নির্বাচন কমিশনের প্রথম চ্যালেঞ্জ
টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আসন্ন। ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের আগ্রহের শেষ নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের প্রত্যাশা জানতে টেলিফোনে মন্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। তার নির্বাচিত অংশ
এখানে প্রকাশ করা হলো_
নজরুল ইসলাম
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা
মেয়র ও কমিশনার পদে যারা নির্বাচন করবেন তারা যেন সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হন। রাজনৈতিক দলগুলো যেন তেমন প্রার্থীকেই সমর্থন দেয়, যাদের নামে সন্ত্রাসী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ নেই। এমন ব্যক্তিরা নির্বাচিত হোক যারা যানজটমুক্ত, দূষণমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ঢাকা উপহার প্রদানের জন্য কাজ করবে।
তারেক
শিক্ষার্থী, মিরসরাই
সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত। দলমত নির্বিশেষে সুষ্ঠু নির্বাচন। নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন সুষ্ঠু হোক আশা করি। নতুন নির্বাচন কমিশনের এটাই প্রথম চ্যালেঞ্জ।
রাদিয়া আফরোজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা
ডিসিসি নির্বাচনে ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, দলীয় স্বার্থের দিকে মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচন স্বচ্ছ হতে সাহায্য করুন। সেবা চাই। রাবণ না, রাম চাই।
নুরুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এ সরকার ঢাকাকে দু'ভাগ করেছে। তাই সরকারকেই প্রমাণ করতে হবে স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা নির্বাচন করতে পারে।
জহির রায়হান
শিক্ষক, চৌদ্দগ্রাম
সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে নগরবাসীর দ্বারপ্রান্তে সেবা পেঁৗছে।
ফারুক আহমেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের শাসনামলে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জনগণকে বিদ্যুৎ সেবা দিতে পারেনি, বর্তমান সরকার দু'ভাগ করে মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ থাকল।
ওমর ফারুক সিদ্দিকী
শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঢাকাকে বিভক্ত করা হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থে। এতে দেশের কোনো কল্যাণ হবে না। স্বাধীনতার ৪১ বছর পর সিটি করপোরেশনের বিভক্তিকরণ ক্ষতিকর। এটা বর্তমান সরকারের নিজেদের স্বার্থে করা হয়েছে।
মোঃ শামছুল হক
কৃষক, কুড়িগ্রাম
বিভক্তিকরণ ভালো উদ্যোগ। ভালো লোক নির্বাচিত হোক। সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হোক।
মোঃ আরিফুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রত্যেকবার নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলা হলেও তা বন্ধ হয় না। কথার ফুলঝুরি যেন না হয়। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হবে, যাতে সুন্দর, বসবাসযোগ্য ঢাকা নগর পাই। এখানে অনেক সমস্যা। নির্বাচিতরা সমাধান করতে আন্তরিক হবেন কি? নাকি মনোযোগ থাকবে আখের গোছাতে?
মোঃ সালাহ উদ্দিন
চাকরিজীবী, বাংলামটর, ঢাকা
আশা করি, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যাতে আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করতে পারি। প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভুলে যাবেন না বলেই প্রত্যাশা। নির্বাচন হবে অ-রাজনৈতিক ভিত্তিতে। কিন্তু সেটা তো কাগজে-কলমে। তাই চাইব, দলমত নির্বিশেষে সবাই এতে অংশ নেবে।
সাইফুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, মহাখালী
সিটি করপোরেশন মানুষের উপকারের জন্য। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীরা নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে দ্বারে দ্বারে যান ও মানুষের মন জয় করে নেন। কিন্তু তারা যখন মেয়র-কমিশনার হয়ে যান তাদের পিএসের কাছে পর্যন্ত যাওয়া যায় না। তারা যে আশা-ভরসা দেন, সেই রকম কোনো কিছুই তাদের কার্যক্রমে থাকে না।
সমকালের এই ডিসিসি নির্বাচন বিষয়ে মতামত আহ্বান দেখে ভালো লাগছে। যারা মেয়র বা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী, তাদের মধ্যে যোগ্য ব্যক্তি দেখে নির্বাচিত করা আমাদের দায়িত্ব। প্রার্থীরাও এভাবে মানুষের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করুন।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তি করলে কিছু আসে-যায় না। আমরা যারা সাধারণ নাগরিক, ঢাকায় ভালোভাবে বসবাস করতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি চাই। মশা, নোংরা-আবর্জনা, যানজট থেকে মুক্ত থাকতে ও ভালো পরিবেশের আশায় যোগ্য মেয়র চাই। যোগ্য ব্যক্তিকেই আমরা ভোট দেব। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। সমকালকে ধন্যবাদ জানাই এ রকম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
নূরে আলম সিদ্দিকী মজনু
মেঘনা, কুমিল্লা
ডিসিসি নির্বাচন সরকার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবে, এটাই কাম্য। এই সরকার যেন ফলাফল নির্ধারণে কোনো হস্তক্ষেপ না করে।
আবদুুর রহিম
সহকারী শিক্ষক, নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
পিরোজপুর
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরকার যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বিরোধী দল যেন সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
মোঃ আজহারুল ইসলাম
প্রবাসী, চরপাড়া, ময়মনসিংহ
সরকার ডিসিসিকে বিভক্ত করেছে উন্নয়নকে জনগণের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা কি উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি? সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় দেশবাসী। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা জরুরি। নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। সেনা মোতায়েন ছাড়াও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
মোঃ রমজান আলী
গীতিকার/কণ্ঠশিল্পী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরকার যে ইচ্ছা নিয়ে ঢাকা সিটিকে দু'ভাগ করেছে, সে আশা পূরণ হবে না। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে বলে মনে হয় না। তবু প্রত্যাশা করি, সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন হোক। সমকালকে ধন্যবাদ।
লতিফুল আলম
ব্যবসায়ী, এলিফ্যান্ট রোড
ভালো প্রার্থী নির্বাচিত হোক। নগরে এখন অনেক অনেক সমস্যা।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
শ্রমিক লীগ কর্মী, ঝিনাইদহ
এ নির্বাচন সম্পন্ন হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নাগরিক সুবিধা বাড়াতে পারবেন। এতে গণতন্ত্রের ভিতও মজবুত হবে। গোটা দেশেও এর প্রভাব পড়বে।
আসিফ করিম
গোপীবাগ, ঢাকা
বর্তমান সরকারের আমলে গঠিত নির্বাচন কমিশনের সামনে এটাই প্রথম চ্যালেঞ্জ। সরকারি দলের জনপ্রিয়তা কমেছে, সেটা স্পষ্ট। এ কারণেই তিন বছরে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দেওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় তারা পরাজিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যদি রাজধানীর দুটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিরোধীদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের দাবি আরও জোরালো হবে। আশা করব, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে এবং সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্রগুলোতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হবে।
আয়শা খানম
ধানমণ্ডি, ঢাকা
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই অবৈধ ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজধানী। এর পেছনে প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। আগের নির্বাচন কমিশন এ ধরনের নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিল। কিন্তু নতুন কমিশন তেমন উদ্যোগ দেখাতে পারছে না কেন?
আনোয়ারা বেগম
মতিঝিল, ঢাকা
ইতিমধ্যে কয়েকজন নিজেদের মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। দুটি করপোরেশনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। কিন্তু তারা যোগ্য ও সৎ এবং সন্ত্রাসকে সমর্থন করেন না, সেটা কি বলতে পারছি?
নিরব
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কোনো বিশেষ আগ্রহ নেই। প্রার্থী হিসেবে যারা নিজেদের ঢোল পেটাতে শুরু করেছেন তারা আদৌ জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারছে না। এমন ব্যক্তিরা জয়ী হলে সিটি করপোরেশনের কোনো উন্নয়ন হবে না।
নজরুল ইসলাম
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা
মেয়র ও কমিশনার পদে যারা নির্বাচন করবেন তারা যেন সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হন। রাজনৈতিক দলগুলো যেন তেমন প্রার্থীকেই সমর্থন দেয়, যাদের নামে সন্ত্রাসী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ নেই। এমন ব্যক্তিরা নির্বাচিত হোক যারা যানজটমুক্ত, দূষণমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ঢাকা উপহার প্রদানের জন্য কাজ করবে।
তারেক
শিক্ষার্থী, মিরসরাই
সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত। দলমত নির্বিশেষে সুষ্ঠু নির্বাচন। নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন সুষ্ঠু হোক আশা করি। নতুন নির্বাচন কমিশনের এটাই প্রথম চ্যালেঞ্জ।
রাদিয়া আফরোজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা
ডিসিসি নির্বাচনে ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, দলীয় স্বার্থের দিকে মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচন স্বচ্ছ হতে সাহায্য করুন। সেবা চাই। রাবণ না, রাম চাই।
নুরুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এ সরকার ঢাকাকে দু'ভাগ করেছে। তাই সরকারকেই প্রমাণ করতে হবে স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা নির্বাচন করতে পারে।
জহির রায়হান
শিক্ষক, চৌদ্দগ্রাম
সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে নগরবাসীর দ্বারপ্রান্তে সেবা পেঁৗছে।
ফারুক আহমেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের শাসনামলে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জনগণকে বিদ্যুৎ সেবা দিতে পারেনি, বর্তমান সরকার দু'ভাগ করে মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ থাকল।
ওমর ফারুক সিদ্দিকী
শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ঢাকাকে বিভক্ত করা হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থে। এতে দেশের কোনো কল্যাণ হবে না। স্বাধীনতার ৪১ বছর পর সিটি করপোরেশনের বিভক্তিকরণ ক্ষতিকর। এটা বর্তমান সরকারের নিজেদের স্বার্থে করা হয়েছে।
মোঃ শামছুল হক
কৃষক, কুড়িগ্রাম
বিভক্তিকরণ ভালো উদ্যোগ। ভালো লোক নির্বাচিত হোক। সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হোক।
মোঃ আরিফুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রত্যেকবার নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলা হলেও তা বন্ধ হয় না। কথার ফুলঝুরি যেন না হয়। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হবে, যাতে সুন্দর, বসবাসযোগ্য ঢাকা নগর পাই। এখানে অনেক সমস্যা। নির্বাচিতরা সমাধান করতে আন্তরিক হবেন কি? নাকি মনোযোগ থাকবে আখের গোছাতে?
মোঃ সালাহ উদ্দিন
চাকরিজীবী, বাংলামটর, ঢাকা
আশা করি, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যাতে আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করতে পারি। প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভুলে যাবেন না বলেই প্রত্যাশা। নির্বাচন হবে অ-রাজনৈতিক ভিত্তিতে। কিন্তু সেটা তো কাগজে-কলমে। তাই চাইব, দলমত নির্বিশেষে সবাই এতে অংশ নেবে।
সাইফুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, মহাখালী
সিটি করপোরেশন মানুষের উপকারের জন্য। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীরা নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে দ্বারে দ্বারে যান ও মানুষের মন জয় করে নেন। কিন্তু তারা যখন মেয়র-কমিশনার হয়ে যান তাদের পিএসের কাছে পর্যন্ত যাওয়া যায় না। তারা যে আশা-ভরসা দেন, সেই রকম কোনো কিছুই তাদের কার্যক্রমে থাকে না।
সমকালের এই ডিসিসি নির্বাচন বিষয়ে মতামত আহ্বান দেখে ভালো লাগছে। যারা মেয়র বা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী, তাদের মধ্যে যোগ্য ব্যক্তি দেখে নির্বাচিত করা আমাদের দায়িত্ব। প্রার্থীরাও এভাবে মানুষের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করুন।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তি করলে কিছু আসে-যায় না। আমরা যারা সাধারণ নাগরিক, ঢাকায় ভালোভাবে বসবাস করতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি চাই। মশা, নোংরা-আবর্জনা, যানজট থেকে মুক্ত থাকতে ও ভালো পরিবেশের আশায় যোগ্য মেয়র চাই। যোগ্য ব্যক্তিকেই আমরা ভোট দেব। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। সমকালকে ধন্যবাদ জানাই এ রকম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
নূরে আলম সিদ্দিকী মজনু
মেঘনা, কুমিল্লা
ডিসিসি নির্বাচন সরকার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবে, এটাই কাম্য। এই সরকার যেন ফলাফল নির্ধারণে কোনো হস্তক্ষেপ না করে।
আবদুুর রহিম
সহকারী শিক্ষক, নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
পিরোজপুর
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরকার যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বিরোধী দল যেন সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
মোঃ আজহারুল ইসলাম
প্রবাসী, চরপাড়া, ময়মনসিংহ
সরকার ডিসিসিকে বিভক্ত করেছে উন্নয়নকে জনগণের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা কি উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি? সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় দেশবাসী। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা জরুরি। নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। সেনা মোতায়েন ছাড়াও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
মোঃ রমজান আলী
গীতিকার/কণ্ঠশিল্পী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরকার যে ইচ্ছা নিয়ে ঢাকা সিটিকে দু'ভাগ করেছে, সে আশা পূরণ হবে না। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে বলে মনে হয় না। তবু প্রত্যাশা করি, সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন হোক। সমকালকে ধন্যবাদ।
লতিফুল আলম
ব্যবসায়ী, এলিফ্যান্ট রোড
ভালো প্রার্থী নির্বাচিত হোক। নগরে এখন অনেক অনেক সমস্যা।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
শ্রমিক লীগ কর্মী, ঝিনাইদহ
এ নির্বাচন সম্পন্ন হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নাগরিক সুবিধা বাড়াতে পারবেন। এতে গণতন্ত্রের ভিতও মজবুত হবে। গোটা দেশেও এর প্রভাব পড়বে।
আসিফ করিম
গোপীবাগ, ঢাকা
বর্তমান সরকারের আমলে গঠিত নির্বাচন কমিশনের সামনে এটাই প্রথম চ্যালেঞ্জ। সরকারি দলের জনপ্রিয়তা কমেছে, সেটা স্পষ্ট। এ কারণেই তিন বছরে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দেওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় তারা পরাজিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যদি রাজধানীর দুটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বিরোধীদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের দাবি আরও জোরালো হবে। আশা করব, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে এবং সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্রগুলোতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হবে।
আয়শা খানম
ধানমণ্ডি, ঢাকা
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই অবৈধ ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজধানী। এর পেছনে প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। আগের নির্বাচন কমিশন এ ধরনের নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিল। কিন্তু নতুন কমিশন তেমন উদ্যোগ দেখাতে পারছে না কেন?
আনোয়ারা বেগম
মতিঝিল, ঢাকা
ইতিমধ্যে কয়েকজন নিজেদের মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। দুটি করপোরেশনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। কিন্তু তারা যোগ্য ও সৎ এবং সন্ত্রাসকে সমর্থন করেন না, সেটা কি বলতে পারছি?
নিরব
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কোনো বিশেষ আগ্রহ নেই। প্রার্থী হিসেবে যারা নিজেদের ঢোল পেটাতে শুরু করেছেন তারা আদৌ জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারছে না। এমন ব্যক্তিরা জয়ী হলে সিটি করপোরেশনের কোনো উন্নয়ন হবে না।
No comments