প্রতিবেশীর বচন by মু আ রাজ্জাক
অভিন্ন নদ-নদীর অসম পানি বণ্টন, ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্ট, তেল-গ্যাস, সীমান্ত পরিস্থিতি প্রভৃতি বিষয়ে ভারতের সমালোচকদের যদি ভারতবিদ্বেষী কট্টর জামায়াতের কাতারে ধরা হয়, তাহলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের উক্তিটি (বাংলাদেশের ২৫ শতাংশ মানুষ কট্টর জামায়াতি) সঠিক নয়।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রির ভাষ্যেই স্পষ্ট হয়েছে, এক-তৃতীয়ংশ ভোট পায় বিএনপি এবং সমসংখ্যক ভোট পায় আওয়ামী লীগ। বাকি ৩৩ শতাংশ ভোটের বেশিরভাগই পরিবর্তনশীল। অর্থাৎ পরিবর্তনশীল ভোটগুলোর সিংহভাগ যখন যে পালে ভর করে, তখন সে দল ক্ষমতায় যায়। এর অর্থ এই নয় যে, এ দেশে কখনও ভারতপ্রেমিকের সংখ্যা বাড়ে, আবার কখনও ভারতবিদ্বেষীর সংখ্যা বাড়ে।
পার্সেন্টেস কষলে মূলত জামায়াতির সংখ্যা দাঁড়াতে পারে বড়জোর ১০ শতাংশ। বাদবাকিদের মধ্যে বাম দল ও অন্যান্য ইসলামিক দল (যারা কট্টর জামায়াতবিরোধী) আর নিরপেক্ষ জনগোষ্ঠী। আর ভোটের পরিসংখ্যান দিয়ে পক্ষে-বিপক্ষের জনমত যাচাই করা সম্ভব নয়।
ভারত বাংলাদেশের শুধু প্রতিবেশীই নয়; মহান মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বর্বর পাকিস্তানি শাসকদের হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জনে বিশেষ সহযোগিতা করেছিল। সুতরাং ভারত চিরকাল বাংলাদেশের মাথার মণি হিসেবেই থাকার কথা। কিন্তু সে বন্ধুত্বের অন্তরালে যদি থাকে স্বার্থপরতা, যদি মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়ে কোনো গোপন তথ্য, তাহলে তা উভয় দেশের জন্য হবে 'শাঁখের করাত'।
প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীপুত্র_ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করার ও স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করে কৃতকার্য হওয়া ভারতের সেই মহীয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীপৌত্র রাহুল গান্ধী বছর কয়েক আগে ভারতের রায়বেরেলিতে এক রাজনৈতিক জনসভায় মুখ ফসকে বলেছিলেন, গান্ধী পরিবার যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা পালন করে। যেমন কথা দিয়েছিল, পাকিস্তান থেকে পূর্ব বাংলাকে আলাদা করা হবে, সে প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়েছে। তার এ কথায় সে সময়ে ভারতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। বিশিষ্ট রাজনীতিক ও গণমাধ্যমগুলোর মন্তব্যে বলা হয়েছিল, তার এ কথা বলা ঠিক হয়নি। পরে সে কথা হাওয়ায় মিশে গেলেও রয়ে গেছে সচেতন মহলের অন্তরে।
সম্প্রতি ড. মনমোহন সিংয়ের মন্তব্যেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে খোদ ভারতসহ বাংলাদেশের সরকারবিরোধী ও নিরপেক্ষ মহলে। তার এ মন্তব্যে রাহুল গান্ধীর ভাষণের হুবহু প্রতিচ্ছবির মিল খুঁজে পাওয়া না গেলেও একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য অনর্থ বয়ে আনা বৈ মঙ্গলজনক কিছুরই সাপোর্ট দিতে পারে না।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ড. মনমোহন সিং 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট বদলে যেতে পারে' মন্তব্যের মধ্য দিয়ে জামায়াতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন শক্তভাবে। এ দেশের ২৫ শতাংশ মানুষকে কট্টর জামায়াতি আখ্যায়িত করে পরোক্ষভাবে সেই জামায়াতিদেরই জেগে ওঠার দুরন্ত সাহস জুগিয়েছেন বলেই প্রতীয়মান হয়।
ভারতসহ সমগ্র বাংলাদেশে ড. সিংয়ের মন্তব্য নিয়ে যখন টান টান অবস্থা, তখন সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতর ওয়েবসাইট থেকে মন্তব্যটি প্রত্যাহার করে। বলা হয়, ওটা বাংলাদেশের জাজমেন্ট বা মূল্যায়ন সম্পর্কিত কোনো মন্তব্য ছিল না, যা নিছক একটা মন্তব্য মাত্র। বিষয়টি প্রকাশ করাও নিষেধ ছিল।
আমরা হতভাগ্য বাংলাদেশিরা কি বৃহৎ প্রতিবেশীর হাতের খেলনা! ইচ্ছে হলে যাচ্ছেতাই মন্তব্য করা হবে, আবার ইচ্ছে হলে তা প্রত্যাহারও করা হবে!
পার্সেন্টেস কষলে মূলত জামায়াতির সংখ্যা দাঁড়াতে পারে বড়জোর ১০ শতাংশ। বাদবাকিদের মধ্যে বাম দল ও অন্যান্য ইসলামিক দল (যারা কট্টর জামায়াতবিরোধী) আর নিরপেক্ষ জনগোষ্ঠী। আর ভোটের পরিসংখ্যান দিয়ে পক্ষে-বিপক্ষের জনমত যাচাই করা সম্ভব নয়।
ভারত বাংলাদেশের শুধু প্রতিবেশীই নয়; মহান মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বর্বর পাকিস্তানি শাসকদের হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জনে বিশেষ সহযোগিতা করেছিল। সুতরাং ভারত চিরকাল বাংলাদেশের মাথার মণি হিসেবেই থাকার কথা। কিন্তু সে বন্ধুত্বের অন্তরালে যদি থাকে স্বার্থপরতা, যদি মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়ে কোনো গোপন তথ্য, তাহলে তা উভয় দেশের জন্য হবে 'শাঁখের করাত'।
প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীপুত্র_ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করার ও স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করে কৃতকার্য হওয়া ভারতের সেই মহীয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীপৌত্র রাহুল গান্ধী বছর কয়েক আগে ভারতের রায়বেরেলিতে এক রাজনৈতিক জনসভায় মুখ ফসকে বলেছিলেন, গান্ধী পরিবার যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা পালন করে। যেমন কথা দিয়েছিল, পাকিস্তান থেকে পূর্ব বাংলাকে আলাদা করা হবে, সে প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়েছে। তার এ কথায় সে সময়ে ভারতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। বিশিষ্ট রাজনীতিক ও গণমাধ্যমগুলোর মন্তব্যে বলা হয়েছিল, তার এ কথা বলা ঠিক হয়নি। পরে সে কথা হাওয়ায় মিশে গেলেও রয়ে গেছে সচেতন মহলের অন্তরে।
সম্প্রতি ড. মনমোহন সিংয়ের মন্তব্যেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে খোদ ভারতসহ বাংলাদেশের সরকারবিরোধী ও নিরপেক্ষ মহলে। তার এ মন্তব্যে রাহুল গান্ধীর ভাষণের হুবহু প্রতিচ্ছবির মিল খুঁজে পাওয়া না গেলেও একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য অনর্থ বয়ে আনা বৈ মঙ্গলজনক কিছুরই সাপোর্ট দিতে পারে না।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ড. মনমোহন সিং 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট বদলে যেতে পারে' মন্তব্যের মধ্য দিয়ে জামায়াতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন শক্তভাবে। এ দেশের ২৫ শতাংশ মানুষকে কট্টর জামায়াতি আখ্যায়িত করে পরোক্ষভাবে সেই জামায়াতিদেরই জেগে ওঠার দুরন্ত সাহস জুগিয়েছেন বলেই প্রতীয়মান হয়।
ভারতসহ সমগ্র বাংলাদেশে ড. সিংয়ের মন্তব্য নিয়ে যখন টান টান অবস্থা, তখন সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতর ওয়েবসাইট থেকে মন্তব্যটি প্রত্যাহার করে। বলা হয়, ওটা বাংলাদেশের জাজমেন্ট বা মূল্যায়ন সম্পর্কিত কোনো মন্তব্য ছিল না, যা নিছক একটা মন্তব্য মাত্র। বিষয়টি প্রকাশ করাও নিষেধ ছিল।
আমরা হতভাগ্য বাংলাদেশিরা কি বৃহৎ প্রতিবেশীর হাতের খেলনা! ইচ্ছে হলে যাচ্ছেতাই মন্তব্য করা হবে, আবার ইচ্ছে হলে তা প্রত্যাহারও করা হবে!
No comments