বিশেষ বিবাহ আইন-আন্দোলনের শুরুতেই ধর্মভিত্তিক দলগুলো হোঁচট খেয়েছে by মোশতাক আহমদ
বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক ইচ্ছা করলে যেকোনো ধর্মের পছন্দের যে কাউকে বিয়ে করতে পারবেন। এ ধরনের বিয়েকে স্বীকৃতি দিতে সরকারিভাবে কাজী নিয়োগ দিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়। এ বিয়েকে বিশেষ বিয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকার একটি বিশেষ বিবাহ আইন করতে যাচ্ছে।
এমন ইস্যুতে ধর্মভিত্তিক ইসলামী দলগুলো বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিলেও শুরুতেই তারা হোঁচট খেয়েছে।
জানা গেছে, আইনটি বাতিলের দাবিতে গত এক মাস ধরে ধর্মভিত্তিক ইসলামী ও সমমনা দল, চরমোনাইয়ের পীরের অনুসারী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও মুফতি আমিনীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট এবং ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। দলের নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে একাধিক গণমিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশও করেন। এমনকি হরতালের হুমকিও দেন তাঁরা।
তবে আন্দোলনের ঘোষণার কারণে সরকার পিছু হটেছে বলে দাবি করেন ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের নেতা মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রীর এপিএসকে এ-সংক্রান্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়ে আন্দোলনের মুখে পরে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।
আন্দোলন কর্মসূচি চলার সময় চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বেশ কয়েকটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালনে করে। গণমিছিল করতে দেওয়া হলেও একই ইস্যুতে ডাকা ১২ ইসলামী দল ও মুফতি আমিনীর কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত পুলিশ ভণ্ডুল করে দেয়। এরপর আর কোনো কর্মসূচি দেয়নি ধর্মভিত্তিক দলগুলো।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশেষ বিবাহ আইন নিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত আছে। আইন মন্ত্রনালয়ের বিবৃতির কারণে আপাতত অবজারভেশন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'সরকার যদি সত্যিকারই এ আইন থেকে সরে আসে তবে আমাদের কোনো আন্দোলন করব না।' তা না হলে আবারও কঠোর আন্দোলনের কথা উচ্চারণ করেন এই নেতা।
'এ ধরনের আইন করার কোনো পরিকল্পনা নেই' উল্লেখ করে সরকারের দেওয়া বিবৃতির কারণে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর আন্দোলন পরিকল্পনা কার্যত ভেস্তে যায় বলে দাবি করেছেন সরকার সমর্থিত ইসলামী দলের নেতারা।
এমন পরিস্থিতিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি জানান, সরকার বিশেষ বিবাহ আইন নামে কোনো আইন করেনি। ভবিষ্যতে করার চিন্তাভাবনাও সরকারের নেই বলে জানান তিনি। এর কয়েক দিন আগে বিশেষ বিবাহ আইন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও জানান, বিশেষ বিবাহ নামে কোনো আইন করা হয়নি।
মূলত এর পর থেকেই ধর্মভিত্তিক দলগুলো আন্দোলন কর্মসূচি থেকে পিছু হটতে থাকে। এর পরও তাদের দাবি, আন্দোলনের কারণে বিশেষ বিবাহ আইন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে।
ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, এটি সরকারের কৌশল মাত্র। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বরং সরকার ভেতরে ভেতরে আইনটি করার চেষ্টা করছে বলেও তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে বিশেষ বিবাহ আইন নিয়ে এসব ধর্মভিত্তিক দলের আন্দোলন কর্মসূচিকে ইসলাম রক্ষার নামে সরকারবিরোধী তৎপরতা এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্তির অপপ্রয়াস বলে দাবি করেছেন সরকার সমর্থিত ইসলামী দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
সরকার সমর্থিত ইসলামী ঐক্যজোটের এক নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিশেষ বিবাহ আইন নামে ইসলামবিরোধী কোনো আইন করেনি। কিন্তু ইসলাম রক্ষার নামে মুফতি আমিনীরা কৌশলে সরকারবিরোধী আন্দোলন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
ওই নেতা আরো বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি তাদের এই মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত বিশেষ বিবাহ আইন প্রসঙ্গে বিবৃতি দিতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্য প্রকাশের পর থেকে জনমনে বিভ্রান্তি দূর হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, আইনটি বাতিলের দাবিতে গত এক মাস ধরে ধর্মভিত্তিক ইসলামী ও সমমনা দল, চরমোনাইয়ের পীরের অনুসারী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও মুফতি আমিনীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট এবং ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। দলের নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে একাধিক গণমিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশও করেন। এমনকি হরতালের হুমকিও দেন তাঁরা।
তবে আন্দোলনের ঘোষণার কারণে সরকার পিছু হটেছে বলে দাবি করেন ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের নেতা মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রীর এপিএসকে এ-সংক্রান্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়ে আন্দোলনের মুখে পরে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।
আন্দোলন কর্মসূচি চলার সময় চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বেশ কয়েকটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালনে করে। গণমিছিল করতে দেওয়া হলেও একই ইস্যুতে ডাকা ১২ ইসলামী দল ও মুফতি আমিনীর কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত পুলিশ ভণ্ডুল করে দেয়। এরপর আর কোনো কর্মসূচি দেয়নি ধর্মভিত্তিক দলগুলো।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশেষ বিবাহ আইন নিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত আছে। আইন মন্ত্রনালয়ের বিবৃতির কারণে আপাতত অবজারভেশন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'সরকার যদি সত্যিকারই এ আইন থেকে সরে আসে তবে আমাদের কোনো আন্দোলন করব না।' তা না হলে আবারও কঠোর আন্দোলনের কথা উচ্চারণ করেন এই নেতা।
'এ ধরনের আইন করার কোনো পরিকল্পনা নেই' উল্লেখ করে সরকারের দেওয়া বিবৃতির কারণে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর আন্দোলন পরিকল্পনা কার্যত ভেস্তে যায় বলে দাবি করেছেন সরকার সমর্থিত ইসলামী দলের নেতারা।
এমন পরিস্থিতিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি জানান, সরকার বিশেষ বিবাহ আইন নামে কোনো আইন করেনি। ভবিষ্যতে করার চিন্তাভাবনাও সরকারের নেই বলে জানান তিনি। এর কয়েক দিন আগে বিশেষ বিবাহ আইন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও জানান, বিশেষ বিবাহ নামে কোনো আইন করা হয়নি।
মূলত এর পর থেকেই ধর্মভিত্তিক দলগুলো আন্দোলন কর্মসূচি থেকে পিছু হটতে থাকে। এর পরও তাদের দাবি, আন্দোলনের কারণে বিশেষ বিবাহ আইন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে।
ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, এটি সরকারের কৌশল মাত্র। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বরং সরকার ভেতরে ভেতরে আইনটি করার চেষ্টা করছে বলেও তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে বিশেষ বিবাহ আইন নিয়ে এসব ধর্মভিত্তিক দলের আন্দোলন কর্মসূচিকে ইসলাম রক্ষার নামে সরকারবিরোধী তৎপরতা এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্তির অপপ্রয়াস বলে দাবি করেছেন সরকার সমর্থিত ইসলামী দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
সরকার সমর্থিত ইসলামী ঐক্যজোটের এক নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিশেষ বিবাহ আইন নামে ইসলামবিরোধী কোনো আইন করেনি। কিন্তু ইসলাম রক্ষার নামে মুফতি আমিনীরা কৌশলে সরকারবিরোধী আন্দোলন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
ওই নেতা আরো বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি তাদের এই মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত বিশেষ বিবাহ আইন প্রসঙ্গে বিবৃতি দিতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্য প্রকাশের পর থেকে জনমনে বিভ্রান্তি দূর হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
No comments