দলে দলে ঢাকা যাওয়া আর হচ্ছে না
মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে চট্টগ্রামে বিএনপির বেশির ভাগ নেতা-কর্মী এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন। দলীয় কর্মসূচিতেও নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কম। ফলে কাল সোমবার ঢাকায় ১৮ দলের কর্মসূচিতে দলে দলে ঢাকা যাওয়ার উদ্যোগে ভাটা পড়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, আগ্রহী কর্মী-সমর্থকদের বেশির ভাগ নিজ উদ্যোগে ঢাকায় যাবেন। তবে নেপথ্যে দলীয় নেতারা তাঁদের সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে ঢাকায় অবস্থান এবং খাওয়া ও গাড়ি ভাড়ার খরচ নেতারা দেবেন বলে জানা গেছে। তবে বেশির ভাগ নেতা গা-ঢাকা দেওয়ায় রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার ব্যাপারে কর্মী-সমর্থকদের সেভাবে সংগঠিত করা যাচ্ছে না।
নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আসলে আওয়ামী লীগ ভিন্ন মত ও পথের লোকদের সহ্য করতে পারছে না। স্বাধীনতার পর তাদের যে আচরণ জনগণ দেখেছে, সেটা থেকে এখনো বের হতে পারেনি। জনগণই একদিন এসবের উচিত জবাব দেবে।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন লুটপাট ও টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত। এই সুযোগে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা নিজ নিজ উদ্যোগে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’
নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ সবুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের অনেকে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এর পরও দলীয় নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রের কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনেকে বাসে ও ট্রেনে করে যাওয়ার জন্য টিকিট কিনেছেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেব।’
এদিকে, কালকের ঢাকার কর্মসূচিকে ঘিরে নগর পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষ করে নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ জামায়াত-শিবির ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের ওপর কড়া নজরদারি করছে। এর অংশ হিসেবে গত শুক্রবার সকালে নগরের চট্টেশ্বরী এলাকায় অবস্থিত চন্দনাইশ বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাশেমের বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাসায় কয়েকজন অনুসারী গোপন বৈঠক করছিলেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল।
পুলিশ সূত্র জানায়, জামায়াত-সমর্থিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে দলীয় নেতারা গোপন বৈঠক করেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য আছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পুলিশের নজরদারি রয়েছে। নগর গোয়েন্দা শাখা ও থানার পুলিশ যৌথভাবে নগরের বিভিন্ন জায়গায় মামলার আসামি বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতেও অভিযান চালানো হয়। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এ প্রসঙ্গে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগরে কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। এসব মামলার আসামি এবং যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাঁদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এসব অভিযান আগেও হয়েছে।’
নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আসলে আওয়ামী লীগ ভিন্ন মত ও পথের লোকদের সহ্য করতে পারছে না। স্বাধীনতার পর তাদের যে আচরণ জনগণ দেখেছে, সেটা থেকে এখনো বের হতে পারেনি। জনগণই একদিন এসবের উচিত জবাব দেবে।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন লুটপাট ও টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত। এই সুযোগে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা নিজ নিজ উদ্যোগে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে।’
নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ সবুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের অনেকে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এর পরও দলীয় নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রের কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনেকে বাসে ও ট্রেনে করে যাওয়ার জন্য টিকিট কিনেছেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেব।’
এদিকে, কালকের ঢাকার কর্মসূচিকে ঘিরে নগর পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষ করে নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ জামায়াত-শিবির ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের ওপর কড়া নজরদারি করছে। এর অংশ হিসেবে গত শুক্রবার সকালে নগরের চট্টেশ্বরী এলাকায় অবস্থিত চন্দনাইশ বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাশেমের বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাসায় কয়েকজন অনুসারী গোপন বৈঠক করছিলেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল।
পুলিশ সূত্র জানায়, জামায়াত-সমর্থিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে দলীয় নেতারা গোপন বৈঠক করেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য আছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পুলিশের নজরদারি রয়েছে। নগর গোয়েন্দা শাখা ও থানার পুলিশ যৌথভাবে নগরের বিভিন্ন জায়গায় মামলার আসামি বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতেও অভিযান চালানো হয়। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এ প্রসঙ্গে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগরে কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। এসব মামলার আসামি এবং যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাঁদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এসব অভিযান আগেও হয়েছে।’
No comments