মহান স্বাধীনতা দিবস
আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা। টানা ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা। '৫২ সাল থেকেই শুরু হয়েছিল রক্তদানের পালা। তারপর রাজনীতির দীর্ঘ চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছিল স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে। একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 'যার হাতে যা আছে, তা-ই নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার' আহ্বান জানিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন_'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' বলতে গেলে সেদিনই বাঙালির বুকে স্বাধীনতার বীজমন্ত্র বোনা হয়ে যায়। ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরু হলে রুখে দাঁড়াতে সময় নেয়নি বীর বাঙালি। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালি জাতি যে এক উপনিবেশ থেকে আরেক উপনিবেশের শোষণে পড়েছিল, এ সত্যটি দেশভাগের পর সেই সাতচলি্লশেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। '৫২-র ভাষার লড়াই থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, বাঙালিকে তার দাবি আদায় করে নিতে হবে। প্রকৃত অর্থে সেখান থেকেই আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের শুরু। এরপর '৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ছয় দফার দাবিতে আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরও ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি, একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ_এভাবেই ধাপে ধাপে এগিয়ে এসেছিল মুক্তিযুদ্ধ। সেদিনই স্থির হয়ে যায় বাঙালির ভাগ্য। পাকিস্তানি শোষণের জাঁতাকল থেকে মুক্তির পথ যেন খুঁজে পায় বাঙালি জাতি। মুক্তিযুদ্ধের ৯টি মাস আমরা দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণেরই প্রতিফলন দেখেছি।
আবার এর বিপরীত চিত্র যে ছিল না, তা নয়। এ দেশেরই কিছু লোক রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বাহিনী গড়ে তোলে। তারাও হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে বাঙালি নিধনে শামিল হয়েছিল। স্বাধীনতার ঠিক আগে, একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর এরাই হত্যা করে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান অনেক বুদ্ধিজীবীকে। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই দেশকে মেধাশূন্য করার এ অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল তারা। হত্যা, লুণ্ঠন, নারীর সম্ভ্রমহানিসহ ৫৩ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল একাত্তরের ৯ মাসে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাও সংগত কারণেই যুদ্ধাপরাধী। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। বর্তমান মহাজোট সরকারেরও নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। সেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ৩০ লাখ প্রাণ এবং অগণিত মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে আমাদের এ অর্জন। ৪০ বছর পর আজকের স্বাধীনতা দিবসে দাঁড়িয়ে আমরাও চাই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হোক। মানবতাবিরোধী অপরাধকারীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে জাতির বীরসন্তানদের স্মরণ করছি।
আবার এর বিপরীত চিত্র যে ছিল না, তা নয়। এ দেশেরই কিছু লোক রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বাহিনী গড়ে তোলে। তারাও হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে বাঙালি নিধনে শামিল হয়েছিল। স্বাধীনতার ঠিক আগে, একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর এরাই হত্যা করে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান অনেক বুদ্ধিজীবীকে। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই দেশকে মেধাশূন্য করার এ অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল তারা। হত্যা, লুণ্ঠন, নারীর সম্ভ্রমহানিসহ ৫৩ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল একাত্তরের ৯ মাসে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাও সংগত কারণেই যুদ্ধাপরাধী। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। বর্তমান মহাজোট সরকারেরও নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। সেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ৩০ লাখ প্রাণ এবং অগণিত মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে আমাদের এ অর্জন। ৪০ বছর পর আজকের স্বাধীনতা দিবসে দাঁড়িয়ে আমরাও চাই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হোক। মানবতাবিরোধী অপরাধকারীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে জাতির বীরসন্তানদের স্মরণ করছি।
No comments