আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ শ্রমিক নেতার লাশ মিলল ঘাটাইলে
সাভারের আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ পোশাক শ্রমিকদের নেতা ও একটি বেসরকারি সংস্থার সংগঠক আমিনুল ইসলামের (৪১) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানা এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে। হত্যার আগে তাঁকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয় বলে জানিয়েছে ঘাটাইল থানার পুলিশ।
নিহত আমিনুলের স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের ধারণা, তাঁর স্বামী ‘গুপ্তহত্যা’র শিকার হয়ে থাকতে পারেন।
আমিনুল রাজধানীর উপকণ্ঠে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাকশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির (বিসিডব্লিউএস) সংগঠক এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা ছিলেন। তিনি গত বুধবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার মধ্য গাজীরচটে বিসিডব্লিউএসের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ঘাটাইল থানার পুলিশ। লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে শুক্রবার দাফন করা হয়। শনিবার পত্রিকায় খবর দেখে তাঁর স্বজনেরা ঘাটাইল থানায় গিয়ে ছবি ও পরনের কাপড় দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন।
এদিকে নিখোঁজের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) হোসনে আরা উল্লেখ করেন, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিসিডব্লিউএসের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর আমিনুল নিখোঁজ হন। তাঁর দুটি মুঠোফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।
হোসনে আরা গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, আমিনুল বিসিডব্লিউএসের বেতনভুক কর্মী ছিলেন। গত ১২ মার্চ বিএনপির মহাসমাবেশের আগে পুলিশ আমিনুলকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের কাছে নাকি তথ্য ছিল আমিনুল ওই মহাসমাবেশে ১০ হাজার লোক দিতে চেয়েছিলেন। পরে তারা তাঁকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু ১২ মার্চ সারা দিনই সরকারি সংস্থার লোকেরা আমিনুলকে নজরদারিতে রেখেছিলেন। ২০১০ সালেও তাঁকে একটি সংস্থা আটক করে নির্যাতন করেছিল।
হোসনে আরা দাবি করেন, সরকারি কোনো সংস্থার লোকজনই তাঁর স্বামীকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে গেছেন।
বিসিডব্লিউএসের নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, সহকর্মীদের কাছে তিনি শুনেছেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে আমিনুলকে স্থানীয় একজন শ্রমিকনেতা ফোন করে জিরানি বাজারে যেতে বলেন। রাত আটটার দিকে ওই শ্রমিকনেতা সংস্থার আরেক সংগঠক লাবনী আক্তারকে ফোন করে আমিনুল কোথায় জানতে চান। আমিনুল জিরানি বাজারে গিয়েছেন এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ধারণা, নির্যাতনের পর হত্যা: লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন মিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে ব্রাহ্মণশাসন মহিলা কলেজের সামনে মহাসড়কের পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে। লাশটি রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে ছিল। তাঁকে অন্য কোথাও হত্যা করে গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়।
পুলিশের ধারণা, প্রচণ্ড নির্যাতনের পর তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ গাড়ি থেকে মহাসড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
এসআই শাহীন মিয়া গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে। ডান হাঁটুর নিচে রক্তাক্ত জখম ছিল। মনে হয়েছে, দুই হাঁটুতে লোহাজাতীয় কিছু দিয়ে পেটানো হয়েছে। দুই পায়ের বুড়ো আঙুল থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।
আমিনুল রাজধানীর উপকণ্ঠে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাকশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির (বিসিডব্লিউএস) সংগঠক এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা ছিলেন। তিনি গত বুধবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার মধ্য গাজীরচটে বিসিডব্লিউএসের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ঘাটাইল থানার পুলিশ। লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে শুক্রবার দাফন করা হয়। শনিবার পত্রিকায় খবর দেখে তাঁর স্বজনেরা ঘাটাইল থানায় গিয়ে ছবি ও পরনের কাপড় দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন।
এদিকে নিখোঁজের বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) হোসনে আরা উল্লেখ করেন, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিসিডব্লিউএসের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর আমিনুল নিখোঁজ হন। তাঁর দুটি মুঠোফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।
হোসনে আরা গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, আমিনুল বিসিডব্লিউএসের বেতনভুক কর্মী ছিলেন। গত ১২ মার্চ বিএনপির মহাসমাবেশের আগে পুলিশ আমিনুলকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের কাছে নাকি তথ্য ছিল আমিনুল ওই মহাসমাবেশে ১০ হাজার লোক দিতে চেয়েছিলেন। পরে তারা তাঁকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু ১২ মার্চ সারা দিনই সরকারি সংস্থার লোকেরা আমিনুলকে নজরদারিতে রেখেছিলেন। ২০১০ সালেও তাঁকে একটি সংস্থা আটক করে নির্যাতন করেছিল।
হোসনে আরা দাবি করেন, সরকারি কোনো সংস্থার লোকজনই তাঁর স্বামীকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে গেছেন।
বিসিডব্লিউএসের নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, সহকর্মীদের কাছে তিনি শুনেছেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে আমিনুলকে স্থানীয় একজন শ্রমিকনেতা ফোন করে জিরানি বাজারে যেতে বলেন। রাত আটটার দিকে ওই শ্রমিকনেতা সংস্থার আরেক সংগঠক লাবনী আক্তারকে ফোন করে আমিনুল কোথায় জানতে চান। আমিনুল জিরানি বাজারে গিয়েছেন এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ধারণা, নির্যাতনের পর হত্যা: লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন মিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে ব্রাহ্মণশাসন মহিলা কলেজের সামনে মহাসড়কের পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে। লাশটি রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে ছিল। তাঁকে অন্য কোথাও হত্যা করে গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়।
পুলিশের ধারণা, প্রচণ্ড নির্যাতনের পর তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ গাড়ি থেকে মহাসড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
এসআই শাহীন মিয়া গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে। ডান হাঁটুর নিচে রক্তাক্ত জখম ছিল। মনে হয়েছে, দুই হাঁটুতে লোহাজাতীয় কিছু দিয়ে পেটানো হয়েছে। দুই পায়ের বুড়ো আঙুল থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।
No comments