শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা?-বিএনপির ‘ধন্যবাদ’ প্রত্যাহার!
বলা হয়, বন্দুকের গুলি আর মুখের কথা একবার বের হলে আর ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। কিন্তু সমুদ্রসীমা নিয়ে বিএনপি সে চেষ্টাই করছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তিতে তারা নাকি না জেনেই সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছিল, এখন সে অবস্থান থেকে তারা সরে আসছে! রাজনীতিতে ভুল করলে তা অকপটে স্বীকার করা
ভালো। ভুল চেপে থাকলে বরং দেশ ও দলের ক্ষতিই হয়। কিন্তু ভুলের যে ব্যাখ্যা দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দিয়েছেন, তা বিস্ময়কর। তিনি বলেছেন, ‘সমুদ্রজয়ের পর সবাই কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, এটি পুরো দেশকে নাড়া দিয়েছিল। এ নিয়ে যে প্রচার শুরু হয়েছিল, তাতে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাই কিছু না জেনেই ধন্যবাদ দিয়েছিলাম।’ প্রশ্ন ওঠে, কথিত ‘না জানার’ অজুহাত কতটা বাস্তব? নাকি রাজনৈতিক কারণে কথা ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা?
বিএনপি অতীতে তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। এ রকম একটি দায়িত্বশীল দল যদি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘না জেনেই’ সমর্থন দেয়, তাহলে তো প্রশ্ন ওঠে, এখন তারা কতটা জেনে-বুঝে সেই আগের ধন্যবাদ প্রত্যাহার করছে? আসলেই কি তারা না জেনে ধন্যবাদ দিয়েছিল, নাকি আগে ঠিকই করেছিল, কিন্তু এখন বিরোধিতার রাজনীতির কারণে তা প্রত্যাহার করছে?
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখন সংসদে সমুদ্রসীমার রায়ের ব্যাপারে সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এমনকি প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান, তখন সবাই প্রশংসা করেছিলেন। এ ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, তাঁরা প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে তাঁরা সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করেন না। এই অবস্থান ও স্পষ্ট ঘোষণা দেশের সংঘাতময় রাজনীতিতে আশার আলো দেখিয়েছিল। রাজনীতিতে দুই দলের সব ব্যাপারে বিরোধিতার সংস্কৃতির অবসানের চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যে প্রধান দুই দল প্রয়োজনে এক হয়ে দাঁড়াতে পারে, তার একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে এত ক্ষণস্থায়ী হবে, তা কে জানত? ধন্যবাদ যদি না জেনেই দিয়ে থাকেন, তাহলে কোথায়, কতটা জানার ভুল ছিল, তা পরিষ্কার করে তাঁরা বলতে পারতেন। এ জন্য তাঁদের উচিত আত্মসমালোচনা করা। না জানার কারণে তাঁরা আর কী কী ভুল করেছেন বা করছেন, সেটাও তাঁদের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা উচিত। কিন্তু এখন তাঁরা যা করছেন, সেটা স্রেফ সেই চিরাচরিত বিরোধিতার রাজনীতি।
সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যথাযথ রায় পেয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশের পক্ষে সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনজীবীরা আশাতিরিক্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বলে দেশে ও বিদেশের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এ তো গৌরবের কথা। এর কৃতিত্ব নিয়ে উৎসব আয়োজনে সরকারের বাড়াবাড়ির অভিযোগ সংগতভাবেই ওঠানো যায়। এসব নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা থাকলে করুন, কিন্তু বাংলাদেশের অর্জনকে খাটো করবেন না। এতে প্রকৃতপক্ষে দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেই খাটো করা হয়।
বিএনপি অতীতে তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। এ রকম একটি দায়িত্বশীল দল যদি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘না জেনেই’ সমর্থন দেয়, তাহলে তো প্রশ্ন ওঠে, এখন তারা কতটা জেনে-বুঝে সেই আগের ধন্যবাদ প্রত্যাহার করছে? আসলেই কি তারা না জেনে ধন্যবাদ দিয়েছিল, নাকি আগে ঠিকই করেছিল, কিন্তু এখন বিরোধিতার রাজনীতির কারণে তা প্রত্যাহার করছে?
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখন সংসদে সমুদ্রসীমার রায়ের ব্যাপারে সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এমনকি প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান, তখন সবাই প্রশংসা করেছিলেন। এ ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, তাঁরা প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে তাঁরা সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করেন না। এই অবস্থান ও স্পষ্ট ঘোষণা দেশের সংঘাতময় রাজনীতিতে আশার আলো দেখিয়েছিল। রাজনীতিতে দুই দলের সব ব্যাপারে বিরোধিতার সংস্কৃতির অবসানের চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যে প্রধান দুই দল প্রয়োজনে এক হয়ে দাঁড়াতে পারে, তার একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে এত ক্ষণস্থায়ী হবে, তা কে জানত? ধন্যবাদ যদি না জেনেই দিয়ে থাকেন, তাহলে কোথায়, কতটা জানার ভুল ছিল, তা পরিষ্কার করে তাঁরা বলতে পারতেন। এ জন্য তাঁদের উচিত আত্মসমালোচনা করা। না জানার কারণে তাঁরা আর কী কী ভুল করেছেন বা করছেন, সেটাও তাঁদের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা উচিত। কিন্তু এখন তাঁরা যা করছেন, সেটা স্রেফ সেই চিরাচরিত বিরোধিতার রাজনীতি।
সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যথাযথ রায় পেয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশের পক্ষে সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনজীবীরা আশাতিরিক্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বলে দেশে ও বিদেশের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এ তো গৌরবের কথা। এর কৃতিত্ব নিয়ে উৎসব আয়োজনে সরকারের বাড়াবাড়ির অভিযোগ সংগতভাবেই ওঠানো যায়। এসব নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা থাকলে করুন, কিন্তু বাংলাদেশের অর্জনকে খাটো করবেন না। এতে প্রকৃতপক্ষে দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেই খাটো করা হয়।
No comments