পাঠকের মন্তব্য-এমন অপরিপক্বতা দেশবাসী প্রত্যাশা করে না
প্রথম আলোর অনলাইনে (prothom-alo.com) প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলা, প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে পাঠকের মতামত প্রকাশিত হয়। তাঁদের এই মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন হযরত আলী
এই প্রতিবেদনটি ৭ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি সম্পর্কে অনেক মন্তব্য এসেছে। আরিফ খান স্বাধীন লিখেছেন: হযরত আলী আপনাকে অভিনন্দন! তবে আপনার বোঝা উচিত ছিল, মোবাইলের চেয়ে আপনার জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের বেডরুম পাহারা দেওয়া সরকারের কাজ নয়, যে দেশে সাগর-রুনির মতো সাংবাদিক ও খালাফের মতো কূটনৈতিকদের হত্যার বিচার হয় না, সে দেশটা তো ছিনতাইকারীদের স্বর্গরাজ্য হবেই।
ইবনে মিজান: এ ঘটনাকে ড. মিজানুর রহমান কীভাবে নেবেন, সেটাই ভাবছি। একটি জিনিস পরিষ্কার হলো যে ছিনতাইকারীরা খালি হাতে আসে না। পিস্তল নিয়েই আসে। আর কেমন দেখলেন, ঠিক এক গুলিতেই হযরতের জীবনাবসান হলো! তার মানে শুধু পিস্তল বা নামে পিস্তল নয়, খুব ভালো ধরনের অস্ত্রই থাকে ওদের কাছে।
আরিফুর রহমান: এভাবেই ভালো মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমছে। সরকারের উচিত, তাঁর পরিবারের সব খরচের ভার বহন করা। কারণ তাঁর মৃত্যুর জন্য সরকারও নিজের দায় এড়াতে পারে না।
বাংলাদেশের সমুদ্রজয়: রায়ের পর কিছু না জেনেই ধন্যবাদ দিয়েছিলাম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের এই বক্তব্য ৭ এপ্রিল অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। পাঠকেরা এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আমির হোসেন লিখেছেন: ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না—প্রবাদটা কি আপনার মনে আছে?
মো. নিজাম উদ্দিন জামান: আপনারা সবকিছুই তো প্রথমে না জেনে বলেন...! একটা বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে এমন অপরিপক্বতা আপনাদের কাছ থেকে দেশবাসী প্রত্যাশা করে না।
শাকের: না বুঝে আবার সিরাপ মনে করে কীটনাশক পান করবেন না। জনগণ আপনার কথার সংশোধন মেনে নিলেও কীটনাশক কিন্তু রেহাই দেবে না। এত দায়িত্বহীনদের কীভাবে জনগণ দেশের পরিচালক বানায় বুঝি না। যাঁদের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই, তাঁরা দেশকে কী দেবে?
ইসরায়েল নিয়ে গুন্টার গ্রাসের কবিতা: পশ্চিমা বিশ্বের কপটতায় ক্লান্ত আমরা
৬ এপ্রিল অনলাইনে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন সম্পর্কে তারিক আল আজিজ লিখেছেন: আপনার মতো আমরাও যারপরনাই বিরক্ত। এসব কপটতার বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হওয়ার বিকল্প নেই।
দিন ইসলাম মামুন: কবিতাটির নাম ‘ভাস গেস্কাট ভেরডেন মুস’ নয়, আসলে নামটা হলো ‘ভাস গেসাগ্ত ভেরদেন মুস’।
এম শওকত আলী: মানবতাবাদী নোবেল বিজয়ী কবি গুন্টার গ্রাস বিবেকের তাড়না থেকেই এই কথাগুলো লিখেছেন, এটা অনস্বীকার্য। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিচারী নীতিই বিশ্বব্যাপী হিংসা, সন্ত্রাসবাদ, গণহত্যা ও ‘ডিহিউম্যানাইজেশন’-এর জন্য দায়ী। পশ্চিমারা ক্লাস্টার বোমা বা ক্রুজ মিসাইল শিয়া-সুন্নি বা আরবি-ফারসি বাছবিচার করে হত্যা করবে না—এ কথা জানা সত্ত্বেও মুসলমানেরা নিজেরা বিভক্ত। এই বিভেদ তাদের শত্রুদের অধিকতর শক্তিশালী করেছে।
‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনাটি সাজানো!
নরসিংদীতে র্যাবের গুলিতে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনাটি সাজানো ছিল বলে ৫ এপ্রিল প্রথম আলোয় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অনেক পাঠক এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। আবদুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন: আহত ব্যক্তিদের ও এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনাটা ছিল সাজানো, তা সহজে অনুমেয়। প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি গ্রহণযোগ্য হতে পারে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নয়।
মো. জুলফিকার আলী: আমরা জনগণ দুই ভাগ হয়ে গেছি। যে জন্য আমরা কেউ বলছি র্যাব খারাপ, আবার কেউ বলছি র্যাবকে ধন্যবাদ। আসলে আমরা দুই দলই ঠিক। শুধু র্যাবকে দোষ দিলে হবে না। অবশ্যই বিচারবহির্ভূত হত্যাকে আমি সমর্থন করি না। কিন্তু সন্ত্রাসীর বিচারের নিশ্চয়তা আগে দিতে হবে। সুতরাং আমি কেবল র্যাবকে দোষারোপ করব না। আমি বলব, র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করে অপরাধীর বিচারের নিশ্চয়তা দিন।
আবুল খায়ের: দুর্যোগে দুঃসাহসী
ছুটির দিনের প্রধান প্রতিবেদন ছিল ফায়ার সার্ভিসের এই অকুতোভয় কর্মী সম্পর্কে। পাঠকেরা তাঁকে অভিবাদন জানিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার খবরে ব্যথিত হয়েছেন। রাশেদ লিখেছেন: খায়ের ভাই, কোটি কোটি সালাম আপনাকে। আপনার মতো মানুষ খুব কম আছে বাংলাদেশে এবং মো. সাইফুল্লাহকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
মাহবুবুল হক: প্রিয়তমা স্ত্রী নূরজাহানকে ‘পৃথিবীর আলো’ দেখাতে চান আরও অনেক দিন। দুঃসাহসী এই যোদ্ধা জীবনযুদ্ধে এত সহজে হার মানার লোক নন, বোঝা যায় তাঁর কথায়, ‘ভাই, যত টাকাই লাগুক, আমি আমার স্ত্রীরে ভালো কইরা তুলমু।’ চোখে জল এসে গেল। আমাদের দেশে অনেক ধনী লোক আছেন। দয়া করে সবাই এই দুঃসাহসী যোদ্ধার পাশে এগিয়ে আসুন।
শ্রাবণ হাসান: একজন সত্যিকারের নায়ক। আমাদের এই ঘুণে ধরা সমাজে এসব মানুষ আছেন বলেই এখনো আমরা বেঁচে আছি। সারা জীবন শুধু অপরের জন্যই করে গেলেন, কিন্তু আজ তাঁর নিজের ঘরে স্ত্রী অসুস্থ, ছেলে অভাবের জন্য লেগুনা চালায়, মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ! কী হবে ‘প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়ে? তাঁর দিকে নজর দেওয়ার কি কেউ নেই? প্রথম আলোর কাছে অনুরোধ, তাঁর স্ত্রীর জন্য একটা ফান্ড গঠন করার জন্য।
সৈয়দ জহিরুল ইসলাম: তিনিই সত্যিকারের বাঙালি যোদ্ধা। আমাদের উচিত তাঁকে সাহায্য করা। সাহায্য করলে অবশ্যই তাঁর স্ত্রী সেরে উঠবেন। তাঁর প্রতি রইল অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। আপনি বেঁচে থাকুন আরও ১০০ বছর।
দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে কানাডা
আলোচিত কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে কানাডার পুলিশ। ৫ এপ্রিল প্রকাশিত এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় জামান লিখেছেন: পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে যেসব কর্মকর্তা কমিশন চেয়েছেন, আমরা তাঁদের পরিচয় জানার এবং বাংলার মাটিতে বিচার দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
শেখ মনির: বিশ্বব্যাংকও ধোয়া তুলসীপাতা নয়। অন্তত অতীত অভিজ্ঞতা তা-ই বলে। তারা দাতাদের স্বার্থেই কাজ করে। পৃথিবীর অনেক উন্নয়নশীল দেশ বিশ্বব্যাংককে পাশ কাটিয়ে যায়। যা-ই হোক, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে দোষীদের সাজা আমরাও চাই।
ফরহাদ খান: দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে কানাডা কিন্তু বাংলাদেশ দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। রতনে রতন চেনে আর আমাদের বাঙালি দুদক কর্মকর্তারা বাঙালিদের চেনেন। তাই দুর্নীতি খুঁজে পাননি। এখন কোন দেশের কর্মকর্তারা মিথ্যা বলছেন? হয় কানাডা, নয় বাংলাদেশের।
এত বিদ্যুৎ উৎপাদন করলাম, তা যেন চোখেই পড়ে না
লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ-পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। ৩ এপ্রিল এই খবর প্রকাশের পর পাঠকও ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন। জুলফিকার লিখেছেন: গোয়েন্দা দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন, কোনো সিন্ডিকেট বা মজুদদার আবার হিমাগারে সংরক্ষণ করল কি না, বেশি লাভের লোভে। সামনে রমজান মাস, অনেক পণ্যের মতো বিদ্যুৎ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে পারবে।
মো. মোহসীন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বিদ্যুৎ উৎপাদন যতই বাড়ান না কেন, সত্যি সত্যি জনগণ কোনো দিনই দেখতে পারবে না। কারণ বিদ্যুৎ তো একটা তরঙ্গ, এটা খালি চোখে দেখা যায় না, কেউ কখনো দেখবেও না। তবে বিদ্যুতের ব্যবহার দেখা যায়, উপভোগ করা যায়, অনুভব করা যায়। মুশকিল হচ্ছে সেটাই। কেউ ভালোভাবে এর ব্যবহার, উপভোগ বা অনুভব কোনোটাই করতে পারছে না। এটার অভাবের কারণে যে কষ্ট হচ্ছে, তা অনুভব করতে পারছে বলে রাস্তায় এখন মিছিল দেখা যাচ্ছে, কিন্তু কেউই বিদ্যুৎ দেখতে পাচ্ছে না।
মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যারা সমালোচনা করে, তারাই আপনার বন্ধু, আর যারা ভুল কাজেও আপনার প্রশংসা করে, তারা আপনার শত্রু। বিদ্যুৎ বন্ধ করে শিক্ষা দেবেন—এ রকম সস্তা কথা প্রতিহিংসাপরায়ণতার প্রকাশ। বিদ্যুতের কী অবস্থা, তা এ দেশের মানুষ জানে। কিন্তু আপনার মতে, সেই কথা বলা যাবে না। হায় দেশ! হায় প্রধানমন্ত্রী!
এই প্রতিবেদনটি ৭ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি সম্পর্কে অনেক মন্তব্য এসেছে। আরিফ খান স্বাধীন লিখেছেন: হযরত আলী আপনাকে অভিনন্দন! তবে আপনার বোঝা উচিত ছিল, মোবাইলের চেয়ে আপনার জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের বেডরুম পাহারা দেওয়া সরকারের কাজ নয়, যে দেশে সাগর-রুনির মতো সাংবাদিক ও খালাফের মতো কূটনৈতিকদের হত্যার বিচার হয় না, সে দেশটা তো ছিনতাইকারীদের স্বর্গরাজ্য হবেই।
ইবনে মিজান: এ ঘটনাকে ড. মিজানুর রহমান কীভাবে নেবেন, সেটাই ভাবছি। একটি জিনিস পরিষ্কার হলো যে ছিনতাইকারীরা খালি হাতে আসে না। পিস্তল নিয়েই আসে। আর কেমন দেখলেন, ঠিক এক গুলিতেই হযরতের জীবনাবসান হলো! তার মানে শুধু পিস্তল বা নামে পিস্তল নয়, খুব ভালো ধরনের অস্ত্রই থাকে ওদের কাছে।
আরিফুর রহমান: এভাবেই ভালো মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমছে। সরকারের উচিত, তাঁর পরিবারের সব খরচের ভার বহন করা। কারণ তাঁর মৃত্যুর জন্য সরকারও নিজের দায় এড়াতে পারে না।
বাংলাদেশের সমুদ্রজয়: রায়ের পর কিছু না জেনেই ধন্যবাদ দিয়েছিলাম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের এই বক্তব্য ৭ এপ্রিল অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। পাঠকেরা এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আমির হোসেন লিখেছেন: ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না—প্রবাদটা কি আপনার মনে আছে?
মো. নিজাম উদ্দিন জামান: আপনারা সবকিছুই তো প্রথমে না জেনে বলেন...! একটা বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে এমন অপরিপক্বতা আপনাদের কাছ থেকে দেশবাসী প্রত্যাশা করে না।
শাকের: না বুঝে আবার সিরাপ মনে করে কীটনাশক পান করবেন না। জনগণ আপনার কথার সংশোধন মেনে নিলেও কীটনাশক কিন্তু রেহাই দেবে না। এত দায়িত্বহীনদের কীভাবে জনগণ দেশের পরিচালক বানায় বুঝি না। যাঁদের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই, তাঁরা দেশকে কী দেবে?
ইসরায়েল নিয়ে গুন্টার গ্রাসের কবিতা: পশ্চিমা বিশ্বের কপটতায় ক্লান্ত আমরা
৬ এপ্রিল অনলাইনে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন সম্পর্কে তারিক আল আজিজ লিখেছেন: আপনার মতো আমরাও যারপরনাই বিরক্ত। এসব কপটতার বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হওয়ার বিকল্প নেই।
দিন ইসলাম মামুন: কবিতাটির নাম ‘ভাস গেস্কাট ভেরডেন মুস’ নয়, আসলে নামটা হলো ‘ভাস গেসাগ্ত ভেরদেন মুস’।
এম শওকত আলী: মানবতাবাদী নোবেল বিজয়ী কবি গুন্টার গ্রাস বিবেকের তাড়না থেকেই এই কথাগুলো লিখেছেন, এটা অনস্বীকার্য। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিচারী নীতিই বিশ্বব্যাপী হিংসা, সন্ত্রাসবাদ, গণহত্যা ও ‘ডিহিউম্যানাইজেশন’-এর জন্য দায়ী। পশ্চিমারা ক্লাস্টার বোমা বা ক্রুজ মিসাইল শিয়া-সুন্নি বা আরবি-ফারসি বাছবিচার করে হত্যা করবে না—এ কথা জানা সত্ত্বেও মুসলমানেরা নিজেরা বিভক্ত। এই বিভেদ তাদের শত্রুদের অধিকতর শক্তিশালী করেছে।
‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনাটি সাজানো!
নরসিংদীতে র্যাবের গুলিতে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনাটি সাজানো ছিল বলে ৫ এপ্রিল প্রথম আলোয় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অনেক পাঠক এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। আবদুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন: আহত ব্যক্তিদের ও এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনাটা ছিল সাজানো, তা সহজে অনুমেয়। প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি গ্রহণযোগ্য হতে পারে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নয়।
মো. জুলফিকার আলী: আমরা জনগণ দুই ভাগ হয়ে গেছি। যে জন্য আমরা কেউ বলছি র্যাব খারাপ, আবার কেউ বলছি র্যাবকে ধন্যবাদ। আসলে আমরা দুই দলই ঠিক। শুধু র্যাবকে দোষ দিলে হবে না। অবশ্যই বিচারবহির্ভূত হত্যাকে আমি সমর্থন করি না। কিন্তু সন্ত্রাসীর বিচারের নিশ্চয়তা আগে দিতে হবে। সুতরাং আমি কেবল র্যাবকে দোষারোপ করব না। আমি বলব, র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করে অপরাধীর বিচারের নিশ্চয়তা দিন।
আবুল খায়ের: দুর্যোগে দুঃসাহসী
ছুটির দিনের প্রধান প্রতিবেদন ছিল ফায়ার সার্ভিসের এই অকুতোভয় কর্মী সম্পর্কে। পাঠকেরা তাঁকে অভিবাদন জানিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার খবরে ব্যথিত হয়েছেন। রাশেদ লিখেছেন: খায়ের ভাই, কোটি কোটি সালাম আপনাকে। আপনার মতো মানুষ খুব কম আছে বাংলাদেশে এবং মো. সাইফুল্লাহকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
মাহবুবুল হক: প্রিয়তমা স্ত্রী নূরজাহানকে ‘পৃথিবীর আলো’ দেখাতে চান আরও অনেক দিন। দুঃসাহসী এই যোদ্ধা জীবনযুদ্ধে এত সহজে হার মানার লোক নন, বোঝা যায় তাঁর কথায়, ‘ভাই, যত টাকাই লাগুক, আমি আমার স্ত্রীরে ভালো কইরা তুলমু।’ চোখে জল এসে গেল। আমাদের দেশে অনেক ধনী লোক আছেন। দয়া করে সবাই এই দুঃসাহসী যোদ্ধার পাশে এগিয়ে আসুন।
শ্রাবণ হাসান: একজন সত্যিকারের নায়ক। আমাদের এই ঘুণে ধরা সমাজে এসব মানুষ আছেন বলেই এখনো আমরা বেঁচে আছি। সারা জীবন শুধু অপরের জন্যই করে গেলেন, কিন্তু আজ তাঁর নিজের ঘরে স্ত্রী অসুস্থ, ছেলে অভাবের জন্য লেগুনা চালায়, মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ! কী হবে ‘প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়ে? তাঁর দিকে নজর দেওয়ার কি কেউ নেই? প্রথম আলোর কাছে অনুরোধ, তাঁর স্ত্রীর জন্য একটা ফান্ড গঠন করার জন্য।
সৈয়দ জহিরুল ইসলাম: তিনিই সত্যিকারের বাঙালি যোদ্ধা। আমাদের উচিত তাঁকে সাহায্য করা। সাহায্য করলে অবশ্যই তাঁর স্ত্রী সেরে উঠবেন। তাঁর প্রতি রইল অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। আপনি বেঁচে থাকুন আরও ১০০ বছর।
দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে কানাডা
আলোচিত কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে কানাডার পুলিশ। ৫ এপ্রিল প্রকাশিত এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় জামান লিখেছেন: পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে যেসব কর্মকর্তা কমিশন চেয়েছেন, আমরা তাঁদের পরিচয় জানার এবং বাংলার মাটিতে বিচার দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
শেখ মনির: বিশ্বব্যাংকও ধোয়া তুলসীপাতা নয়। অন্তত অতীত অভিজ্ঞতা তা-ই বলে। তারা দাতাদের স্বার্থেই কাজ করে। পৃথিবীর অনেক উন্নয়নশীল দেশ বিশ্বব্যাংককে পাশ কাটিয়ে যায়। যা-ই হোক, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে দোষীদের সাজা আমরাও চাই।
ফরহাদ খান: দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে কানাডা কিন্তু বাংলাদেশ দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। রতনে রতন চেনে আর আমাদের বাঙালি দুদক কর্মকর্তারা বাঙালিদের চেনেন। তাই দুর্নীতি খুঁজে পাননি। এখন কোন দেশের কর্মকর্তারা মিথ্যা বলছেন? হয় কানাডা, নয় বাংলাদেশের।
এত বিদ্যুৎ উৎপাদন করলাম, তা যেন চোখেই পড়ে না
লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ-পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। ৩ এপ্রিল এই খবর প্রকাশের পর পাঠকও ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন। জুলফিকার লিখেছেন: গোয়েন্দা দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন, কোনো সিন্ডিকেট বা মজুদদার আবার হিমাগারে সংরক্ষণ করল কি না, বেশি লাভের লোভে। সামনে রমজান মাস, অনেক পণ্যের মতো বিদ্যুৎ অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে পারবে।
মো. মোহসীন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বিদ্যুৎ উৎপাদন যতই বাড়ান না কেন, সত্যি সত্যি জনগণ কোনো দিনই দেখতে পারবে না। কারণ বিদ্যুৎ তো একটা তরঙ্গ, এটা খালি চোখে দেখা যায় না, কেউ কখনো দেখবেও না। তবে বিদ্যুতের ব্যবহার দেখা যায়, উপভোগ করা যায়, অনুভব করা যায়। মুশকিল হচ্ছে সেটাই। কেউ ভালোভাবে এর ব্যবহার, উপভোগ বা অনুভব কোনোটাই করতে পারছে না। এটার অভাবের কারণে যে কষ্ট হচ্ছে, তা অনুভব করতে পারছে বলে রাস্তায় এখন মিছিল দেখা যাচ্ছে, কিন্তু কেউই বিদ্যুৎ দেখতে পাচ্ছে না।
মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যারা সমালোচনা করে, তারাই আপনার বন্ধু, আর যারা ভুল কাজেও আপনার প্রশংসা করে, তারা আপনার শত্রু। বিদ্যুৎ বন্ধ করে শিক্ষা দেবেন—এ রকম সস্তা কথা প্রতিহিংসাপরায়ণতার প্রকাশ। বিদ্যুতের কী অবস্থা, তা এ দেশের মানুষ জানে। কিন্তু আপনার মতে, সেই কথা বলা যাবে না। হায় দেশ! হায় প্রধানমন্ত্রী!
No comments