নামেই স্বাধীন দেশ!
এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না_এ রকম দেশি-বিদেশি চাপের কথা হরহামেশাই শোনা যাচ্ছে। দাতা সংস্থা, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং কিছু উন্নত দেশ সর্বদাই আমাদের সরকারকে হুকুম করে যাচ্ছে_এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে।
তাদের কথা না শুনলে সরকারও নাকি বদলে যায়_রাজনীতিবিদরা প্রকাশ্যেই এমন অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, শুধু চাপ নয়, কথা না শুনলে 'অভিভাবক দেশের' মন্ত্রীরা এ দেশে এসে সরকারকে প্রকাশ্যে ধমক দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। সম্প্রতি দেশের গার্মেন্ট শিল্পে ভাঙচুর-অগি্নসংযোগের অনেক ঘটনা ঘটেছে। এসবের পেছনে কিছু এনজিও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ব্যবস্থা নিতে গেলেই নাকি বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর 'প্রচণ্ড' চাপ আসে। তা হলে কি আমাদের হাত-পা বাঁধা পড়ে গেছে? বাংলাদেশ কি তাহলে নামেই একটি স্বাধীন দেশ!
দেশে আড়াই লাখের মতো বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নিত্যদিনের। অনেক এনজিওর বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি, বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার নানা অপতৎপরতা, প্রাপ্ত তহবিলের অপব্যবহার, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সময়ে সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে উস্কে দেওয়াসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না, কারণ ৫০ বছরের পুরনো আইন। অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রমের পর এনজিওগুলোর কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও এক বছরের বেশি সময় ধরে আমলাতন্ত্রের গ্যাঁড়াকলে আটকা পড়ে আছে, আজ পর্যন্ত তা মন্ত্রিসভায় উত্থাপনই করা যায়নি। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে যাওয়া_সে তো অনেক দূর।
সম্প্রতি এনজিও সংস্কৃতির প্রতিভূ এবং বিদেশি মদদপুষ্ট একটি চিহ্নিত মহল দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তথাকথিত জরিপের নামে তারা এ দেশের 'বিচার বিভাগ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত' বলে দেশে-বিদেশে প্রচার-প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। মহলটির হাতে থাকা প্রচারমাধ্যমগুলোও অনবরত বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে। কিন্তু এনজিওর নামে দেশব্যাপী যেসব অনাচার, লুটপাট চলছে তা নিয়ে কোনো কথাই বলছে না। অভিভাবক দেশের অতি পছন্দের একটি এনজিও ভাওয়াল এলাকায় সবচেয়ে বেশি বনভূমি দখল করলেও এই মহলটি কখনো তা নিয়ে টুঁ শব্দটি করেনি। এই মহলটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিবিদদের নানাভাবে কলঙ্কিত করার মাধ্যমে দেশটিতে একটি তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারই অন্যতম উদ্যোগ ছিল দুই নেত্রীকে বিদায় করার অপচেষ্টা। কারণ তারা জানে, এরপর যারা থাকবে তাদের 'কলের পুতুল' বানানো তাদের জন্য কোনো কঠিন কাজ নয়।
আড়াই লাখ এনজিও মূলত 'দরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে' কাজ করে যাচ্ছে, অথচ এ দেশে দারিদ্র্র্য কমছে না। উল্টো দেশের উন্নয়ন নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এনজিও সংস্কৃতির ফসল সেই চিহ্নিত মহলটি আজ এ দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা পারছেও। তাদের সঙ্গে রয়েছে সাবেক ও বর্তমান অনেক ডাকসাইটে আমলা, যাদের কীর্তি এই নতুন আইন প্রণয়নকে ঠেকিয়ে রাখা। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যদি অক্ষুণ্ন থেকে থাকে, তাহলে অবিলম্বে সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এনজিওগুলোর অবৈধ ও অনাকাঙ্ক্ষিত কাজকর্ম অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং সে জন্য প্রয়োজনীয় আইন দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করতে হবে।
দেশে আড়াই লাখের মতো বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নিত্যদিনের। অনেক এনজিওর বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি, বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার নানা অপতৎপরতা, প্রাপ্ত তহবিলের অপব্যবহার, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সময়ে সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে উস্কে দেওয়াসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না, কারণ ৫০ বছরের পুরনো আইন। অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রমের পর এনজিওগুলোর কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও এক বছরের বেশি সময় ধরে আমলাতন্ত্রের গ্যাঁড়াকলে আটকা পড়ে আছে, আজ পর্যন্ত তা মন্ত্রিসভায় উত্থাপনই করা যায়নি। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে যাওয়া_সে তো অনেক দূর।
সম্প্রতি এনজিও সংস্কৃতির প্রতিভূ এবং বিদেশি মদদপুষ্ট একটি চিহ্নিত মহল দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তথাকথিত জরিপের নামে তারা এ দেশের 'বিচার বিভাগ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত' বলে দেশে-বিদেশে প্রচার-প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। মহলটির হাতে থাকা প্রচারমাধ্যমগুলোও অনবরত বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে। কিন্তু এনজিওর নামে দেশব্যাপী যেসব অনাচার, লুটপাট চলছে তা নিয়ে কোনো কথাই বলছে না। অভিভাবক দেশের অতি পছন্দের একটি এনজিও ভাওয়াল এলাকায় সবচেয়ে বেশি বনভূমি দখল করলেও এই মহলটি কখনো তা নিয়ে টুঁ শব্দটি করেনি। এই মহলটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিবিদদের নানাভাবে কলঙ্কিত করার মাধ্যমে দেশটিতে একটি তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারই অন্যতম উদ্যোগ ছিল দুই নেত্রীকে বিদায় করার অপচেষ্টা। কারণ তারা জানে, এরপর যারা থাকবে তাদের 'কলের পুতুল' বানানো তাদের জন্য কোনো কঠিন কাজ নয়।
আড়াই লাখ এনজিও মূলত 'দরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে' কাজ করে যাচ্ছে, অথচ এ দেশে দারিদ্র্র্য কমছে না। উল্টো দেশের উন্নয়ন নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এনজিও সংস্কৃতির ফসল সেই চিহ্নিত মহলটি আজ এ দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা পারছেও। তাদের সঙ্গে রয়েছে সাবেক ও বর্তমান অনেক ডাকসাইটে আমলা, যাদের কীর্তি এই নতুন আইন প্রণয়নকে ঠেকিয়ে রাখা। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যদি অক্ষুণ্ন থেকে থাকে, তাহলে অবিলম্বে সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এনজিওগুলোর অবৈধ ও অনাকাঙ্ক্ষিত কাজকর্ম অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং সে জন্য প্রয়োজনীয় আইন দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করতে হবে।
No comments