রাস্তায় নামলে হাত পা ভাইঙ্গা যাইবো by তানভীর হোসেন
শিল্পাঞ্চল খ্যাত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পোস্ট অফিস রোডের সামনে সোমবার সকাল থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল ১০-১২টি রিকশা। ফতুল্লা স্টেশন রোড এলাকায় যাওয়ার কথা শুনে যেন তাদের চোখ কপালে গিয়ে ঠেকলো। বললো, ‘ভাইরে আমারে মাফ কইরা দেন, হাইট্টা (হেঁটে) যান। রাস্তার মধ্যে নামলে রিকশা উল্টাইয়া হাত পা ভাঙ্গাই যাইবো’।
দেখা গেল, এ রুট দিয়ে কয়েকটি ট্রাক চলছে। তাও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। চোখের সামনে দূরে একটি রিকশা উল্টানোর দৃশ্যও চোখে পড়লো অন্য এক রিকশাওয়ালার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই।
রিকশা না পেয়ে অগত্যা হাটু পানি পেরিয়ে কিছু দূর এগুনোর পর ভয়াবহ দৃশ্য চোখে পড়লো। এটা রাস্তা না জলাশয় তা বুঝে উঠার কোনো উপায় ছিল না। পোস্ট অফিস রোড হতে ফতুল্লার শিবু মার্কেট পর্যন্ত আসার সড়কটির যত দূর চোখ গিয়েছে, শুধু পানি আর পানি।
রাস্তার ইট-পাথর আর চোখে পড়েনি। অথচ এ সড়কটির উভয় পাশে অন্তত শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও মালামাল আনা নেওয়ার কাজ করতে পরিবহনগুলো সহজেই এখানে প্রবেশ করতে চায় না।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শিল্পাঞ্চলের সড়কগুলোর এ বেহাল দশা হলেও স্থানীয় এলাকাবাসী বলছে, এ সমস্যা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই। বৃষ্টির আগেও সড়কগুলোর একই দশা ছিল। সরকার পরিবর্তন হলেও এসব এলাকার সড়কগুলোর কোনো সংস্কার হয়নি। বরং দিন দিন সড়কগুলোর বেহাল দশা হচ্ছে। ঘটছে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা।
এসব সড়কের শাখা সড়কগুলোর অবস্থাও নাজুক। বৃষ্টি হলেই দিনের পর দিন জমে থাকছে পানি। এতে স্থানীয়দের বিড়ম্বনার অন্ত নেই।
পোস্ট অফিস রোড এলাকার ফার্মেসির দোকানদার শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, পোস্ট অফিস হতে শিবু মার্কেট পর্যন্ত সড়কটির দুই পাশে শত শত মিল কারখানা থাকলেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। এ সড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
ফতুল্লা রেললাইন এলাকার সোবহান শিকদার বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টি ছাড়া অন্য সময়ে যানবাহন ছাড়া সড়ক দিয়ে অন্তত হাটাচলা করা যেত। তখন বড় বড় গর্তগুলো চোখে পড়তো। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে সয়লাব থাকায় এখন গর্ত দেখা যায় না। ফলে মানুষের দুর্ভোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনা।
এ রোডের একটি রি-রোলিং মিলের কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, বিগত ৭ বছর ধরে সড়কটির কারণে এলাকার হাজার হাজার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। মিল কারখানার পণ্য আনা নেওয়া করতে এ সড়ক দেখে পরিবহনগুলো আসতে চায় না। ফলে ব্যবসায়ীদেরও দুর্ভোগ বেড়েছে।
রামারবাগ এলাকার চিকিৎসক মিলন খান বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টির কারণে সড়কে প্রচুর পানি জমে থাকে। পানি নিস্কাশনের কোনো ড্রেন না থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। অনেক সময়ে থাকে হাঁটু পানি। এসব পানির মধ্যেই ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের লোকজনদের জীবন পাড়ি দিতে হচ্ছে।
ফতুল্লা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের লোকজন। ড্রেনের রাস্তায় ময়লা আবর্জনা থাকার কারণেই ময়লা জমছে বলেও জানায় সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা।
বৃষ্টির কারণে ডিএনডি এলাকাতেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নিচু এলাকাতে রয়েছে অনেক বেশি পানি। ডিএনডির পানি নিস্কাশনের খালগুলো ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এলাকার ভুক্তভোগীরা।
রিকশা না পেয়ে অগত্যা হাটু পানি পেরিয়ে কিছু দূর এগুনোর পর ভয়াবহ দৃশ্য চোখে পড়লো। এটা রাস্তা না জলাশয় তা বুঝে উঠার কোনো উপায় ছিল না। পোস্ট অফিস রোড হতে ফতুল্লার শিবু মার্কেট পর্যন্ত আসার সড়কটির যত দূর চোখ গিয়েছে, শুধু পানি আর পানি।
রাস্তার ইট-পাথর আর চোখে পড়েনি। অথচ এ সড়কটির উভয় পাশে অন্তত শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও মালামাল আনা নেওয়ার কাজ করতে পরিবহনগুলো সহজেই এখানে প্রবেশ করতে চায় না।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শিল্পাঞ্চলের সড়কগুলোর এ বেহাল দশা হলেও স্থানীয় এলাকাবাসী বলছে, এ সমস্যা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই। বৃষ্টির আগেও সড়কগুলোর একই দশা ছিল। সরকার পরিবর্তন হলেও এসব এলাকার সড়কগুলোর কোনো সংস্কার হয়নি। বরং দিন দিন সড়কগুলোর বেহাল দশা হচ্ছে। ঘটছে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা।
এসব সড়কের শাখা সড়কগুলোর অবস্থাও নাজুক। বৃষ্টি হলেই দিনের পর দিন জমে থাকছে পানি। এতে স্থানীয়দের বিড়ম্বনার অন্ত নেই।
পোস্ট অফিস রোড এলাকার ফার্মেসির দোকানদার শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, পোস্ট অফিস হতে শিবু মার্কেট পর্যন্ত সড়কটির দুই পাশে শত শত মিল কারখানা থাকলেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। এ সড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
ফতুল্লা রেললাইন এলাকার সোবহান শিকদার বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টি ছাড়া অন্য সময়ে যানবাহন ছাড়া সড়ক দিয়ে অন্তত হাটাচলা করা যেত। তখন বড় বড় গর্তগুলো চোখে পড়তো। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে সয়লাব থাকায় এখন গর্ত দেখা যায় না। ফলে মানুষের দুর্ভোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনা।
এ রোডের একটি রি-রোলিং মিলের কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, বিগত ৭ বছর ধরে সড়কটির কারণে এলাকার হাজার হাজার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। মিল কারখানার পণ্য আনা নেওয়া করতে এ সড়ক দেখে পরিবহনগুলো আসতে চায় না। ফলে ব্যবসায়ীদেরও দুর্ভোগ বেড়েছে।
রামারবাগ এলাকার চিকিৎসক মিলন খান বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টির কারণে সড়কে প্রচুর পানি জমে থাকে। পানি নিস্কাশনের কোনো ড্রেন না থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। অনেক সময়ে থাকে হাঁটু পানি। এসব পানির মধ্যেই ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের লোকজনদের জীবন পাড়ি দিতে হচ্ছে।
ফতুল্লা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের লোকজন। ড্রেনের রাস্তায় ময়লা আবর্জনা থাকার কারণেই ময়লা জমছে বলেও জানায় সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা।
বৃষ্টির কারণে ডিএনডি এলাকাতেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নিচু এলাকাতে রয়েছে অনেক বেশি পানি। ডিএনডির পানি নিস্কাশনের খালগুলো ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এলাকার ভুক্তভোগীরা।
No comments