নৃশংসতার ব্যারোমিটার by মহসীন হাবিব
দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিপক্ষ বা শত্রুকে হত্যার একটি বিশেষ ধরন চালু ছিল। এখনো মাঝেমধ্যে সে ভয়ংকর কাণ্ডটি ঘটতে দেখা যায়। প্রতিপক্ষের কাউকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়। তারপর মানুষটির গায়ে তেলজাতীয় দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
জ্বলন্ত অবস্থায় তাকে মাঝখানে রেখে চারদিকে সবাই হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়ে থাকে। ওই মানুষটি গায়ে আগুন নিয়ে যদি কোনো দিকে ছুটতে চেষ্টা করে তাহলে হাতে হাত রাখা 'মানুষগুলো' তাকে ধাক্কা দিয়ে আবার মাঝখানে ঠেলে দেয় এবং উল্লাসের সঙ্গে নাচ-গান করতে থাকে। যদি কোনোক্রমে অর্ধপোড়া অবস্থায় আগুন নিভে যায় তাহলে আবার কেউ তরল দাহ্য পদার্থ ঢালে, কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়। এই নৃশংস কাজটি সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচনের সময়ও প্রতিপক্ষের সমর্থকদের প্রতি ঘটতে দেখা গেছে।
যশোর শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে আতর আলীকে পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনা আমাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্বরোচিত ঘটনা, সেই বর্বর সমাজবাসীর কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে। পুরনো প্রশ্ন আবার নতুন করে ভেতরে নাড়া দিয়েছে, আমরা কোন দেশে বাস করছি? এই কি আমার বাংলাদেশ? বহুকাল ধরে এ দেশের গ্রামগঞ্জে সুন্দর একটি ব্যবস্থা আছে, যার নাম খোঁয়াড়। কারো গরু বা ছাগল যদি অন্য কোনো লোকের ফসলের জমিতে ঢুকে ফসল খেয়ে ফেলে বা নষ্ট করে তাহলে সে গরু বা ছাগলকে ফসলের মালিক খোঁয়াড়ে দিয়ে দেন। সে খোঁয়াড় থেকে নির্দিষ্ট জরিমানা দিয়ে গরু বা ছাগলটি ছাড়িয়ে আনতে হয়। এই খোঁয়াড়-ব্যবস্থা থাকায় যেমন অনেক সহিংসতা এড়ানো গেছে, আবার এই খোঁয়াড় না থাকার কারণে অনেক এলাকায় গরুর ধান খাওয়া নিয়ে বড় ধরনের সহিংস ঘটনার জন্ম হয়েছে। এমনকি খোঁয়াড়ে গরু-ছাগল দেওয়া নিয়েও অনেক ঝগড়া-বিবাদ দেখা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে খোঁয়াড়ে গরু দেওয়ার কারণে কাউকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম। আতর আলীকে কয়েকজন লোক ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার গায়ে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আগুনে দড়ি পুড়ে যাওয়ার কারণে ৪৫ বছর বয়স্ক কাঠমিস্ত্রি আতর আলীর বাঁধন খুলে যায়। সে অবস্থায়ই তিনি নিকটতম বাড়ির উঠানে গিয়ে আছড়ে পড়েন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৯ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে তিনি প্রাণ ত্যাগ করেন। সম্প্রতি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার মাতাইনকোর্ট এলাকায় আবু তালেব ওরফে মোতালেব নামের এক ব্যক্তি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নিলুফাকে পাশবিক নির্যাতন করে। নিলুফা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে প্রতিবেশী জ্যোৎস্না বেগম নামে একজনের সহায়তায় (জ্যোৎস্না বেগম নিজেও একজন নারী) ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ৩১ জানুয়ারি নিলুফা মারা যায়।
খুনের ধরন যেমন নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে, খুনের মোটিভও এখন অস্বাভাবিক। মানুষকে হত্যা করা যেন কোথাও কোথাও একটি ছাগল বা মুরগি হত্যা করার মতো তুচ্ছ বিষয় হয়ে উঠছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জের বখতারপুরে দুই যুবক ১৮ বছর বয়সী আঁখিকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আঁখি বাধা দেওয়ায় তাকে ধর্ষণ করতে না পেরে তারই ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে ওই দুই যুবক। এই যে রাজশাহী মেডিক্যালের দুই ছাত্র রাসেলকে মেরে ফেলল, এর মোটিভ কী? সামান্য কিছু ঋণ করা টাকা? এ জন্য মেডিক্যালের দুই শিক্ষার্থী এ নিষ্ঠুর হত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারে?
সুনামগঞ্জ থেকে সাত বছর বয়সের ফুপাত বোন রুমীকে ঢাকায় নিয়ে আসে মাদ্রাসা থেকে পাস করা মামাত ভাই রায়হান। রায়হান বাসার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সেতু ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি হোটেলে ওঠে শিশুটিকে নিয়ে। তারপর রাতে শিশুটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে পালিয়ে যায় রায়হান।
বেশ কিছুকাল যাবৎ বাংলাদেশে জবাই করে হত্যা করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। পত্রিকা খুললে প্রায়ই লক্ষ করা যায়, কেউ না কেউ জবাই করে হত্যা করেছে। এ প্রবণতার মধ্যে নিঃসন্দেহে প্রকাশ্যে গরু-ছাগল জবাই করার বিষয়টির একটি ছাপ রয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও ইউরোপ-আমেরিকায়ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড দেখা যায়। তবে সেখানে জবাই করে হত্যা করার ঘটনা খুবই কম। এ জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, উন্মুক্ত স্থানের বদলে গরু-ছাগল বুচার হাউসে বা কসাইখানায় জবাই করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যবস্থা নিতে (এ ব্যাপারটি বিশদ আলোচনার দাবি রাখে)।
মানুষের এতটা নিষ্ঠুর হয়ে যাওয়ার কারণ কী? হত্যা-ধর্ষণের মতো অপরাধ যুগে যুগে সব সমাজেই অল্প-বিস্তর ছিল, আছে। কিন্তু গরু খোঁয়াড়ে দেওয়ার কারণে, ধর্ষণ করতে না পেরে হত্যা করার এসব মোটিভ দেখে হতাশার কোনো সীমা থাকে না।
এক ভদ্রলোক আমাকে একবার বলেছিলেন, পৃথিবীতে নাকি খর্বাকায় ও শারীরিকভাবে দুর্বল জাতিগুলোর মধ্যে নিষ্ঠুরতা বেশি লক্ষ করা যায়। এ কথা বিশ্বাস করার কোনো যুক্তি নেই। জাতি হিসেবে আমরা শারীরিকভাবে অন্য অনেক জাতির তুলনায় দুর্বল। কিন্তু এমন নিষ্ঠুরতা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে কেউ প্রত্যাশা করে না।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে যে দুঃখ-হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়, তা হলো, এসব হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার না হওয়া। দেখা যায়, কখনো কখনো সরকারের নির্বাহী বিভাগ হত্যাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করতেই ব্যর্থ হয়। অসংখ্য মেয়েকে মা-বাবা ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন কাজের বিনিময়ে, এক হাজার টাকা বেতনে। সেই মেয়ে যখন লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে, তখন ঢাকায় এসে সুবিচার চাওয়ার সাধ্য কোথায়? পুলিশ মামলা একটি করে দেবে বটে, তারপর?
ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সঙ্গে অপরাধের একটি নিবিড় সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের গত ১০০ বছরের ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় মানুষের আর্থিক অবস্থা এখন ভালো। রাজনৈতিক বক্তব্য যাই হোক না কেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ আগের তুলনায় প্রশস্ত হয়েছে। তাহলে মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে কেন? কেন নিষ্ঠুরতার ধরন আরো তীব্র হচ্ছে?
লেখক : সাংবাদিক
mohshinhabib@yahoo.com
যশোর শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে আতর আলীকে পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনা আমাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্বরোচিত ঘটনা, সেই বর্বর সমাজবাসীর কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে। পুরনো প্রশ্ন আবার নতুন করে ভেতরে নাড়া দিয়েছে, আমরা কোন দেশে বাস করছি? এই কি আমার বাংলাদেশ? বহুকাল ধরে এ দেশের গ্রামগঞ্জে সুন্দর একটি ব্যবস্থা আছে, যার নাম খোঁয়াড়। কারো গরু বা ছাগল যদি অন্য কোনো লোকের ফসলের জমিতে ঢুকে ফসল খেয়ে ফেলে বা নষ্ট করে তাহলে সে গরু বা ছাগলকে ফসলের মালিক খোঁয়াড়ে দিয়ে দেন। সে খোঁয়াড় থেকে নির্দিষ্ট জরিমানা দিয়ে গরু বা ছাগলটি ছাড়িয়ে আনতে হয়। এই খোঁয়াড়-ব্যবস্থা থাকায় যেমন অনেক সহিংসতা এড়ানো গেছে, আবার এই খোঁয়াড় না থাকার কারণে অনেক এলাকায় গরুর ধান খাওয়া নিয়ে বড় ধরনের সহিংস ঘটনার জন্ম হয়েছে। এমনকি খোঁয়াড়ে গরু-ছাগল দেওয়া নিয়েও অনেক ঝগড়া-বিবাদ দেখা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে খোঁয়াড়ে গরু দেওয়ার কারণে কাউকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম। আতর আলীকে কয়েকজন লোক ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার গায়ে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আগুনে দড়ি পুড়ে যাওয়ার কারণে ৪৫ বছর বয়স্ক কাঠমিস্ত্রি আতর আলীর বাঁধন খুলে যায়। সে অবস্থায়ই তিনি নিকটতম বাড়ির উঠানে গিয়ে আছড়ে পড়েন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৯ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে তিনি প্রাণ ত্যাগ করেন। সম্প্রতি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার মাতাইনকোর্ট এলাকায় আবু তালেব ওরফে মোতালেব নামের এক ব্যক্তি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নিলুফাকে পাশবিক নির্যাতন করে। নিলুফা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে প্রতিবেশী জ্যোৎস্না বেগম নামে একজনের সহায়তায় (জ্যোৎস্না বেগম নিজেও একজন নারী) ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ৩১ জানুয়ারি নিলুফা মারা যায়।
খুনের ধরন যেমন নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে, খুনের মোটিভও এখন অস্বাভাবিক। মানুষকে হত্যা করা যেন কোথাও কোথাও একটি ছাগল বা মুরগি হত্যা করার মতো তুচ্ছ বিষয় হয়ে উঠছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জের বখতারপুরে দুই যুবক ১৮ বছর বয়সী আঁখিকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আঁখি বাধা দেওয়ায় তাকে ধর্ষণ করতে না পেরে তারই ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে ওই দুই যুবক। এই যে রাজশাহী মেডিক্যালের দুই ছাত্র রাসেলকে মেরে ফেলল, এর মোটিভ কী? সামান্য কিছু ঋণ করা টাকা? এ জন্য মেডিক্যালের দুই শিক্ষার্থী এ নিষ্ঠুর হত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারে?
সুনামগঞ্জ থেকে সাত বছর বয়সের ফুপাত বোন রুমীকে ঢাকায় নিয়ে আসে মাদ্রাসা থেকে পাস করা মামাত ভাই রায়হান। রায়হান বাসার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সেতু ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি হোটেলে ওঠে শিশুটিকে নিয়ে। তারপর রাতে শিশুটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে পালিয়ে যায় রায়হান।
বেশ কিছুকাল যাবৎ বাংলাদেশে জবাই করে হত্যা করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। পত্রিকা খুললে প্রায়ই লক্ষ করা যায়, কেউ না কেউ জবাই করে হত্যা করেছে। এ প্রবণতার মধ্যে নিঃসন্দেহে প্রকাশ্যে গরু-ছাগল জবাই করার বিষয়টির একটি ছাপ রয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও ইউরোপ-আমেরিকায়ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড দেখা যায়। তবে সেখানে জবাই করে হত্যা করার ঘটনা খুবই কম। এ জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, উন্মুক্ত স্থানের বদলে গরু-ছাগল বুচার হাউসে বা কসাইখানায় জবাই করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার ব্যবস্থা নিতে (এ ব্যাপারটি বিশদ আলোচনার দাবি রাখে)।
মানুষের এতটা নিষ্ঠুর হয়ে যাওয়ার কারণ কী? হত্যা-ধর্ষণের মতো অপরাধ যুগে যুগে সব সমাজেই অল্প-বিস্তর ছিল, আছে। কিন্তু গরু খোঁয়াড়ে দেওয়ার কারণে, ধর্ষণ করতে না পেরে হত্যা করার এসব মোটিভ দেখে হতাশার কোনো সীমা থাকে না।
এক ভদ্রলোক আমাকে একবার বলেছিলেন, পৃথিবীতে নাকি খর্বাকায় ও শারীরিকভাবে দুর্বল জাতিগুলোর মধ্যে নিষ্ঠুরতা বেশি লক্ষ করা যায়। এ কথা বিশ্বাস করার কোনো যুক্তি নেই। জাতি হিসেবে আমরা শারীরিকভাবে অন্য অনেক জাতির তুলনায় দুর্বল। কিন্তু এমন নিষ্ঠুরতা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে কেউ প্রত্যাশা করে না।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে যে দুঃখ-হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হয়, তা হলো, এসব হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার না হওয়া। দেখা যায়, কখনো কখনো সরকারের নির্বাহী বিভাগ হত্যাকারীদের বিচারের সম্মুখীন করতেই ব্যর্থ হয়। অসংখ্য মেয়েকে মা-বাবা ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন কাজের বিনিময়ে, এক হাজার টাকা বেতনে। সেই মেয়ে যখন লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে, তখন ঢাকায় এসে সুবিচার চাওয়ার সাধ্য কোথায়? পুলিশ মামলা একটি করে দেবে বটে, তারপর?
ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সঙ্গে অপরাধের একটি নিবিড় সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের গত ১০০ বছরের ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় মানুষের আর্থিক অবস্থা এখন ভালো। রাজনৈতিক বক্তব্য যাই হোক না কেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ আগের তুলনায় প্রশস্ত হয়েছে। তাহলে মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে কেন? কেন নিষ্ঠুরতার ধরন আরো তীব্র হচ্ছে?
লেখক : সাংবাদিক
mohshinhabib@yahoo.com
No comments