অসাধু ডিলারদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে-ওএমএসের চাল কালোবাজারি
দরিদ্র, নিম্নআয়ের মানুষের অন্নকষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে সরকার ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রির যে ব্যবস্থা করেছে, কিছু অসাধু ডিলার তা থেকে বাড়তি মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করছেন। ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিতে তাঁদের বিবেকে বাধছে না। এহেন ঘৃণ্য অপরাধের আরও একটি দৃষ্টান্ত পাওয়া গেল রাজশাহীর বাগমারায়।
গত রোববার রাতে সেখানকার খাদ্যগুদাম থেকে ১২০ বস্তা ওএমএসের চাল পাচারের সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সোমবারের প্রথম আলোয় সেই খবর ছাপা হয়েছে।
এর আগে ১২ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে ৩৭৪ বস্তা ওএমএসের চাল পাচারকালে পুলিশ তিনজনকে আটক করে। এর পাঁচ দিন আগে ৬ এপ্রিল সেখানে ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করার সময় ডিলারের এক কর্মচারী ও একজন ট্রাকচালককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। ১০ এপ্রিল নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৪২ বস্তা ওএমএসের চাল পাচারকালে আটক করে পুলিশ। ৯ এপ্রিল রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ওএমএসের চাল পাচারকালে ডিলার আরিফকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাজেরা খাতুন। ২০ মার্চ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে র্যাবের সদস্যরা ওএমএসের ৫৫০ বস্তা চাল অবৈধভাবে পাচার করার সময় আটক করেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট ডিলার, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, চাল ব্যবসায়ীসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তারও করেন।
ওএমএসের চাল কালোবাজারে পাচার ও বিক্রির এতগুলো ঘটনা ঘটেছে মাত্র এক মাসে। তা ছাড়া এগুলো কেবল ধরা পড়ার ঘটনা, যেগুলোর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত। দেশের কত জায়গায় গোপনে আরও কত পরিমাণ ওএমএসের চাল কালোবাজারে পাচার ও বিক্রি হচ্ছে, তা বলা কঠিন। তবে ধরা পড়ার ঘটনার আধিক্য থেকেই অনুমান করা যায়, গোপনে কত ব্যাপক মাত্রায় তা চলতে পারে।
লক্ষণীয় বিষয়, এসব ক্ষেত্রে যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই যানচালক, যেগুলোতে করে চাল পাচার করা হয়, অথবা সংশ্লিষ্ট ডিলারের কর্মচারী। পাচারকারী ডিলারদের গ্রেপ্তারের ঘটনা কমই ঘটেছে। শুধু গোবিন্দগঞ্জে ও কাপ্তাইয়ে দুজন ডিলার গ্রেপ্তার হয়েছেন। গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাও গ্রেপ্তার হয়েছেন; তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তিনি এখনো কারাগারে আছেন। সেখানকার ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে, তিনিও কারাগারে আছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যদি এমন ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে সম্ভবত অসাধু ডিলারদের সাহস একটু কমত। সরকারের একটি দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচির সুফল আরও ভালোভাবে পাওয়া যেত।
এর আগে ১২ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে ৩৭৪ বস্তা ওএমএসের চাল পাচারকালে পুলিশ তিনজনকে আটক করে। এর পাঁচ দিন আগে ৬ এপ্রিল সেখানে ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করার সময় ডিলারের এক কর্মচারী ও একজন ট্রাকচালককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। ১০ এপ্রিল নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৪২ বস্তা ওএমএসের চাল পাচারকালে আটক করে পুলিশ। ৯ এপ্রিল রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ওএমএসের চাল পাচারকালে ডিলার আরিফকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাজেরা খাতুন। ২০ মার্চ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে র্যাবের সদস্যরা ওএমএসের ৫৫০ বস্তা চাল অবৈধভাবে পাচার করার সময় আটক করেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট ডিলার, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, চাল ব্যবসায়ীসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তারও করেন।
ওএমএসের চাল কালোবাজারে পাচার ও বিক্রির এতগুলো ঘটনা ঘটেছে মাত্র এক মাসে। তা ছাড়া এগুলো কেবল ধরা পড়ার ঘটনা, যেগুলোর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত। দেশের কত জায়গায় গোপনে আরও কত পরিমাণ ওএমএসের চাল কালোবাজারে পাচার ও বিক্রি হচ্ছে, তা বলা কঠিন। তবে ধরা পড়ার ঘটনার আধিক্য থেকেই অনুমান করা যায়, গোপনে কত ব্যাপক মাত্রায় তা চলতে পারে।
লক্ষণীয় বিষয়, এসব ক্ষেত্রে যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই যানচালক, যেগুলোতে করে চাল পাচার করা হয়, অথবা সংশ্লিষ্ট ডিলারের কর্মচারী। পাচারকারী ডিলারদের গ্রেপ্তারের ঘটনা কমই ঘটেছে। শুধু গোবিন্দগঞ্জে ও কাপ্তাইয়ে দুজন ডিলার গ্রেপ্তার হয়েছেন। গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাও গ্রেপ্তার হয়েছেন; তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তিনি এখনো কারাগারে আছেন। সেখানকার ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে, তিনিও কারাগারে আছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যদি এমন ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে সম্ভবত অসাধু ডিলারদের সাহস একটু কমত। সরকারের একটি দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচির সুফল আরও ভালোভাবে পাওয়া যেত।
No comments