টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে হবে
প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার ছাত্ররাজনীতির নামে সংঘাত সহিংসতা: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উত্সাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন।
মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ আজ ছাপা হলো; বাকি অংশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে।
মো. সুহেল হাজারী, ব্যবসায়ী
ভাওয়াল মির্জাপুর বাজার, গাজীপুর
যারা ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সংঘাত করে তারা ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী। তা না হলে লেখাপড়া বাদ দিয়ে অহেতুক সংঘাত করার সময় কীভাবে পায়। এদের বিরুদ্ধে সরকার যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, তবেই জনমনে শান্তি আসবে।
মাসুদ পারভেজ, শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি
ছাত্ররাজনীতির নামে লেজুড়বৃত্তির যে ধারা বাংলাদেশে বয়ে আসছে, তা এ দেশে কোনো কল্যাণ বয়ে আনছে না। যে ছাত্রসমাজ দেশের আদর্শ ও ভবিষ্যত্, তারাই আজ জনগণের ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় ছাত্ররা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন—এসবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে কার্যকরী আইন ও ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক রাজনীতির নীতিমালা থাকা আবশ্যক।
সোহাগ, শিক্ষার্থী, শেওড়াপাড়া, ঢাকা
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না হলে বাংলাদেশ একধাপ পিছিয়ে যাবে। সরকার ও বিরোধী দলের উচিত এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া।
জীবন, শিক্ষার্থী, বিএল কলেজ, খুলনা
ছাত্ররাজনীতি রাজনীতির একটি বড় অংশ, কিন্তু বর্তমানে এখানে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের সক্রিয় হওয়া উচিত।
রহিমা আক্তার মৌ, লেখক, তেজগাঁও, ঢাকা
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় প্রভাব বন্ধ করা উচিত। দলীয় প্রভাব বন্ধ না করলে এভাবেই চলবে; ছাত্ররা নিজের মতো করে নিজেদের তৈরি করে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। দলীয় প্রভাবমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই।
জাহাঙ্গীর আলম, চাকরিজীবী, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু গত এক বছরেও আমরা এর কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। আমরা চাই, শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাসমুক্ত হোক, ছাত্রদের অপরাজনীতি কঠোর হাতে দমন করা হোক। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী
আমার মনে হয়, ছাত্ররাজনীতি শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজগুলোতে আছে। এ রাজনীতি মূলত শুরু হয় হল দখল দিয়ে। কোনো দলীয় প্রভাব ছাড়াই যদি ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থা হয়, তবে এ রাজনীতি বন্ধ করা সম্ভব।
শতাব্দী গুণ, শিক্ষার্থী, নারায়ণগঞ্জ
রাজনীতির মতো এক সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক অধিকারকে কিছুসংখ্যক ছাত্র পুঁজি করে দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে অন্যায় ও অরাজকতার সৃষ্টি করছে, তা সত্যিই জাতির জন্য লজ্জার। এর প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।
শেখ মেহেদী রাসেল, শিক্ষার্থী, সিলেট
ছাত্ররাজনীতির নামে সংঘাত ও সহিংসতার গভীর নিন্দা জানাই। ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। আমরা আশা করি, দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে আসা এই সরকার তা পারবে।
মো. আবদুল্লা আল জাবেদ
শিক্ষার্থী, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
রাজনীতি মানুষকে বড় হতে সাহায্য করে। আবার সেই রাজনীতি মানুষকে ছোট করে দেয়। ছাত্ররাজনীতির নামে এখন যা হচ্ছে তা দিয়ে বড় হওয়া সম্ভব নয়, শুধু ছোটই হতে হবে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এই পথ পরিহার করতে হবে।
সুজিত কুমার রায়
মেডিকেল প্রতিনিধি, কুমারখালী, কুষ্টিয়া
ছাত্ররাজনীতির নামে সংঘাত ও সহিংসতা অবশ্যই একটি নিন্দনীয় বিষয়। বিশেষ করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগ শিক্ষাঙ্গনে যে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে, তা আমাদের সবাইকে অবাক করেছে। তাই সরকারকে তার ভাবমূর্তি ধরে রাখতে অবশ্যই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মুশফিকুর রহমান
চাকরিজীবী ভৈরব, কিশোরগঞ্জ
ছাত্ররাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে আলাপ-আলোচনা, যুক্তি-তর্ক দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসছে। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য জমা দেওয়া গঠনতন্ত্রে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্রসংগঠনের স্থান নেই। ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এটা নিঃসন্দেহে ভালো পদক্ষেপ। এবার দরকার নিয়মিত এবং সময়মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এখানে ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্রলীগের নামে নয়—প্যানেল পরিচিতিতে নির্বাচন হবে। তাহলে ছাত্ররাজনীতির নামে এসব অপকর্ম বন্ধ হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
মো. আমিনুর রহমান, শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি
ছাত্ররাজনীতিতে আর মেধাবী ছাত্ররা যাচ্ছে না। পেছনের সারির দুর্নীতিগ্রস্ত ছাত্ররাই ছাত্ররাজনীতি করছে। এদের কাছ থেকে আমরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ছাড়া ভালো কিছু আশা করতে পারি না। তাই আমার মতে, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
মুহাম্মদ জিন্নাহ ভূঁইয়া
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কয়েক বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও খুনের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড চলছে। আশা করেছিলাম, নতুন সরকারের দিনবদলের প্রত্যয়ে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের রাজনীতির অবসান হবে। কিন্তু গত এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা ছিল। প্রধানমন্ত্রী বারবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।
মো. রাশেদ খান, শিক্ষার্থী, শ্যামলী, ঢাকা
ছাত্ররাজনীতির নামে আমাদের দেশে যে অপকর্ম চলছে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর। যারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস করে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত। রাজনীতি করতে হবে দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে।
মো. রুবেল, শিক্ষার্থী
সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, টাঙ্গাইল
আমি একজন ছাত্র হিসেবে এই ছাত্ররাজনীতি সমর্থন করি না। যারা ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বিশ্বজিত্, শিক্ষার্থী, খুলনা
ছাত্ররাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব একটি রাজনৈতিক দলকে কলুষিত করতে পারে। এখানে দলীয় ক্ষমতার দাপটের ভিত্তিতে অনৈতিক কাজগুলো ঘটে থাকে। তাই আমি বলব, রাজনৈতিক দলের এই লেজটাকে একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
তাপস হালদার, শিক্ষার্থী, পাংশা, রাজবাড়ী
ছাত্রজীবনই হচ্ছে সংগ্রামের। এটা হতে হবে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নয়—এ সংগ্রাম পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে। ছাত্ররাজনীতির কারণে যে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।
নুরুজ্জামান, চাকরিজীবী, বরিশাল
ছাত্ররাজনীতির নামে সংঘাত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ৫০ শতাংশ কাজ করেছেন মাত্র। এখন এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করে বাকি ৫০ শতাংশ কাজ করবেন বলে আশা করি। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য আইন পাস করে জাতিকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করবেন।
মাধব মিত্র, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমি মনে করি, ছাত্ররাজনীতির ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকা উচিত এবং সেসব বিধিনিষেধ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।
ফয়সাল আরমান, শিক্ষার্থী, লালমোহন, ভোলা
ছাত্ররাজনীতির নামে প্রতিনিয়ত যেভাবে সংঘাত-সহিংসতা চলছে, তা থেকে উত্তরণের পথ না খুঁজে পেলে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে থাকবে।
বুলেট, ব্যবসায়ী, কল্যাণপুর, ঢাকা
দীর্ঘদিনের ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার। একই সঙ্গে প্রয়োজন শিক্ষক-রাজনীতিও বন্ধ করা। একটি খোলা রেখে অন্যটি বন্ধ করে কোনো লাভ হবে না। তবে ছাত্র ও শিক্ষকেরা তাঁদের পছন্দের দল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে করতেই পারেন। এ ক্ষেত্রে বাধা থাকা উচিত নয়।
এম এ বাকিবিল্লাহ
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্ররাজনীতির নামে সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি সম্পর্কে সব শ্রেণীর মানুষের জানা আছে। কাজেই যত শিগগির সম্ভব ছাত্ররাজনীতি সম্পূর্ণ বন্ধ করা দরকার। সব শ্রেণীর মানুষের প্রতি যদি সরকারের আস্থা থাকে এবং ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের মনমানসিকতা না থাকে তাহলে এ বিষয়ে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করি।
মাসুম আহমেদ
শিক্ষার্থী, আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
ছাত্ররাজনীতির নামে সংঘাত-সহিংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্ররাজনীতির নামে যারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ওয়াহিদ মুরাদ, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
ছাত্ররাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি বন্ধ করতে হলে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি আরও পরিচ্ছন্ন করতে হবে। কোনোক্রমেই ছাত্রদের উসকানি দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করলে টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি ইত্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে কমবে। আমাদের বর্তমান সময়ে মেধাশূন্য বাংলাদেশ গড়ে ওঠার একটা অশুভ সংকেত লক্ষ করছি, এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ছাত্রদের পাঠে মনোযোগী হতে হবে।
সনজিত্ কুমার দত্ত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা
জগন্নাথ হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কোনো সন্তান যদি খারাপ পথে যায় তা দেখার দায়িত্ব থাকে মা-বাবা বা অভিভাবকের। তেমনি কোনো ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য যদি সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে, তা দেখার দায়িত্ব থাকে মূল রাজনৈতিক দলের। তাই সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারি দল এবং প্রধান বিরোধী দলকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। উভয় দলের মতৈক্য ছাড়া এগুলো বন্ধ করা সম্ভব নয়।
সালেহীন রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ
ছাত্ররাজনীতির একটি গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে, যেটির ধারক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যারা ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত করার লক্ষ্যে ৭৫-পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসনের মাধ্যমে রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়নের দিকে ধাবিত করেছিল তাদেরই অনুপ্রবেশকারীরা আজকের ছাত্ররাজনীতিকে সংঘাত-সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে ছাত্ররাজনীতি করি, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত দিনবদলের ২০২১ সালকে তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে ছাত্রলীগের নেতাদের বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অনন্ত ইব্রাহীম, শিক্ষার্থী, উত্তরা, ঢাকা
যারা রাজনীতির নামে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন ও সন্ত্রাস করছে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়। এ ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মণি অরণ্য, কৃষক, সাভার, নবীনগর
১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স, তারা আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শিশু শ্রেণীর অন্তর্গত। এবং ১৮ বছরের ওপরে যাদের বয়স, তারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক। এই বয়স থেকে প্রতিটি মানুষ গণতন্ত্রচর্চা করতে পারে। অর্থাত্ নিজের মতামত রাষ্ট্র বা মানুষকে বলতে পারে, তাই ছাত্ররাজনীতি বন্ধের প্রশ্নই ওঠে না। বন্ধ করতে হবে যারা কোমল হূদয়ের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের উপদ্রুব। মানবতা-আপ্লুত শিশুর হূদয় মানব সেবার কথা বলে ভুল পথে ধাবিত করা হচ্ছে। তারুণ্যই মানুষের মূল শক্তি। এ শক্তি ব্যবহার করতে হবে আমাদের লক্ষ্যমাত্রায়। আমরা বড়রা অপরাধমুক্ত হলে ছাত্র তথা ছোটরা সুন্দর মানুষ হয়ে যাবে; উপহার দেবে সুন্দর সমাজ, সুন্দর পৃথিবী।
ইসতিয়াক বারী, শিক্ষার্থী
হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ
ছাত্ররাজনীতি আমাদের প্রয়োজন রয়েছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এর অপব্যবহার যেন না হয়।
মো. সাইফুদ্দিন, শিক্ষার্থী, রায়েরবাগ, ঢাকা
আমরা দেখেছি যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলের ছাত্রসংগঠন নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের নামে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। সুতরাং আমাদের বুঝতে বাকি থাকে না, কারা এদের মদদ দেয় আর কারা এদের ব্যবহার করে। এ জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে হবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করতে হবে প্রশাসন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত পুলিশ রাখতে হবে। এবং এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের হাতে।
বাপ্পী, ব্যবসায়ী, সদরঘাট চট্টগ্রাম
আমি মনে করি ছাত্ররাজনীতির সংঘাতে মূল কারণ অর্থ। কারণ ছাত্রসংগঠনের সব নেতাই বয়স্ক ও বিবাহিত। তাদের টাকার প্রয়োজন। এ জন্যই তারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া
চাকরিজীবী, বনানী, ঢাকা
ছাত্ররা রাজনীতি করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছুসংখ্যক অছাত্র রাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র ভর্তি হয়ে আছে, তাই তাদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে হবে।
নির্মল কুমার বর্মণ
অনলাইন সাব এডিটর, দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট
আওয়ামী লীগের দিনবদলের সনদ মূলত ব্যাহত হচ্ছে ছাত্রলীগের কারণে। আমি মনে করি এ বিষয়ে এখনই একটি নীতিমালা নির্ধারণ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলকেও এগিয়ে আসতে হবে। তবেই সমাধান সম্ভব।
ফাতেমা, গৃহিণী, উত্তরা, ঢাকা
আমার মতে ছাত্রসংগঠনের ৯০ শতাংশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। এর শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সজাগ হতে হবে।
খালেকুর রহমান
সমাজকর্মী, গোলাপগঞ্জ, সিলেট
ছাত্ররাজনীতির নামে সহিংসতা এক দিনে আসেনি। রাজনৈতিক মদদে ক্ষমতা আর অর্থলিপ্সায় ছাত্ররা বিভোর। তাই শিক্ষাঙ্গন তটস্থ। আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে ছাত্ররাজনীতির অতীত ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
মো. সুহেল হাজারী, ব্যবসায়ী
ভাওয়াল মির্জাপুর বাজার, গাজীপুর
যারা ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সংঘাত করে তারা ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী। তা না হলে লেখাপড়া বাদ দিয়ে অহেতুক সংঘাত করার সময় কীভাবে পায়। এদের বিরুদ্ধে সরকার যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, তবেই জনমনে শান্তি আসবে।
মাসুদ পারভেজ, শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি
ছাত্ররাজনীতির নামে লেজুড়বৃত্তির যে ধারা বাংলাদেশে বয়ে আসছে, তা এ দেশে কোনো কল্যাণ বয়ে আনছে না। যে ছাত্রসমাজ দেশের আদর্শ ও ভবিষ্যত্, তারাই আজ জনগণের ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় ছাত্ররা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন—এসবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে কার্যকরী আইন ও ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক রাজনীতির নীতিমালা থাকা আবশ্যক।
সোহাগ, শিক্ষার্থী, শেওড়াপাড়া, ঢাকা
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না হলে বাংলাদেশ একধাপ পিছিয়ে যাবে। সরকার ও বিরোধী দলের উচিত এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া।
জীবন, শিক্ষার্থী, বিএল কলেজ, খুলনা
ছাত্ররাজনীতি রাজনীতির একটি বড় অংশ, কিন্তু বর্তমানে এখানে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের সক্রিয় হওয়া উচিত।
রহিমা আক্তার মৌ, লেখক, তেজগাঁও, ঢাকা
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয় প্রভাব বন্ধ করা উচিত। দলীয় প্রভাব বন্ধ না করলে এভাবেই চলবে; ছাত্ররা নিজের মতো করে নিজেদের তৈরি করে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। দলীয় প্রভাবমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই।
জাহাঙ্গীর আলম, চাকরিজীবী, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু গত এক বছরেও আমরা এর কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। আমরা চাই, শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাসমুক্ত হোক, ছাত্রদের অপরাজনীতি কঠোর হাতে দমন করা হোক। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী
আমার মনে হয়, ছাত্ররাজনীতি শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজগুলোতে আছে। এ রাজনীতি মূলত শুরু হয় হল দখল দিয়ে। কোনো দলীয় প্রভাব ছাড়াই যদি ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থা হয়, তবে এ রাজনীতি বন্ধ করা সম্ভব।
শতাব্দী গুণ, শিক্ষার্থী, নারায়ণগঞ্জ
রাজনীতির মতো এক সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক অধিকারকে কিছুসংখ্যক ছাত্র পুঁজি করে দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে অন্যায় ও অরাজকতার সৃষ্টি করছে, তা সত্যিই জাতির জন্য লজ্জার। এর প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।
শেখ মেহেদী রাসেল, শিক্ষার্থী, সিলেট
ছাত্ররাজনীতির নামে সংঘাত ও সহিংসতার গভীর নিন্দা জানাই। ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। আমরা আশা করি, দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে আসা এই সরকার তা পারবে।
মো. আবদুল্লা আল জাবেদ
শিক্ষার্থী, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
রাজনীতি মানুষকে বড় হতে সাহায্য করে। আবার সেই রাজনীতি মানুষকে ছোট করে দেয়। ছাত্ররাজনীতির নামে এখন যা হচ্ছে তা দিয়ে বড় হওয়া সম্ভব নয়, শুধু ছোটই হতে হবে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এই পথ পরিহার করতে হবে।
সুজিত কুমার রায়
মেডিকেল প্রতিনিধি, কুমারখালী, কুষ্টিয়া
ছাত্ররাজনীতির নামে সংঘাত ও সহিংসতা অবশ্যই একটি নিন্দনীয় বিষয়। বিশেষ করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগ শিক্ষাঙ্গনে যে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে, তা আমাদের সবাইকে অবাক করেছে। তাই সরকারকে তার ভাবমূর্তি ধরে রাখতে অবশ্যই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মুশফিকুর রহমান
চাকরিজীবী ভৈরব, কিশোরগঞ্জ
ছাত্ররাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে আলাপ-আলোচনা, যুক্তি-তর্ক দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসছে। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য জমা দেওয়া গঠনতন্ত্রে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্রসংগঠনের স্থান নেই। ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এটা নিঃসন্দেহে ভালো পদক্ষেপ। এবার দরকার নিয়মিত এবং সময়মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এখানে ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্রলীগের নামে নয়—প্যানেল পরিচিতিতে নির্বাচন হবে। তাহলে ছাত্ররাজনীতির নামে এসব অপকর্ম বন্ধ হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
মো. আমিনুর রহমান, শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি
ছাত্ররাজনীতিতে আর মেধাবী ছাত্ররা যাচ্ছে না। পেছনের সারির দুর্নীতিগ্রস্ত ছাত্ররাই ছাত্ররাজনীতি করছে। এদের কাছ থেকে আমরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ছাড়া ভালো কিছু আশা করতে পারি না। তাই আমার মতে, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
মুহাম্মদ জিন্নাহ ভূঁইয়া
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কয়েক বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও খুনের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড চলছে। আশা করেছিলাম, নতুন সরকারের দিনবদলের প্রত্যয়ে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের রাজনীতির অবসান হবে। কিন্তু গত এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা ছিল। প্রধানমন্ত্রী বারবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।
মো. রাশেদ খান, শিক্ষার্থী, শ্যামলী, ঢাকা
ছাত্ররাজনীতির নামে আমাদের দেশে যে অপকর্ম চলছে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর। যারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস করে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত। রাজনীতি করতে হবে দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে।
মো. রুবেল, শিক্ষার্থী
সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, টাঙ্গাইল
আমি একজন ছাত্র হিসেবে এই ছাত্ররাজনীতি সমর্থন করি না। যারা ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বিশ্বজিত্, শিক্ষার্থী, খুলনা
ছাত্ররাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব একটি রাজনৈতিক দলকে কলুষিত করতে পারে। এখানে দলীয় ক্ষমতার দাপটের ভিত্তিতে অনৈতিক কাজগুলো ঘটে থাকে। তাই আমি বলব, রাজনৈতিক দলের এই লেজটাকে একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
তাপস হালদার, শিক্ষার্থী, পাংশা, রাজবাড়ী
ছাত্রজীবনই হচ্ছে সংগ্রামের। এটা হতে হবে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নয়—এ সংগ্রাম পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে। ছাত্ররাজনীতির কারণে যে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।
নুরুজ্জামান, চাকরিজীবী, বরিশাল
ছাত্ররাজনীতির নামে সংঘাত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ৫০ শতাংশ কাজ করেছেন মাত্র। এখন এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করে বাকি ৫০ শতাংশ কাজ করবেন বলে আশা করি। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য আইন পাস করে জাতিকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করবেন।
মাধব মিত্র, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমি মনে করি, ছাত্ররাজনীতির ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকা উচিত এবং সেসব বিধিনিষেধ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।
ফয়সাল আরমান, শিক্ষার্থী, লালমোহন, ভোলা
ছাত্ররাজনীতির নামে প্রতিনিয়ত যেভাবে সংঘাত-সহিংসতা চলছে, তা থেকে উত্তরণের পথ না খুঁজে পেলে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে থাকবে।
বুলেট, ব্যবসায়ী, কল্যাণপুর, ঢাকা
দীর্ঘদিনের ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার। একই সঙ্গে প্রয়োজন শিক্ষক-রাজনীতিও বন্ধ করা। একটি খোলা রেখে অন্যটি বন্ধ করে কোনো লাভ হবে না। তবে ছাত্র ও শিক্ষকেরা তাঁদের পছন্দের দল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে করতেই পারেন। এ ক্ষেত্রে বাধা থাকা উচিত নয়।
এম এ বাকিবিল্লাহ
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্ররাজনীতির নামে সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি সম্পর্কে সব শ্রেণীর মানুষের জানা আছে। কাজেই যত শিগগির সম্ভব ছাত্ররাজনীতি সম্পূর্ণ বন্ধ করা দরকার। সব শ্রেণীর মানুষের প্রতি যদি সরকারের আস্থা থাকে এবং ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের মনমানসিকতা না থাকে তাহলে এ বিষয়ে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করি।
মাসুম আহমেদ
শিক্ষার্থী, আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
ছাত্ররাজনীতির নামে সংঘাত-সহিংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্ররাজনীতির নামে যারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ওয়াহিদ মুরাদ, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
ছাত্ররাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি বন্ধ করতে হলে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি আরও পরিচ্ছন্ন করতে হবে। কোনোক্রমেই ছাত্রদের উসকানি দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করলে টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি ইত্যাদি যথেষ্ট পরিমাণে কমবে। আমাদের বর্তমান সময়ে মেধাশূন্য বাংলাদেশ গড়ে ওঠার একটা অশুভ সংকেত লক্ষ করছি, এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ছাত্রদের পাঠে মনোযোগী হতে হবে।
সনজিত্ কুমার দত্ত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা
জগন্নাথ হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কোনো সন্তান যদি খারাপ পথে যায় তা দেখার দায়িত্ব থাকে মা-বাবা বা অভিভাবকের। তেমনি কোনো ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য যদি সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে, তা দেখার দায়িত্ব থাকে মূল রাজনৈতিক দলের। তাই সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারি দল এবং প্রধান বিরোধী দলকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। উভয় দলের মতৈক্য ছাড়া এগুলো বন্ধ করা সম্ভব নয়।
সালেহীন রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ
ছাত্ররাজনীতির একটি গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে, যেটির ধারক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যারা ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত করার লক্ষ্যে ৭৫-পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসনের মাধ্যমে রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়নের দিকে ধাবিত করেছিল তাদেরই অনুপ্রবেশকারীরা আজকের ছাত্ররাজনীতিকে সংঘাত-সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে ছাত্ররাজনীতি করি, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত দিনবদলের ২০২১ সালকে তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে ছাত্রলীগের নেতাদের বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অনন্ত ইব্রাহীম, শিক্ষার্থী, উত্তরা, ঢাকা
যারা রাজনীতির নামে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন ও সন্ত্রাস করছে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়। এ ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মণি অরণ্য, কৃষক, সাভার, নবীনগর
১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স, তারা আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শিশু শ্রেণীর অন্তর্গত। এবং ১৮ বছরের ওপরে যাদের বয়স, তারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক। এই বয়স থেকে প্রতিটি মানুষ গণতন্ত্রচর্চা করতে পারে। অর্থাত্ নিজের মতামত রাষ্ট্র বা মানুষকে বলতে পারে, তাই ছাত্ররাজনীতি বন্ধের প্রশ্নই ওঠে না। বন্ধ করতে হবে যারা কোমল হূদয়ের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের উপদ্রুব। মানবতা-আপ্লুত শিশুর হূদয় মানব সেবার কথা বলে ভুল পথে ধাবিত করা হচ্ছে। তারুণ্যই মানুষের মূল শক্তি। এ শক্তি ব্যবহার করতে হবে আমাদের লক্ষ্যমাত্রায়। আমরা বড়রা অপরাধমুক্ত হলে ছাত্র তথা ছোটরা সুন্দর মানুষ হয়ে যাবে; উপহার দেবে সুন্দর সমাজ, সুন্দর পৃথিবী।
ইসতিয়াক বারী, শিক্ষার্থী
হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ
ছাত্ররাজনীতি আমাদের প্রয়োজন রয়েছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এর অপব্যবহার যেন না হয়।
মো. সাইফুদ্দিন, শিক্ষার্থী, রায়েরবাগ, ঢাকা
আমরা দেখেছি যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলের ছাত্রসংগঠন নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের নামে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। সুতরাং আমাদের বুঝতে বাকি থাকে না, কারা এদের মদদ দেয় আর কারা এদের ব্যবহার করে। এ জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে হবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করতে হবে প্রশাসন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত পুলিশ রাখতে হবে। এবং এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের হাতে।
বাপ্পী, ব্যবসায়ী, সদরঘাট চট্টগ্রাম
আমি মনে করি ছাত্ররাজনীতির সংঘাতে মূল কারণ অর্থ। কারণ ছাত্রসংগঠনের সব নেতাই বয়স্ক ও বিবাহিত। তাদের টাকার প্রয়োজন। এ জন্যই তারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া
চাকরিজীবী, বনানী, ঢাকা
ছাত্ররা রাজনীতি করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছুসংখ্যক অছাত্র রাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র ভর্তি হয়ে আছে, তাই তাদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে হবে।
নির্মল কুমার বর্মণ
অনলাইন সাব এডিটর, দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট
আওয়ামী লীগের দিনবদলের সনদ মূলত ব্যাহত হচ্ছে ছাত্রলীগের কারণে। আমি মনে করি এ বিষয়ে এখনই একটি নীতিমালা নির্ধারণ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলকেও এগিয়ে আসতে হবে। তবেই সমাধান সম্ভব।
ফাতেমা, গৃহিণী, উত্তরা, ঢাকা
আমার মতে ছাত্রসংগঠনের ৯০ শতাংশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। এর শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সজাগ হতে হবে।
খালেকুর রহমান
সমাজকর্মী, গোলাপগঞ্জ, সিলেট
ছাত্ররাজনীতির নামে সহিংসতা এক দিনে আসেনি। রাজনৈতিক মদদে ক্ষমতা আর অর্থলিপ্সায় ছাত্ররা বিভোর। তাই শিক্ষাঙ্গন তটস্থ। আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে ছাত্ররাজনীতির অতীত ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
No comments