কৃষকের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে-হাইব্রিড বীজে চিটা
ফসলের ফলনেই কৃষকের জীবন-জীবিকা। ফলনের হেরফের মানেই কৃষকের মরণ। হাইব্রিড ধানের চাষ করতে গিয়ে এমনই মরণদশা যশোরের তিন শতাধিক কৃষকের। বীজ কিনে, জমি চাষ করার পর এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ শতাংশ ধানই চিটা হয়ে গেছে। চাষ করে কোথায় খাবারের সংস্থান হবে,
সেখানে খরচের টাকা পুরোটাই যাওয়ার অবস্থা হয়েছে! সেই কৃষকেরা এখন রাস্তায় নেমেছেন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন।
দেখা যাচ্ছে তেজ, ঝলক ও মধুমতি নামের তিনটি হাইব্রিড ধানের বীজ যে কৃষকেরা ব্যবহার করেছিলেন, ওই কৃষকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধানগাছ বড় হওয়ার পর শীষ এসেছে ঠিকই, কিন্তু সব চিটা হয়ে যাচ্ছে। বেশি ধান ফলবে সে আশাতেই হাইব্রিড ধানের চাষ করা। চার বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করতে গিয়ে এক কৃষক খরচ করে ফেলেছেন প্রায় ৬০ হাজার টাকা। সঙ্গে পরিশ্রম আর সময় তো গেছেই। সেই কৃষক আমিরুল ইসলামের আশঙ্কা, খড় ছাড়া আর কিছুই ঘরে তোলা যাবে না।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর মহাপরিচালকও ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন যে বিভিন্ন এলাকায় এসব বীজে চাষ করা ধান সম্পূর্ণ চিটা হয়ে গেছে। এমনকি এই পরিস্থিতিতে কৃষকের করণীয় কী, তা-ও তাঁরা কৃষককে জানাতে পারছেন না। হাইব্রিড ধানের চাষ করতে গিয়ে যশোরের কৃষকদের অবস্থা এখন কতটা অসহায়, তা অনুমান করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের নিম্নমানের বীজ কীভাবে বাজারজাত হয়? বীজের মান নিয়ন্ত্রণের কি কোনো ব্যবস্থা নেই? আর চাষ করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে সে ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা দেওয়ার দায়িত্ব তো বীজ বিক্রয়কারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের। দেখা যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রেও তারা ব্যর্থ।
আমরা মনে করি, এ ধরনের বীজের গুণগত মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো বিকল্প নেই। আর যাঁরা বীজ বিক্রি করবেন, সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার সক্ষমতাও সেই প্রতিষ্ঠানটির থাকতে হবে। আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেবে। একই সঙ্গে এই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
দেখা যাচ্ছে তেজ, ঝলক ও মধুমতি নামের তিনটি হাইব্রিড ধানের বীজ যে কৃষকেরা ব্যবহার করেছিলেন, ওই কৃষকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধানগাছ বড় হওয়ার পর শীষ এসেছে ঠিকই, কিন্তু সব চিটা হয়ে যাচ্ছে। বেশি ধান ফলবে সে আশাতেই হাইব্রিড ধানের চাষ করা। চার বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করতে গিয়ে এক কৃষক খরচ করে ফেলেছেন প্রায় ৬০ হাজার টাকা। সঙ্গে পরিশ্রম আর সময় তো গেছেই। সেই কৃষক আমিরুল ইসলামের আশঙ্কা, খড় ছাড়া আর কিছুই ঘরে তোলা যাবে না।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর মহাপরিচালকও ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন যে বিভিন্ন এলাকায় এসব বীজে চাষ করা ধান সম্পূর্ণ চিটা হয়ে গেছে। এমনকি এই পরিস্থিতিতে কৃষকের করণীয় কী, তা-ও তাঁরা কৃষককে জানাতে পারছেন না। হাইব্রিড ধানের চাষ করতে গিয়ে যশোরের কৃষকদের অবস্থা এখন কতটা অসহায়, তা অনুমান করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের নিম্নমানের বীজ কীভাবে বাজারজাত হয়? বীজের মান নিয়ন্ত্রণের কি কোনো ব্যবস্থা নেই? আর চাষ করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে সে ব্যাপারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা দেওয়ার দায়িত্ব তো বীজ বিক্রয়কারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের। দেখা যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রেও তারা ব্যর্থ।
আমরা মনে করি, এ ধরনের বীজের গুণগত মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো বিকল্প নেই। আর যাঁরা বীজ বিক্রি করবেন, সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার সক্ষমতাও সেই প্রতিষ্ঠানটির থাকতে হবে। আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেবে। একই সঙ্গে এই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
No comments