অরণ্যে রোদন-নেতা-নেত্রীগণ, প্লিজ, ছাতাটা সরান... by আনিসুল হক

তথ্য কমিশন থেকে মাঝেমধ্যে মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা আসে। সরকারি অফিস জনগণকে তথ্য দিতে বাধ্য—তা হলো ওই এসএমএসের মর্ম। তথ্য কমিশন সমীপে আমাদের প্রকাশ্য আবেদন, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি আমরা পড়তে চাই, দেখতে চাই। এই তদন্ত প্রতিবেদনটি জানার জনগণের অধিকার,


আপনারা কায়েম করবেন কি?
এর চেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্য আর কী আছে, মাননীয় তথ্য অধিকার কমিশন? কারণ, এই প্রতিবেদনটার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দেশের লাখ লাখ মানুষের ভাগ্য! অনেক চোখের জল, অনেক দীর্ঘশ্বাস! অর্থমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, এই প্রতিবেদন তিনি প্রকাশ করবেন। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে প্রথমে বললেন, কিছু নাম ডিলিট করতে হবে, পরে বললেন, না, তিনি এটা বোঝাতে চাননি, কিছু ব্যাপার সম্পাদনা করতে হতে পারে, কিছু বিষয় পুনঃ তদন্তেরও দরকার হতে পারে। তবে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে, সে বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আজ ১২ দিন হয়ে গেল, সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখল না। যে রাঘববোয়ালেরা ছোট ছোট মাছ খেয়ে ফেলেছে, তারা এখন খোদ তদন্ত রিপোর্টটাকেই গিলে ফেলার জন্য হাঁ করেছে। যত দেরি হবে, ততই তারা জাল কেটে ফেলবে তাদের ধারালো শক্ত দাঁতে, আর ডুব দেবে গভীর জলে, সেখানে ঘোলা জলে তারা আবারও শিকারে পরিণত করবে লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে, যাঁরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের সর্বস্ব, কেউ বা বেচে দিয়েছেন তাঁর শেষ সম্বল মুদি দোকানটা, কেউ বা তাঁর পেনশনের টাকাটা এনে খাটিয়েছিলেন বাজারে, কেউ বা বেচে দিয়েছেন বউয়ের গয়নাগাটি, কেউ বা জমিজিরেত, কেউ বা তাঁর রিকশা বা ট্যাক্সিখানি, একটুখানি অতিরিক্ত লাভের আশায়—আজ তাঁরা সব হারিয়েছেন, পরিণত হয়েছেন পথের ভিখিরিতে, তাঁরা উন্মাদপ্রায় ঘুরছেন পথে পথে, কেউ বা শরিক হচ্ছেন বিক্ষোভ মিছিলে, কেউ বা নালিশ জানাচ্ছেন সর্বশক্তিমানের আদালতে। কত পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, কত সংসার ভেঙে গেছে, কে রেখেছে সেই খোঁজ। লাখ লাখ মানুষ, তাদের পরিবার মিলে কয়েক কোটি মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত সাম্প্রতিক শেয়ারবাজার ধসের কারণে। তাঁরা সবাই তাকিয়ে আছেন ওই তদন্ত কমিটির দিকে, যেন সুড়ঙ্গের শেষে একটুখানি আলো দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, বরং তদন্ত কমিটিকেই বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে ওই রাঘববোয়ালেরা। আর সুড়ঙ্গ শেষের আলোটা দেশের কয়েক কোটি মানুষের কাছে আশার আলো না হয়ে ধাবমান রেলগাড়ি হয়েই বোধ হয় ছুটে আসবে, পিষে মারবে মানুষের শেষ ভরসাটুকু।
শেয়ারবাজার নিয়ে প্রথম আলোর রস+আলোয় একটা সুন্দর গল্প শুনিয়েছিলেন অর্থনীতিবিষয়ক কৃতী সাংবাদিক শওকত হোসেন।
একটা গ্রামে একজন লোক এল তার এক সহকারী নিয়ে। লোকটা গ্রামবাসীকে বলল, তোমাদের গ্রামে যত বাঁদর আছে, তোমরা ধরে ধরে আনো, আমরা বাঁদর-পিছু তোমাদের দেব ১০০ টাকা। গ্রামে প্রচুর বাঁদর ছিল, গ্রামবাসী সহজেই বাঁদর ধরে আনতে লাগল আর প্রতি বাঁদরের জন্য ১০০ টাকা গুনে নিতে লাগল। শিগগিরই মুক্ত বাঁদরের সংখ্যা এল কমে। তখন ওই লোক ঘোষণা করল, এবার বাঁদর আনা হলে প্রতি বাঁদরের জন্য দেওয়া হবে এক হাজার টাকা। গ্রামবাসী অনেক খুঁজে পেতে অবশিষ্ট বাঁদর কটাও ধরে এনে জমা দিল এবং এক হাজার টাকা করে নগদ লাভ করল। ওই গ্রামে বা আশপাশের গ্রামে আর বাঁদর নেই। রব উঠল, এরপর প্রতি বাঁদরের জন্য দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। লোকটা বলল, আমি কিছুদিনের জন্য একটু গ্রামের বাইরে যাচ্ছি, আমার সহকারী কিছুদিন এই বাঁদর কেনার ব্যাপারটা দেখবে। সে গ্রাম ত্যাগ করল। অ্যাসিস্ট্যান্ট তখন গ্রামবাসীকে বলল, শোনো, আমার বস এলে তো প্রতি বাঁদর ১০ হাজার টাকা করে কিনবেন। তোমরা এক কাজ করো। আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে বাঁদরগুলো কিনে নাও। উনি এলে এই বাঁদরগুলোই তাঁর কাছে বিক্রি করতে পারবে। সরল গ্রামবাসী লাভের আশায় যে বাঁদর তারা ১০০ টাকা করে বিক্রি করেছিল, তা-ই পাঁচ হাজার টাকা দামে কিনে নিল। বাঁদর বিক্রি করে দিয়ে সহকারীও চম্পট দিল গ্রাম ছেড়ে। জমিজমা, ঘটিবাটি বিক্রি করে বাঁদর কিনে নিয়ে সর্বস্বান্ত গ্রামবাসী হায় হায় করতে লাগল। কেউ বা বিক্ষোভ করতে লাগল। কেউ বা আত্মহত্যা করল। কেউ বা পাগল হয়ে গেল।
জনাব ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি কী রিপোর্ট দিয়েছে, সরকারিভাবে তা প্রকাশিত না হলেও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ সম্পর্কে নানা কিছু লেখা হচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রধান নিজেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। সেসব থেকে কতগুলো ব্যাপার দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। শেয়ারবাজারে বড় ধরনের কেলেঙ্কারি হয়েছে। বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে খেয়েছে। একেবারে যাকে বলে মাৎস্যন্যায়। ২০ হাজার কোটি টাকা পকেটে পুরে ফেলেছে এই বড় মাছেরা। তারা যেভাবে এই বিশাল অঙ্কের টাকা গিলে ফেলেছে, তার সবটাই হয়তো বেআইনি নয়, কিন্তু তা ভীষণভাবে অমানবিক এবং সে কারণেই অনৈতিক। অর্থনীতির কঠিন ভাষায় নয়, গল্প-লেখকের সহজ ভাষায় ব্যাপারটা আমরা এভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করতে পারি—কোনো কোনো রাঘববোয়াল নিজেদের শেয়ার নামে-বেনামে বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজেরাই কিনতে শুরু করেছিল। ঠিক গল্পের ওই বাঁদরওয়ালার মতো। তোমরা পাঁচ হাজার টাকায় বাঁদর কেন, বস এলে তো এটা ১০ হাজার টাকা করে কিনে নেবেনই। আমার কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা আমি করব, এতে তো আইনের বরখেলাপ হয় না! আর আমি যদি বেনামে আমার ভাইবেরাদর দিয়ে, সিন্ডিকেট দিয়ে শেয়ার কিনতে থাকি, আর তাতে যদি দাম বেড়ে যায়, আর দাম বাড়ার পরে আমি যদি সেগুলো বেচে দিই, আর তাতে যদি দাম পড়ে যায়, আমার কী করার আছে! হ্যাঁ, এই জন্যই হয়তো জনাব ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, তাঁদের ধরে ধরে এনে বিচার করা বা শাস্তি দেওয়া হয়তো যাবে না। কিন্তু দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হবে, যাতে চোর এসে চুরি করতে না পারে। এটিএন নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দুটোই ঘটেছে। চুরিও ঘটেছে। আবার দরজা-জানালা খুলে রেখে চুরি করার সুযোগও করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলছেন, আগে দরজা-জানালা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেছেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, সেখান থেকে বোঝা যায়, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন নানা অনিয়ম করেছে। ওই কমিশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের কেউ কেউ নিজেরাই এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। যাঁর নিজের এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা আইনে মানা, তিনি স্ত্রীর নামে ব্যবসা করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে। যে কোম্পানির আদতেই তেমন কোনো মূলধন নেই, বিনিয়োগ নেই, তাদের অর্থসম্পত্তির পরিমাণ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, মুনাফার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বাড়িয়ে বাড়িয়ে। এভাবে শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে। শেয়ারের মূল্য ‘টেম্পারিং করা হয়েছে’, ইব্রাহিম খালেদ নিজের মুখে বলেছেন টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে, তাঁর একজন শ্রোতা আমি নিজে।
এখন প্রশ্ন হলো, সরকার কী করবে? সরকার না জনগণের সরকার? জনগণের ভোটে না এই সরকার নির্বাচিত? আর দুই বছর পরেই না ভোটের জন্য আবার যেতে হবে জনগণের দুয়ারে? কী নিয়ে যাবেন এখনকার ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা পুঁজিবাজারে সহায়-সম্বল হারানো এই লাখ লাখ ‘খুদে বিনিয়োগকারীর’ সামনে? এরই মধ্যে ভোটাররা তাঁদের সংকেত দিয়ে দিয়েছেন। দল নেই, সংগঠন নেই, নেতা নেই, কোত্থেকে এত ভোট পৌর নির্বাচনে পেল বিএনপি? যখন তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগের মহাজোট তখেত আসীন। আমাদের প্রথম দাবি, ইব্রাহিম খালেদ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন অনতিবিলম্বে প্রকাশ করুন। তথ্য অধিকার কমিশনের কাছে আমাদের খোলা আবেদন, আপনারা আজকেই ব্যবস্থা নিন এবং কী ব্যবস্থা নিলেন আমাদের জানান। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমাদের অধিকার আছে তথ্য জানার এবং এ তথ্য জানারও যে তথ্য কমিশন শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের ব্যাপারে কী উদ্যোগ নিয়েছে। দুই. এসইসির দুর্নীতিবাজ, অদক্ষ, নীতিহীন কর্মকর্তাদের অপসারণ করুন, অপরাধীদের শাস্তি দিন। তিন. বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে আমরা যা জানতে পেরেছি, তাতে কেবল অনৈতিকতা ও অমানবিকতা হয়নি, রীতিমতো অপরাধ হয়েছে, টাকা পাচার হয়েছে, অতিমূল্যায়নের ঘটনা ঘটেছে, বেনামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এগুলো নিশ্চয়ই আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ, সুতরাং শাস্তিযোগ্য। যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনুন, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করুন।
তারপর আসে শেষ প্রশ্নটি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গরিব মানুষের পকেট কেটে তাদের নিঃস্ব করে নিজের পকেটে টাকা ভরার জন্য যা করেছে, তা হয়তো বেআইনি হয়নি, কিন্তু অনৈতিক ও অমানবিক। আমরা দেখলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যার প্রায় দেউলে হয়ে যাওয়ার অবস্থা ছিল, ঋণখেলাপের দায়ে যিনি কারান্তরালে ছিলেন, শেয়ারবাজারে ধস নামার পর তিনি সব খেলাপি ঋণের কিস্তি শোধ করেছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিনে নিচ্ছেন, যেন তিনি আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে গেছেন। এই রকম হঠাৎ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ যাঁরা হলেন, তাঁদের কেউ কেউ এর আগে ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির সময়ও জনগণের চোখে অভিযুক্ত ছিলেন। এঁদের অনেকেই সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। এ জন্যই বলা হয়, এঁরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। এই জন্যই প্রথমবার অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, যেসব নাম এসেছে, তা ডিলিট করতে হবে। (পরে অবশ্য অর্থমন্ত্রী পরিষ্কার করেছেন, তিনি ঠিক এ কথা বলতে চাননি বা বলেননি)। যদি বিদ্যমান আইনে এঁরা অপরাধ করেছেন বলা না-ও যায়, রাজনৈতিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে তো নেতা-নেত্রীরা অবস্থান নিতে পারেন। কোটি মানুষকে পথে বসিয়ে সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামানোর পরেও কি তাঁরা সরকারের উচ্চ মহলের ঘনিষ্ঠই রয়ে গেছেন? যে প্রভাব-প্রতিপত্তি শেয়ারবাজারে টেম্পারিংয়ের একটা সহজ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে, যেটা সহজেই অনুমান করা যায়, সেটা কি তাঁদের থেকেই যাবে? জনগণের ভোটে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, এই রাঘববোয়ালেরাই কি আপনাদের প্রিয়, যাঁরা আপনাদের ভোটারদের নিঃস্ব করেছে? তাই যদি হয়, তাহলে বলব, জনগণ সব বোঝে। তারা হয়তো মুখে কিছু বলে না, কিন্তু অপেক্ষা করে ভোটের দিনটার জন্য। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের আগে মনে হয়েছিল, এই ধরাটা বিএনপিওয়ালা ও হাওয়া ভবনওয়ালাদের জন্য সরামাত্র, ভোটের পরে জনগণের দেওয়া জবাব তারা পেয়ে গেছে। তাই নেতা-নেত্রীদের বলি, প্লিজ, এই রাঘববোয়ালদের মাথার ওপর থেকে আপনারা ছাতাটা সরিয়ে নিন। প্রশ্রয়ের ছাতাটা যদি এখনই সরিয়ে না নেওয়া হয়, আগামী নির্বাচনেও জনগণ ঠিক জবাবটিই দিয়ে দেবে। তবে শুধু যে সরকারি নেতা-নেত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের নাম এই শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে শোনা যাচ্ছে, তা নয়, বিরোধী নেতা-নেত্রীর ঘনিষ্ঠজনের নামও শোনা যাচ্ছে। আসলে, সব রসুনের গোড়া এক, বড়লোকেরা সবাই এক জোট, যখন তাতে আর্থিক লাভের ব্যাপার থাকে। বিরোধী হোক আর সরকারি হোক, ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়াই এদের রক্ষাকবচ। কবি রবীন্দ্রনাথ সব সময়েই প্রাসঙ্গিক, এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.