অচল ঢাকা সচল করো by রুহিন হোসেন প্রিন্স
ঢাকা সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী আমেজ না এলেও প্রচার, মনোনয়ন 'দেওয়া-না দেওয়া'র কতক মুখরোচক ঘটনা ঘটছে। সচেতন মহলে প্রশ্ন_নির্বাচন হবে কি? নির্বাচনের পর ঢাকার সমস্যাগুলোর সমাধান হবে কি? ভালো প্রার্থী পাব কি? ভালো প্রার্থীরা কি নির্বাচিত হতে পারবেন?
রাজধানীর এক কোটি ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষ স্বল্পবিত্ত, নিম্নবিত্ত। ৪০ লাখের ওপর বস্তিবাসী। কয়েক লাখ ছিন্নমূল মানুষ রয়েছে এ শহরে। পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকট, বাড়ি ভাড়া-গাড়ি ভাড়া, যানজট-টেন্ডারবাজি, জনজট, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, অপহরণ, খুন, সড়ক দুর্ঘটনা, ভাঙাচোরা রাস্তা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা, অপ্রতুল পরিবহন ব্যবস্থা, বায়ুদূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়ন, বেকারত্ব আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের 'রাজধানী মূল্য' সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। এসব মিলিয়ে ঢাকা শহর অচল হয়ে পড়েছে। 'অচল ঢাকা সচল করো'_ এই জনপ্রিয় স্লোগানে আন্দোলন হচ্ছে মাঝে মধ্যে। এই স্লোগান মনে মনে লালন করে রাজধানীবাসী সবাই। নির্বাচনকে ঘিরে তাই অচল ঢাকা সচল করার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান দেখতে চায় নাগরিক সমাজ।
ঢাকা বিভক্তির দাবি ঢাকাবাসীর পক্ষ থেকে ওঠেনি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এর পরও ঢাকাকে এগিয়ে নিতে হবে। এ জন্য বর্তমানের মেয়রকেন্দ্রিক প্রশাসন ও ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ওয়ার্ডকে কেন্দ্র করে মহল্লাকেন্দ্রিক জনমণ্ডলীনির্ভর নগর প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে মেয়রের ভূমিকা হবে ব্যাপক জনউদ্যোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নেতার এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঠিক দিকনির্দেশনা_ এসব ক্ষেত্রে সমন্বয়কারীর মেয়র অফিস হবে নাগরিক সেবাকেন্দ্র। ঢাকা সিটিতে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার কাজের সমন্বয় সাধন এবং আমাদের ঐতিহ্য ও দুনিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিকেন্দ্রীকরণের জন্য সরকারকে বাধ্য করার কাজটিও করতে হবে। সর্বোপরি বলা যায়, ঢাকার সচলতা আনতে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে হবে।
নির্বাচনকে ঘিরে জোট-মহাজোট বড় দলগুলোর প্রার্থীদের প্রধান লড়াই হলো দলীয় জোটগত সমর্থন পাওয়া। ওই সব দলের রিজার্ভ (!) ভোটের আশাই এদের কাছে প্রধান।
কাউন্সিলর নির্বাচন সামনে রেখে সন্ত্রাসীরা তৎপর। নিজেদের বাক্সে নানাভাবে ভোটের পাল্লা ভারী করতে অতীতে যেমন তাদের ব্যবহার করা হয়েছে; এবারও যে হবে না_ এমন কথা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না।
এ ধারার বিপরীতে জনস্বার্থ নিয়ে ভাবেন, এমন প্রার্থী নেই বা থাকবেন না_ এমনটি নয়। তাদের বাহারি প্রচার নেই। থাকবে না, আর সম্ভবও নয়। মেয়র নির্বাচনে লাখো টাকা জামানত দিতেও তো নাভিশ্বাস; যারা দীর্ঘদিন ধরে নিজের স্বার্থের বাইরে মানুষের কথা, সামগ্রিক উন্নয়নের কথা ভাবেন। অচল ঢাকা সচল করতে নানাভাবে ভূমিকা পালন করে চলেছেন; সাধারণ মানুষের একজন হিসেবে নিজেকে ভাবেন_ এমন নেতৃত্ব সামনে আনতে পারলে তারাই এই অচল ঢাকার চাকা সচল করার কাজের সূচনা করতে পারবেন।
পাদটীকা :ফেসবুক খুলে দেখি সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু লিখেছেন_
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নগরজুড়ে লম্বা লম্বা বিলবোর্ড, বহুরঙা পোস্টার-ব্যানার লাগিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তারা তা তুলে ফেলছেন।
তারা দুটি বিষয় এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ করলেন :
তারা অঢেল টাকার মালিক এবং এই টাকা সাদা নয়।
তারা নির্বাচনী আইন এবং বিধান জানেন। তারপরও তারা মানেন না। অর্থাৎ আইনকে যতক্ষণ বুড়ো আঙুল দেখানো যায় ততক্ষণ তারা তা দেখাতে অভ্যস্ত।
উপসংহার :এমন মানুষের হাতে ঢাকা সিটি করপোরেশন পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ নিরাপদ নয়।
ঢাকা বিভক্তির দাবি ঢাকাবাসীর পক্ষ থেকে ওঠেনি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এর পরও ঢাকাকে এগিয়ে নিতে হবে। এ জন্য বর্তমানের মেয়রকেন্দ্রিক প্রশাসন ও ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ওয়ার্ডকে কেন্দ্র করে মহল্লাকেন্দ্রিক জনমণ্ডলীনির্ভর নগর প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে মেয়রের ভূমিকা হবে ব্যাপক জনউদ্যোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নেতার এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঠিক দিকনির্দেশনা_ এসব ক্ষেত্রে সমন্বয়কারীর মেয়র অফিস হবে নাগরিক সেবাকেন্দ্র। ঢাকা সিটিতে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার কাজের সমন্বয় সাধন এবং আমাদের ঐতিহ্য ও দুনিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিকেন্দ্রীকরণের জন্য সরকারকে বাধ্য করার কাজটিও করতে হবে। সর্বোপরি বলা যায়, ঢাকার সচলতা আনতে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে হবে।
নির্বাচনকে ঘিরে জোট-মহাজোট বড় দলগুলোর প্রার্থীদের প্রধান লড়াই হলো দলীয় জোটগত সমর্থন পাওয়া। ওই সব দলের রিজার্ভ (!) ভোটের আশাই এদের কাছে প্রধান।
কাউন্সিলর নির্বাচন সামনে রেখে সন্ত্রাসীরা তৎপর। নিজেদের বাক্সে নানাভাবে ভোটের পাল্লা ভারী করতে অতীতে যেমন তাদের ব্যবহার করা হয়েছে; এবারও যে হবে না_ এমন কথা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না।
এ ধারার বিপরীতে জনস্বার্থ নিয়ে ভাবেন, এমন প্রার্থী নেই বা থাকবেন না_ এমনটি নয়। তাদের বাহারি প্রচার নেই। থাকবে না, আর সম্ভবও নয়। মেয়র নির্বাচনে লাখো টাকা জামানত দিতেও তো নাভিশ্বাস; যারা দীর্ঘদিন ধরে নিজের স্বার্থের বাইরে মানুষের কথা, সামগ্রিক উন্নয়নের কথা ভাবেন। অচল ঢাকা সচল করতে নানাভাবে ভূমিকা পালন করে চলেছেন; সাধারণ মানুষের একজন হিসেবে নিজেকে ভাবেন_ এমন নেতৃত্ব সামনে আনতে পারলে তারাই এই অচল ঢাকার চাকা সচল করার কাজের সূচনা করতে পারবেন।
পাদটীকা :ফেসবুক খুলে দেখি সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু লিখেছেন_
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নগরজুড়ে লম্বা লম্বা বিলবোর্ড, বহুরঙা পোস্টার-ব্যানার লাগিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তারা তা তুলে ফেলছেন।
তারা দুটি বিষয় এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ করলেন :
তারা অঢেল টাকার মালিক এবং এই টাকা সাদা নয়।
তারা নির্বাচনী আইন এবং বিধান জানেন। তারপরও তারা মানেন না। অর্থাৎ আইনকে যতক্ষণ বুড়ো আঙুল দেখানো যায় ততক্ষণ তারা তা দেখাতে অভ্যস্ত।
উপসংহার :এমন মানুষের হাতে ঢাকা সিটি করপোরেশন পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ নিরাপদ নয়।
No comments