ভাষা প্রতিযোগ-সবার মুখে ভাষার গান by শেখ আবু হাসান
গত দু-তিন দিন খুলনার আবহাওয়া ছিল বৈরী। কখনো বৃষ্টি, কখনো রোদ। আবার কখনো ঝোড়ো হাওয়া। কিন্তু গতকাল রোববারের আবহাওয়া ছিল একেবারেই তার বিপরীত। ঝকঝকে আকাশে ছিল না ঘন কালো মেঘ।
এমনই চমৎকার আবহাওয়ায় খুলনার ঐতিহ্যবাহী জিলা স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ-২০১২-এর খুলনা অঞ্চলের আসর।
এমনই চমৎকার আবহাওয়ায় খুলনার ঐতিহ্যবাহী জিলা স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ-২০১২-এর খুলনা অঞ্চলের আসর।
উৎসবে যোগ দিতে সকাল আটটা থেকেই খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে খুলনা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে সমবেত হতে শুরু করে। নয়টার আগেই শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে স্কুল প্রাঙ্গণ।
সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা ও ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে খুলনার ভাষাসৈনিক সমীর আহমেদ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অমৃত লাল বালা।
উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন খুলনা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সরকার। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মায়ের ভাষাকে সম্মান করে ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ জন্য নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।’
উদ্বোধনের পর শুরু হয় পরীক্ষা পর্ব। আধা ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে শুরু হয় আকর্ষণীয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ পর্ব সঞ্চালনা করেন ভাষা প্রতিযোগের সমন্বয়কারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তারিক মনজুর।
মজার ও বুদ্ধিদীপ্ত নানা প্রশ্নে পর্বটি মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। খুলনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মিঠির প্রশ্ন, ‘প্রতিযোগ না হয়ে প্রতিযোগিতা হলো না কেন?’ এ ধরনের আরও নানা প্রশ্নে আসর মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। এ পর্বে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক রাজিব মণ্ডল, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের প্রভাষক কুদরত-ই-হুদা, সরকারি বিএল কলেজের সহকারী অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক, প্রথম আলোর উপফিচার সম্পাদক জাহীদ রেজা নূর, এইচএসবিসির কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রশ্নোত্তর পর্বের ফাঁকে ফাঁকে চলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। এ পর্যায়ে ভাষাসংগ্রামী সমীর আহমেদ ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সে সময়ে খুলনার তরুণসমাজের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। তাই ভাষাকে আমাদের মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে।’
এইচএসবিসির কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভাষা প্রতিযোগের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম দেশকে আরও ভালোবাসতে শিখবে। তারা দেশকে আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত করে গড়ে তুলবে।
প্রশ্নোত্তর পর্বের পর সাংস্কৃতিক পর্বে খুলনা বন্ধুসভার সদস্য মনোজ দাস বাঁশি বাজিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। ক্লোজআপ ওয়ান শিল্পী পুলক চারটি গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের আনন্দ দেন।
পরে খুলনা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সরকারের হাতে ভেন্যু স্মারক তুলে দেন ভাষা প্রতিযোগ সমন্বয়কারী তারিক মনজুর।
ফলাফল: প্রাথমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী যারীফ তাবাস্সুম, দ্বিতীয় সাতক্ষীরা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র সিরাজুল আরেফিন ও তৃতীয় হয়েছে ইকবালনগর বালিকা বিদ্যালয়ের তাছফিয়া তাহানিস।
নিম্নমাধ্যমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে খুলনা জিলা স্কুলের তাহমিদ আঞ্জুম, দ্বিতীয় হয়েছে সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের সামিরা তাসমিন ও তৃতীয় হয়েছে টিঅ্যান্ডটি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র মোল্লা আমীর হামজা।
মাধ্যমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে পুলিশলাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্মিতা সরকার, দ্বিতীয় বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাইফ মাহমুদ ও তৃতীয় হয়েছে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের মো. সাব্বির সাঈদী।
উচ্চমাধ্যমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে খুলনা সরকারি সিটি কলেজের অভিজিৎ চক্রবর্তী, দ্বিতীয় হয়েছে খুলনা সরকারি সুন্দরবন কলেজের ছাত্র মো. তাসিন ইসলাম ও তৃতীয় হয়েছে সরকারি বিএল কলেজের ছাত্র মেহেদী রায়হান।
সেরাদের সেরা হয়েছে সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী যারীফা তাবাস্সুম।
সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা ও ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে খুলনার ভাষাসৈনিক সমীর আহমেদ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অমৃত লাল বালা।
উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন খুলনা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সরকার। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মায়ের ভাষাকে সম্মান করে ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ জন্য নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।’
উদ্বোধনের পর শুরু হয় পরীক্ষা পর্ব। আধা ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে শুরু হয় আকর্ষণীয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ পর্ব সঞ্চালনা করেন ভাষা প্রতিযোগের সমন্বয়কারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তারিক মনজুর।
মজার ও বুদ্ধিদীপ্ত নানা প্রশ্নে পর্বটি মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। খুলনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মিঠির প্রশ্ন, ‘প্রতিযোগ না হয়ে প্রতিযোগিতা হলো না কেন?’ এ ধরনের আরও নানা প্রশ্নে আসর মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। এ পর্বে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক রাজিব মণ্ডল, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের প্রভাষক কুদরত-ই-হুদা, সরকারি বিএল কলেজের সহকারী অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক, প্রথম আলোর উপফিচার সম্পাদক জাহীদ রেজা নূর, এইচএসবিসির কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রশ্নোত্তর পর্বের ফাঁকে ফাঁকে চলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। এ পর্যায়ে ভাষাসংগ্রামী সমীর আহমেদ ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সে সময়ে খুলনার তরুণসমাজের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। তাই ভাষাকে আমাদের মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে।’
এইচএসবিসির কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভাষা প্রতিযোগের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম দেশকে আরও ভালোবাসতে শিখবে। তারা দেশকে আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত করে গড়ে তুলবে।
প্রশ্নোত্তর পর্বের পর সাংস্কৃতিক পর্বে খুলনা বন্ধুসভার সদস্য মনোজ দাস বাঁশি বাজিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। ক্লোজআপ ওয়ান শিল্পী পুলক চারটি গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের আনন্দ দেন।
পরে খুলনা জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সরকারের হাতে ভেন্যু স্মারক তুলে দেন ভাষা প্রতিযোগ সমন্বয়কারী তারিক মনজুর।
ফলাফল: প্রাথমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী যারীফ তাবাস্সুম, দ্বিতীয় সাতক্ষীরা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র সিরাজুল আরেফিন ও তৃতীয় হয়েছে ইকবালনগর বালিকা বিদ্যালয়ের তাছফিয়া তাহানিস।
নিম্নমাধ্যমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে খুলনা জিলা স্কুলের তাহমিদ আঞ্জুম, দ্বিতীয় হয়েছে সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের সামিরা তাসমিন ও তৃতীয় হয়েছে টিঅ্যান্ডটি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র মোল্লা আমীর হামজা।
মাধ্যমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে পুলিশলাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্মিতা সরকার, দ্বিতীয় বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাইফ মাহমুদ ও তৃতীয় হয়েছে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের মো. সাব্বির সাঈদী।
উচ্চমাধ্যমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে খুলনা সরকারি সিটি কলেজের অভিজিৎ চক্রবর্তী, দ্বিতীয় হয়েছে খুলনা সরকারি সুন্দরবন কলেজের ছাত্র মো. তাসিন ইসলাম ও তৃতীয় হয়েছে সরকারি বিএল কলেজের ছাত্র মেহেদী রায়হান।
সেরাদের সেরা হয়েছে সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী যারীফা তাবাস্সুম।
No comments