পবিত্র কোরআনের আলো-সম্পত্তির ওয়ারিশ ও উত্তরাধিকার-সংক্রান্ত বণ্টন বিধিমালা
১০. ইন্নাল্লাযীনা ইয়া'কুলূনা আমওয়া-লাল ইয়াতা-মা যুলমান, ইন্নামা ইয়া'কুলূনা ফী বুতূনিহিম না-রা; ওয়া ছাইয়াসলাওনা ছায়ী'রা। ১১. ইউসীকুমুল্লা-হু ফী আওলাদিকুম; লিয্যাকারি মিছলু হায্যিল উনছাইয়াইনি; ফাইন কুন্না নিছা-আন ফাওক্বা ইছ্নাতাইনি ফালাহুন্না ছুলুছা মা তারাকা; ওয়া ইন কা-নাত ওয়া-হিদাতান ফালাহান নিসফু; ওয়া
লিআবাওয়াইহি লিকুলি্ল ওয়া-হিদিম্ মিনহুমাস ছুদুছু মিম্মা তারাকা, ইন কা-না লাহূ ওয়ালাদুন; ফাইন লাম ইয়াকুল্ লাহূ ওয়ালাদুন ওয়া ওয়ারিছাহূ আবাওয়া-হু ফালিউম্মিহিস ছুলুছু; ফাইন কা-না লাহূ ইখওয়াতুন ফালিউম্মিহিস ছুদুছু মিম্ বা'দি ওয়াসিয়্যাতিন, ইঊসী বিহা আও দাইনিন; আ-বা-উকুম ওয়া আবনা-উকুম লা-তাদরূনা আয়্যুহুম আক্বরাবু লাকুম নাফআ'ন ফারীদ্বাতাম্ মিনাল্লাহি; ইন্নাল্লা-হা কা-না আ'লীমান হাকীমা।
[সুরা : আন নিছা, আয়াত : ১০-১১]
অনুবাদ : ১০. যারা অন্যায়ভাবে এতিমদের সম্পদ ভক্ষণ করে, তারা যেন আগুন দিয়েই তাদের পেট ভর্তি করে। অচিরেই তারা জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। ১১. আল্লাহতায়ালা বিধান দিচ্ছেন তোমাদের সন্তানদের উত্তরাধিকার ও ওয়ারিশ-সংক্রান্ত বিষয়ে। সেখানে এক ছেলের অংশ হবে দুই কন্যার সমান। হ্যাঁ (যদি ছেলে না থাকে এবং) কন্যাসন্তান দুই বা এর বেশি হলে তাদের জন্য পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দুই-তৃতীয়াংশ। আর যদি কন্যা একজন হয়, তবে তার জন্য সব সম্পত্তির অর্ধেক। মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার মাতা-পিতা প্রত্যেকের জন্য থাকবে ছয় ভাগের এক ভাগ। অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির যদি কোনো সন্তান না থাকে এবং মাতা-পিতাই যদি হয় উত্তরাধিকারী, তাহলে মায়ের অংশ হবে তিন ভাগের এক ভাগ।
আবার মৃত ব্যক্তির যদি কোনো ভাইবোন থাকে, তবে মায়ের হবে ছয় ভাগের এক ভাগ। এই বণ্টন হবে মৃত ব্যক্তির ওসিয়ত পূরণ ও ঋণ পরিশোধ করার পর। তোমরা জানো না, তোমাদের মাতা-পিতা অথবা সন্তান সম্পত্তির মধ্যে কে তোমাদের জন্য উপকারের দিক থেকে বেশি নিকটবর্তী। এই ব্যবস্থা হচ্ছে আল্লাহর বিধান, নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা সব কিছু সম্পর্কে ওয়াকিফহাল ও প্রজ্ঞাময়।
ব্যাখ্যা : (১১ নম্বর আয়াত থেকে শুরু হয়েছে ফরায়েজ তথা মৃত ব্যক্তির সম্পদের উত্তরাধিকার ও ওয়ারিশ-সংক্রান্ত ভাগ-বাটোয়ারা বিষয়ে।)
এই আয়াতের প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির পুত্র ও কন্যা উভয়ই যখন থাকে তখন এক পুত্র দুই কন্যার সমান সম্পত্তি পাবে। অন্যভাবে বলতে গেলে কন্যা পুত্রের অর্ধেক পাবে। এখানে এই অর্ধেক পাওয়ার অর্থ কন্যা মর্যাদায় পুত্রের অর্ধেক এমন নয়। এখানে নারী-পুরুষের সামাজিক অবস্থান বিবেচ্য। এ ছাড়াও বিবেচনার বিষয় হচ্ছে স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে মোহরানা ও খোরপোশের অধিকার পায় এবং স্বামীর সম্পদ ভোগদখল করে। অন্য অবস্থায় মৃত ব্যক্তির যদি পুত্র না থাকে, তবে দুই বা এর বেশি কন্যা থাকলে তারা সবাই মিলে দুই-তৃতীয়াংশ এবং একমাত্র কন্যাসন্তান থাকলে সে সমগ্র সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। এখানে প্রশ্ন ওঠে, কন্যা বা কন্যারা পুত্রদের মতো সব সম্পত্তি পাবে না কেন? এর উত্তর হচ্ছে, নারীর সামাজিক অবস্থানের কারণেই এ ব্যবস্থা। ইসলাম ধর্মে উইল ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করে ওয়ারিশ ও উত্তরাধিকারীদের হক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে_এর তাৎপর্যও এ আয়াতে বলা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : আন নিছা, আয়াত : ১০-১১]
অনুবাদ : ১০. যারা অন্যায়ভাবে এতিমদের সম্পদ ভক্ষণ করে, তারা যেন আগুন দিয়েই তাদের পেট ভর্তি করে। অচিরেই তারা জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। ১১. আল্লাহতায়ালা বিধান দিচ্ছেন তোমাদের সন্তানদের উত্তরাধিকার ও ওয়ারিশ-সংক্রান্ত বিষয়ে। সেখানে এক ছেলের অংশ হবে দুই কন্যার সমান। হ্যাঁ (যদি ছেলে না থাকে এবং) কন্যাসন্তান দুই বা এর বেশি হলে তাদের জন্য পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দুই-তৃতীয়াংশ। আর যদি কন্যা একজন হয়, তবে তার জন্য সব সম্পত্তির অর্ধেক। মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার মাতা-পিতা প্রত্যেকের জন্য থাকবে ছয় ভাগের এক ভাগ। অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির যদি কোনো সন্তান না থাকে এবং মাতা-পিতাই যদি হয় উত্তরাধিকারী, তাহলে মায়ের অংশ হবে তিন ভাগের এক ভাগ।
আবার মৃত ব্যক্তির যদি কোনো ভাইবোন থাকে, তবে মায়ের হবে ছয় ভাগের এক ভাগ। এই বণ্টন হবে মৃত ব্যক্তির ওসিয়ত পূরণ ও ঋণ পরিশোধ করার পর। তোমরা জানো না, তোমাদের মাতা-পিতা অথবা সন্তান সম্পত্তির মধ্যে কে তোমাদের জন্য উপকারের দিক থেকে বেশি নিকটবর্তী। এই ব্যবস্থা হচ্ছে আল্লাহর বিধান, নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা সব কিছু সম্পর্কে ওয়াকিফহাল ও প্রজ্ঞাময়।
ব্যাখ্যা : (১১ নম্বর আয়াত থেকে শুরু হয়েছে ফরায়েজ তথা মৃত ব্যক্তির সম্পদের উত্তরাধিকার ও ওয়ারিশ-সংক্রান্ত ভাগ-বাটোয়ারা বিষয়ে।)
এই আয়াতের প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির পুত্র ও কন্যা উভয়ই যখন থাকে তখন এক পুত্র দুই কন্যার সমান সম্পত্তি পাবে। অন্যভাবে বলতে গেলে কন্যা পুত্রের অর্ধেক পাবে। এখানে এই অর্ধেক পাওয়ার অর্থ কন্যা মর্যাদায় পুত্রের অর্ধেক এমন নয়। এখানে নারী-পুরুষের সামাজিক অবস্থান বিবেচ্য। এ ছাড়াও বিবেচনার বিষয় হচ্ছে স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে মোহরানা ও খোরপোশের অধিকার পায় এবং স্বামীর সম্পদ ভোগদখল করে। অন্য অবস্থায় মৃত ব্যক্তির যদি পুত্র না থাকে, তবে দুই বা এর বেশি কন্যা থাকলে তারা সবাই মিলে দুই-তৃতীয়াংশ এবং একমাত্র কন্যাসন্তান থাকলে সে সমগ্র সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। এখানে প্রশ্ন ওঠে, কন্যা বা কন্যারা পুত্রদের মতো সব সম্পত্তি পাবে না কেন? এর উত্তর হচ্ছে, নারীর সামাজিক অবস্থানের কারণেই এ ব্যবস্থা। ইসলাম ধর্মে উইল ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করে ওয়ারিশ ও উত্তরাধিকারীদের হক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে_এর তাৎপর্যও এ আয়াতে বলা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments