মানবাধিকার কমিশন-স্বল্প লোকবল নিয়োগের অনুমোদন প্রশ্নবিদ্ধ by সাঈদ আহমেদ
সম্প্রতি প্রথম আলোর সম্পাদকীয় এবং দ্য ডেইলি স্টার-এর প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জন্য সরকার ২৮ জন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে ১১ জন সহায়ক কর্মী। আমরা জানি, দীর্ঘদিনের দেশি-বিদেশি চাপে এবং বিশেষ করে, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের
মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার সময় যেন ইতিবাচক কিছু পদক্ষেপের কথা বলা যায়, সে জন্য ২০০৭ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং সেই অনুযায়ী ২০০৮ সালের শেষ দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। কমিশন প্রতিষ্ঠার আগেই ইউএনডিপির অর্থায়নে নিউজিল্যান্ডের সাবেক কমিশনার পিটার হাসকিংয়ের নেতৃত্বে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও আসিফ নজরুলের সমন্বয়ে একটি দল কমিশনের লোকবল ১২৮ জন করার সুপারিশ করেছিল। কমিশন প্রতিষ্ঠার পর কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এই সংখ্যা কমিয়ে ৬৫ জন করার প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এখন আমরা জানতে পারছি, আইন মন্ত্রণালয় থেকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ঘুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এসে মাত্র ২৮ জন লোকবল অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তসংক্রান্ত কাজের জন্য পাঁচজনের নিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে। গবেষণা কিংবা প্রশিক্ষণের জন্য কাউকে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। একটি শক্তিশালী ও কার্যকর মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি কোনোভাবেই ইতিবাচক পদক্ষেপ নয়। ইউএনডিপির অর্থায়নে কাজ করা বিশেষজ্ঞ দল ১২৮ জন লোকবলের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, মনিটরিং, লিগ্যাল ও রিসার্চ—এই চারটি শাখা প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছিল। তা ছাড়া তারা ছয়টি বিভাগে এবং ৩২টি বৃহত্তর জেলায় কমিশনের শাখা কার্যালয় স্থাপনেরও সুপারিশ করেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৭-এর অধ্যাদেশকে বাদ দিয়ে নতুন করে ‘মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯’ প্রণয়ন করে। আশা সঞ্চারকারী ব্যাপার ছিল যে নতুন আইনে অনেক ইতিবাচক বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল কমিশনের কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তৃত করার বিধান। এটি দেখে মনে হয়েছিল, বর্তমান সরকার বোধ হয় একটি পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠার পথেই এগোচ্ছে। কিন্তু এখন কমিশনের জন্য এত কম পরিমাণ কর্মী নিয়োগের বিষয়টি দেখে তেমন আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী কমিশনের কার্যাবলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা এবং বিভিন্ন স্তরে মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর ১২(১) ধারার ‘ক’ থেকে ‘ধ’ এই ১৯টি উপধারায় কমিশনের কার্যাবলি বর্ণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১০টি উপধারায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত কার্যাবলির কথা উল্লেখ রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ২০০৭-এর অধ্যাদেশে ছিল না কিন্তু ২০০৯-এর আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ধারা ১২(১)(থ)। সেখানে কমিশনের অন্যতম কাজ হিসেবে বলা হয়েছে—‘মানবাধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা’; কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানও সম্প্রতি ‘মানবাধিকার ও পুলিশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে কোনো কর্মী নিয়োগের অনুমোদন না দেওয়া এর সঙ্গে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সার্বক্ষণিক কমিশনারের প্রশিক্ষণসংক্রান্ত পূর্ব-অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট স্বীকৃত। কিন্তু সেটাকে ব্যবহার করার উপযোগী পরিস্থিতি তৈরির আগ্রহ আমরা বুঝতে পারছি না, যখন দেখছি প্রশিক্ষণ ও গবেষণাকাজের জন্য কোনো কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
লোকবলের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর অবস্থা দেখে নেওয়া যাক: নেপালে চেয়ারম্যান ও চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য, স্টাফ রয়েছেন ২৫৭ জন। শ্রীলঙ্কায় চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সার্বক্ষণিক সদস্য, স্টাফ ১৭০ জন। এমনকি ক্ষুদ্র দেশ মালদ্বীপে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তিনজন সার্বক্ষণিক সদস্য এবং প্রায় ৪০ জন স্টাফ। সার্বক্ষণিক ও অবৈতনিক দুই ধরনের সদস্য রাখার ধারণাটি সম্ভবত সরকার পেয়েছে যখন ২০০৯ সালে সরকারের একটি প্রতিনিধিদল দক্ষিণ কোরিয়া সফর করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছেন চেয়ারপারসন এবং তিনজন সার্বক্ষণিক সদস্য। কিন্তু তাঁদের কর্মী প্রায় ১৭০ জন।
কমিশনের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে এত কম কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেওয়ায় আমরা আশাহত তো অবশ্যই। কিন্তু অন্য একটি কারণে আমরা যারপরনাই উদ্বিগ্ন। সেটি হচ্ছে, নীতিগতভাবে কমিশনের জন্য লোকবল অনুমোদনের দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের বা সরকারের হাতে থাকা কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনুকূল নয়। মানবাধিকার কমিশনের নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক নীতিমালার (যা প্যারিস নীতিমালা হিসেবে পরিচিত) পার্ট-বি-এর অনুচ্ছেদ-২-এ বলা হয়েছে, ‘জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি নির্বিঘ্নে পরিচালনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত কাঠামোগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে, যেন কমিশন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কার্যালয় এবং কর্মী সুনিশ্চিত করতে পারে। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এ ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে কোনো আর্থিক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যাবে না।’ অন্যান্য দেশের মানবাধিকার কমিশনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, সরকার তার বার্ষিক বাজেটে কমিশনের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে। কমিশন স্বাধীনভাবে সে অর্থ খরচ করতে পারে। নিজেদের সিদ্ধান্তেই তারা উপযুক্ত পরিমাণ কর্মী নিয়োগ ও তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে। স্বাভাবিকভাবেই উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকার আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা বলে উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দ করতে পারে না। কমিশন তখন দাতাগোষ্ঠীর সহায়তা চায় এবং সে সহায়তায় উপযুক্তসংখ্যক কর্মী নিয়োগসহ তাদের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে।
আমাদের এটা বুঝতে হবে যে জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। এটি এমনকি অন্য কোনো আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মতোও নয়। এটি একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। কর্মী নিয়োগ, তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণসহ সব ক্ষেত্রে কমিশনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়টি সরকারের মাথায় রয়েছে কি না তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এমনিতেই নতুন আইনে কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্যসংখ্যা তিন থেকে কমিয়ে একজন করা হয়েছে। উপরন্তু কমিশনের যদি উপযুক্তসংখ্যক লোকবল না থাকে, তবে ১৬ কোটি জনসংখ্যার এই দেশের প্রতিনিয়ত সংঘটিত অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কমিশন কীভাবে যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে?
সাঈদ আহমেদ: মানবাধিকারকর্মী, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী কমিশনের কার্যাবলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা এবং বিভিন্ন স্তরে মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর ১২(১) ধারার ‘ক’ থেকে ‘ধ’ এই ১৯টি উপধারায় কমিশনের কার্যাবলি বর্ণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১০টি উপধারায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত কার্যাবলির কথা উল্লেখ রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ২০০৭-এর অধ্যাদেশে ছিল না কিন্তু ২০০৯-এর আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ধারা ১২(১)(থ)। সেখানে কমিশনের অন্যতম কাজ হিসেবে বলা হয়েছে—‘মানবাধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা’; কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানও সম্প্রতি ‘মানবাধিকার ও পুলিশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে কোনো কর্মী নিয়োগের অনুমোদন না দেওয়া এর সঙ্গে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সার্বক্ষণিক কমিশনারের প্রশিক্ষণসংক্রান্ত পূর্ব-অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট স্বীকৃত। কিন্তু সেটাকে ব্যবহার করার উপযোগী পরিস্থিতি তৈরির আগ্রহ আমরা বুঝতে পারছি না, যখন দেখছি প্রশিক্ষণ ও গবেষণাকাজের জন্য কোনো কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
লোকবলের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর অবস্থা দেখে নেওয়া যাক: নেপালে চেয়ারম্যান ও চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য, স্টাফ রয়েছেন ২৫৭ জন। শ্রীলঙ্কায় চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সার্বক্ষণিক সদস্য, স্টাফ ১৭০ জন। এমনকি ক্ষুদ্র দেশ মালদ্বীপে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তিনজন সার্বক্ষণিক সদস্য এবং প্রায় ৪০ জন স্টাফ। সার্বক্ষণিক ও অবৈতনিক দুই ধরনের সদস্য রাখার ধারণাটি সম্ভবত সরকার পেয়েছে যখন ২০০৯ সালে সরকারের একটি প্রতিনিধিদল দক্ষিণ কোরিয়া সফর করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছেন চেয়ারপারসন এবং তিনজন সার্বক্ষণিক সদস্য। কিন্তু তাঁদের কর্মী প্রায় ১৭০ জন।
কমিশনের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে এত কম কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দেওয়ায় আমরা আশাহত তো অবশ্যই। কিন্তু অন্য একটি কারণে আমরা যারপরনাই উদ্বিগ্ন। সেটি হচ্ছে, নীতিগতভাবে কমিশনের জন্য লোকবল অনুমোদনের দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের বা সরকারের হাতে থাকা কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনুকূল নয়। মানবাধিকার কমিশনের নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক নীতিমালার (যা প্যারিস নীতিমালা হিসেবে পরিচিত) পার্ট-বি-এর অনুচ্ছেদ-২-এ বলা হয়েছে, ‘জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি নির্বিঘ্নে পরিচালনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত কাঠামোগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে, যেন কমিশন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কার্যালয় এবং কর্মী সুনিশ্চিত করতে পারে। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এ ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে কোনো আর্থিক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যাবে না।’ অন্যান্য দেশের মানবাধিকার কমিশনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, সরকার তার বার্ষিক বাজেটে কমিশনের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে। কমিশন স্বাধীনভাবে সে অর্থ খরচ করতে পারে। নিজেদের সিদ্ধান্তেই তারা উপযুক্ত পরিমাণ কর্মী নিয়োগ ও তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে। স্বাভাবিকভাবেই উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকার আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা বলে উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দ করতে পারে না। কমিশন তখন দাতাগোষ্ঠীর সহায়তা চায় এবং সে সহায়তায় উপযুক্তসংখ্যক কর্মী নিয়োগসহ তাদের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে।
আমাদের এটা বুঝতে হবে যে জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। এটি এমনকি অন্য কোনো আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মতোও নয়। এটি একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। কর্মী নিয়োগ, তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারণসহ সব ক্ষেত্রে কমিশনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়টি সরকারের মাথায় রয়েছে কি না তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এমনিতেই নতুন আইনে কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্যসংখ্যা তিন থেকে কমিয়ে একজন করা হয়েছে। উপরন্তু কমিশনের যদি উপযুক্তসংখ্যক লোকবল না থাকে, তবে ১৬ কোটি জনসংখ্যার এই দেশের প্রতিনিয়ত সংঘটিত অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কমিশন কীভাবে যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে?
সাঈদ আহমেদ: মানবাধিকারকর্মী, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
No comments