থেকে ৪০ বছর আগে বর্তমানের বাংলাদেশে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যে ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছিল, তার জবাবদিহিতা তাদের কাছে আমরা চাইনি। যার ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় সব পাকিস্তানিই সে সময়ের যুদ্ধাপরাধকে অস্বীকার করে থাকে। পাকিস্তানের মতো একই ভুল শ্রীলংকার করা উচিত নয়।
ডন থেকে ভাষান্তর সুভাষ সাহা
স্মরণ করা যেতে পারে, কয়েক মাসের প্রথাগত যুদ্ধ চলার এক পর্যায়ে টাইগাররা একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। তাদের সামনে ছিল অগভীর হ্রদ আর পেছনে সমুদ্র। ওই এলাকাটি দু'দিক থেকেই সেনাবাহিনী বেষ্টন করে আছে। আর সমুদ্রে নৌবাহিনী অবরোধ আরোপ করেছে। টাইগাররা যুদ্ধের সময় আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে প্রায় তিন লাখের মতো ভীত-সন্ত্রস্ত তামিল বেসামরিক নাগরিককে তাদের সঙ্গে যেতে বাধ্য করেছিল। এই সাধারণ মানুষেরা শেষ পর্যন্ত টাইগারদের সঙ্গেই থেকে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এসব পরিবারকে বাধ্য করা হতো প্রত্যেকের পরিবার থেকে একজন করে শিশু-তরুণকে টাইগারদের হাতে তুলে দিতে। আর এই শিশু-তরুণদের টাইগাররা পাঠাত বিপজ্জনক সামরিক কর্মকাণ্ডসহ আত্মঘাতী মিশনে। লাখ লাখ তামিল, যারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল, তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাইগাররা তাদের ফান্ডে অর্থ প্রদান করতে বাধ্য করত। তারা তাদের তৎপরতা অব্যাহত রাখতে এসব ফান্ড ব্যবহার করত।
প্রভাকরণের নেতৃত্বাধীন এলটিটিই ছিল সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও আত্মঘাতী হামলার পথপ্রদর্শক। তাদের আত্মঘাতী হামলায় অনেক রাজনীতিবিদ, এমনকি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও প্রাণ হারিয়েছেন। এই দক্ষ খুনে বাহিনী প্রভাকরণের নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও তিনি ততটা রাজনৈতিকভাবে কুশলী ছিলেন না। তাকে যখন তামিলদের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনসহ বড় ধরনের সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন সে শান্তি প্রস্তাব প্রভাকরণ প্রত্যাখ্যান করেন। সর্বশেষ বন্দুকের নলের মুখে তিনি তামিল এলাকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বয়কটের আহ্বান কার্যকর করেন। তার এ পদক্ষেপ কট্টরপন্থি মাহিন্দ রাজাপাকসের বিজয়কে নিশ্চিত করে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রনিল বিক্রমাসিংহেকে রাজনৈতিকভাবে অপ্রয়োজনীয় করে তোলে। অথচ এই বিক্রমাসিংহেই শান্তিপূর্ণ উপায়ে তামিল সমস্যা সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।
তামিল টাইগাররা যে খুব ভালোমানুষ ছিলেন, তা কিন্তু নয়। তাই বলে এর মাধ্যমে শ্রীলংকার সামরিক বাহিনী যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে যে নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছে, তা জায়েজ হয়ে যায় না। তামিলরা ওই যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যে নিষ্ঠুরতা ও দুর্ভোগের শিকার হয় তা সচিত্র চ্যানেল ফোরে ভিডিও ফুটেজসহ দেখানো হয়। সেখানে সৈনিকদের মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিওচিত্রও ঠাঁই পায়। ওই স্থানটিতে কী ধরনের নারকীয় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছিল, এসব ভিডিওচিত্র থেকে তার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়।
ডাক্তার ও নার্সরা যখন চরম অবস্থায় পতিত রোগীদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, তখন একটি ফিল্ড হাসপাতালে সরকারি বাহিনী কিভাবে উপর্যুপরি হামলা চালাচ্ছে_ সে নিদারুণ চিত্রও ডকুমেন্টারিটিতে ঠাঁই পায়। বিমান থেকে ব্যাপক গোলাবর্ষণে আতঙ্কিত শিশুদের ছোটাছুটির দৃশ্য রয়েছে এতে। এই শিশুদের অনেকেই পালাতে গিয়ে হতাহত হয়েছে। বেসামরিক লোকেরা যখন হামলা থেকে পরিত্রাণের চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন তারা এখানে-ওখানে মানুষের খুলি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখতে পায়। শেষ দৃশ্যগুলোতে দেখা যায়, আটককৃত তামিল টাইগার সদস্যদের বিবস্ত্র অবস্থায় হাঁটু গেড়ে বসিয়ে পেছনের দিক থেকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। শ্রীলংকার সৈন্যদের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওদৃশ্যে নারীদের ধর্ষণের পর নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার চিত্রও বাদ যায়নি।
এই সচিত্র প্রতিবেদন সম্প্রচারের পর পূর্ণ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে বিশ্ব সরব হয়ে ওঠে। বছরের পর বছর ধরে সেনাবাহিনী তামিলদের ওপর যে নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেসব দিনের আলোয় বেরিয়ে আসতে থাকে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের সঠিক তদন্ত চায়। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘ রিপোর্টে সরকারি বাহিনী ও এলটিটিই বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বস্তুত যুদ্ধের শেষ কয়েক ঘণ্টায় টাইগার গেরিলাদের প্রায় সমগ্র নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তারা অবশ্য আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল। সুতরাং শ্রীলংকার সরকারি বাহিনীকে এসব প্রশ্নের জবাব দিতেই হবে। রাজাপাকসে ও তার মুখপাত্র এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তারা এসব অভিযোগ তদন্তে নিজেরাই তদন্ত কমিশন গঠনের কথা বলেছেন।
যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নিরপেক্ষ তদন্ত প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত সম্ভব নয়। তবে ক্ষমতাসীন শাসক পরিবারের চেয়েও জোরের সঙ্গে সাধারণ সিংহলিরা এ অভিযোগকে অস্বীকার করছে। আমি যখনই চ্যানেল ফোরে প্রদর্শিত ডকুমেন্টারির প্রসঙ্গ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তখনই দেখা গেছে সিংহলিদের তা সাজানো বলে অস্বীকার করতে। একজন পাকিস্তানি হিসেবে এ ধরনের মানসিকতার সঙ্গে আমি পরিচিত।
যুদ্ধ কখনোই সুখকর নয় এবং ইতিহাসজুড়েই দেখা গেছে, যুদ্ধে সৈন্যরা অবর্ণনীয় নৃশংসতা প্রদর্শন করে। তবে সভ্য জাতিগুলো ও নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা সামরিক বাহিনীগুলো বিরল নিষ্ঠুর ঘটনাবলির অভিযোগের তদন্ত করে থাকে। কিন্তু আজ থেকে ৪০ বছর আগে বর্তমানের বাংলাদেশে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যে ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছিল, তার জবাবদিহিতা তাদের কাছে আমরা চাইনি। যার ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় সব পাকিস্তানিই সে সময়ের যুদ্ধাপরাধকে অস্বীকার করে থাকে। পাকিস্তানের মতো একই ভুল শ্রীলংকার করা উচিত নয়।
ডন থেকে ভাষান্তর সুভাষ সাহা
No comments