কোনো মহলের চাপে নতিস্বীকার নয়-সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা
ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন যে খসড়া নির্বাচনী বিধিমালা প্রণয়ন করেছে, তা অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। এতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থীদের একমঞ্চে জনসভা করা, রাজধানীতে চারটির বেশি জনসভা না করার কথা বলা হয়েছে। এসব জনসভা আয়োজনও করবে নির্বাচন কমিশন।
এ ছাড়া বিধিতে আরও কিছু শর্ত রয়েছে, যেমন: নির্বাচনী পোস্টারে প্রার্থী ও প্রতীক ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার না করা, গণমাধ্যমে স্লট ভাড়া করে প্রচারণা না চালানো, সাড়ম্বরে মনোনয়নপত্র দাখিল না করা। মেয়র পদপ্রার্থীদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রে বাধা নেই। তাঁরা প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে জনসভাও করতে পারবেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব বিধিনিষেধের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যাবে না।
নির্বাচন কমিশন আগামী মার্চের মাঝামাঝি নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর সিটি করপোরেশন কোনো নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তও সঠিক বলে আমরা মনে করি। অনেক সময় দেখা যায়, তফসিল ঘোষণার পরই মেয়র-কাউন্সিলররা প্রকল্প বাস্তবায়নে তত্পর হয়ে ওঠেন। এটি অত্যন্ত বাজে নজির।
যত দ্রুত সম্ভব, নির্বাচন কমিশনের খসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত করা জরুরি। কেননা, সম্ভাব্য প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলগুলো এ নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা চালাতে পারে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন অরাজনৈতিক হলেও তারা এটি মানতে নারাজ। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যা সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হয়েছিল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও নির্বাচন কমিশন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের যৌথ জনসভা করার প্রস্তাব দিয়েছিল, যা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতার কারণে। এবার তেমনটি হবে না এবং নির্বাচন কমিশন কোনো মহলের চাপে নতি স্বীকার করবে না বলে আমাদের প্রত্যাশা। এভাবে যৌথ জনসভা হলে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা যেমন একই মঞ্চ থেকে নিজ নিজ কর্মসূচি তুলে ধরতে পারবেন, তেমনি নির্বাচনী সংস্কৃতিতেও সুস্থ ধারা ফিরে আসবে।
তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রণয়নই যথেষ্ট নয়, তা যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে অন্যরাও সমঝে চলবেন। আইন ভাঙতে সাহস পাবেন না।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন প্রস্তাবিত আচরণবিধি পালিত হলে শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না, টাকার খেলাও বন্ধ হবে। নির্বাচনী প্রচারণার নামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা লাখ লাখ টাকা খরচ করলে নির্বাচিত হওয়ার পর স্বভাবতই তাঁরা তা সুদাসলে উসুল করতে চাইবেন। এ সুযোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশন আগামী মার্চের মাঝামাঝি নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর সিটি করপোরেশন কোনো নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তও সঠিক বলে আমরা মনে করি। অনেক সময় দেখা যায়, তফসিল ঘোষণার পরই মেয়র-কাউন্সিলররা প্রকল্প বাস্তবায়নে তত্পর হয়ে ওঠেন। এটি অত্যন্ত বাজে নজির।
যত দ্রুত সম্ভব, নির্বাচন কমিশনের খসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত করা জরুরি। কেননা, সম্ভাব্য প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলগুলো এ নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা চালাতে পারে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন অরাজনৈতিক হলেও তারা এটি মানতে নারাজ। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যা সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হয়েছিল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও নির্বাচন কমিশন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের যৌথ জনসভা করার প্রস্তাব দিয়েছিল, যা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতার কারণে। এবার তেমনটি হবে না এবং নির্বাচন কমিশন কোনো মহলের চাপে নতি স্বীকার করবে না বলে আমাদের প্রত্যাশা। এভাবে যৌথ জনসভা হলে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা যেমন একই মঞ্চ থেকে নিজ নিজ কর্মসূচি তুলে ধরতে পারবেন, তেমনি নির্বাচনী সংস্কৃতিতেও সুস্থ ধারা ফিরে আসবে।
তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রণয়নই যথেষ্ট নয়, তা যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে অন্যরাও সমঝে চলবেন। আইন ভাঙতে সাহস পাবেন না।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন প্রস্তাবিত আচরণবিধি পালিত হলে শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না, টাকার খেলাও বন্ধ হবে। নির্বাচনী প্রচারণার নামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা লাখ লাখ টাকা খরচ করলে নির্বাচিত হওয়ার পর স্বভাবতই তাঁরা তা সুদাসলে উসুল করতে চাইবেন। এ সুযোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা প্রয়োজন।
No comments