অণুকথা-আমাদের স্বপ্নের মতো by সাইদুজ্জামান
সিলেটে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত নয়টা পার হয়ে গেল। নেমেই পেলাম বন্ধু পাপলুকে। পাপলু আমাদের নিতে এসেছে। জানতে চাই, কী অবস্থা ভাষা প্রতিযোগের। ‘খুব ভালো। বন্ধুরা এখনো ভেন্যুতে আছে। কাজ এখনো শেষ হয়নি।’ সে কারণেই মাঝেমধ্যে বলি, ‘বন্ধুরা রাত-দিন কাজ করেন।’
পরের দিন ৪ এপ্রিল ভাষা প্রতিযোগ।
সকাল নয়টার পর থেকেই আকাশ মুখ গোমড়া করল। তার চেহারা হলো কালো। বৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা। ভাবগতিক ঝড়েরও...।
হলোও তা-ই। দমকা বাতাস। সিলেট কিশোরী মোহন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে থাকা রেইনট্রির ভেঙে পড়তে লাগল শুকনো ডাল, বুড়ো পাতা। স্কুলঘরের টিনের চাল থেকে বাতাসে ছড়িয়ে গেল ধুলো, পাতা, ময়লা। দমকা বাতাস যখন থামে, তখন ছাত্রছাত্রীরা হুড়মুড় করে বারান্দা থেকে মাঠে নামে। আর যখন ঘূর্ণি বাতাস বয়, তখন তারা আনন্দে চিৎকার করতে করতে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। এমনই চলল প্রায় ৪০ মিনিট। ঝড় হয়, বৃষ্টি পড়ে আর ভাষা প্রতিযোগের ছেলেমেয়েরা আনন্দে চিৎকার করতে থাকে। ভাষা প্রতিযোগ প্রশ্ন-উত্তর শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি-উৎসব। এই উৎসব দেখে সিলেট বন্ধুসভার বন্ধুদের চেহারা ধীরে ধীরে শুকনো হতে থাকে। ‘তাহলে ভাষা প্রতিযোগ পণ্ড হয়ে যাচ্ছে!’
না, ভাষা প্রতিযোগের কোনো ছেলেমেয়েই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করল না। ঝড়-বৃষ্টিকে তারা অভিনন্দন জানাল।
একসময় বৃষ্টি শেষ। থেমে গেল ঝড়-বাতাস। শুরু হলো ভাষা প্রতিযোগের প্রশ্ন-উত্তর। বৃষ্টির আগে হয়ে গেছে উদ্বোধন। এর পরপরই ছেলেমেয়েরা চলে গিয়েছিল পরীক্ষার হলে।
সিলেট বন্ধুসভা, মেট্রোপলিটন বন্ধুসভা ও লিডিং ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের মুখে হাসি ফুটে উঠল। কারণ, ব্যাপক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে শুরু হলো অনুষ্ঠান। বন্ধুদের খাটাখাটুনি বিফলে যায়নি। অর্ধশতাধিক বন্ধু ভাষা প্রতিযোগ সফল করে তুললেন। ধন্যবাদ বন্ধুরা।
অনুষ্ঠান চলাকালে এবং অনুষ্ঠান শেষে বার দুই আমরা বসলাম বন্ধুদের সঙ্গে। সংগঠন নিয়ে নানা কথাবার্তা তাঁদের—নানা পরিকল্পনা, নানা স্বপ্নের কথা। এই স্বপ্নগুলোর সঙ্গে আমাদের সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক ও আমাদের প্রতিনিধিও জড়িত।
পুরো এক দিন কাটল বন্ধুদের সঙ্গে। তাঁদের স্বপ্নের কথা শুনে উদ্দীপ্ত হলাম। নানাভাবে তাঁরা দেশ গড়ার কাজ করতে চান। তাহলে আমাদের দেশটা এখন যেমন আছে, তেমনটি আর থাকছে না। আমাদের দেশ হবে আমাদের স্বপ্নের মতো। আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ার কাজে আছি।
সাধারণ সম্পাদক, বন্ধুসভা জাতীয়পরিচালনা পর্ষদ।
dontossowrowshan@gmail.com
সকাল নয়টার পর থেকেই আকাশ মুখ গোমড়া করল। তার চেহারা হলো কালো। বৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা। ভাবগতিক ঝড়েরও...।
হলোও তা-ই। দমকা বাতাস। সিলেট কিশোরী মোহন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে থাকা রেইনট্রির ভেঙে পড়তে লাগল শুকনো ডাল, বুড়ো পাতা। স্কুলঘরের টিনের চাল থেকে বাতাসে ছড়িয়ে গেল ধুলো, পাতা, ময়লা। দমকা বাতাস যখন থামে, তখন ছাত্রছাত্রীরা হুড়মুড় করে বারান্দা থেকে মাঠে নামে। আর যখন ঘূর্ণি বাতাস বয়, তখন তারা আনন্দে চিৎকার করতে করতে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। এমনই চলল প্রায় ৪০ মিনিট। ঝড় হয়, বৃষ্টি পড়ে আর ভাষা প্রতিযোগের ছেলেমেয়েরা আনন্দে চিৎকার করতে থাকে। ভাষা প্রতিযোগ প্রশ্ন-উত্তর শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি-উৎসব। এই উৎসব দেখে সিলেট বন্ধুসভার বন্ধুদের চেহারা ধীরে ধীরে শুকনো হতে থাকে। ‘তাহলে ভাষা প্রতিযোগ পণ্ড হয়ে যাচ্ছে!’
না, ভাষা প্রতিযোগের কোনো ছেলেমেয়েই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করল না। ঝড়-বৃষ্টিকে তারা অভিনন্দন জানাল।
একসময় বৃষ্টি শেষ। থেমে গেল ঝড়-বাতাস। শুরু হলো ভাষা প্রতিযোগের প্রশ্ন-উত্তর। বৃষ্টির আগে হয়ে গেছে উদ্বোধন। এর পরপরই ছেলেমেয়েরা চলে গিয়েছিল পরীক্ষার হলে।
সিলেট বন্ধুসভা, মেট্রোপলিটন বন্ধুসভা ও লিডিং ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের মুখে হাসি ফুটে উঠল। কারণ, ব্যাপক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে শুরু হলো অনুষ্ঠান। বন্ধুদের খাটাখাটুনি বিফলে যায়নি। অর্ধশতাধিক বন্ধু ভাষা প্রতিযোগ সফল করে তুললেন। ধন্যবাদ বন্ধুরা।
অনুষ্ঠান চলাকালে এবং অনুষ্ঠান শেষে বার দুই আমরা বসলাম বন্ধুদের সঙ্গে। সংগঠন নিয়ে নানা কথাবার্তা তাঁদের—নানা পরিকল্পনা, নানা স্বপ্নের কথা। এই স্বপ্নগুলোর সঙ্গে আমাদের সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক ও আমাদের প্রতিনিধিও জড়িত।
পুরো এক দিন কাটল বন্ধুদের সঙ্গে। তাঁদের স্বপ্নের কথা শুনে উদ্দীপ্ত হলাম। নানাভাবে তাঁরা দেশ গড়ার কাজ করতে চান। তাহলে আমাদের দেশটা এখন যেমন আছে, তেমনটি আর থাকছে না। আমাদের দেশ হবে আমাদের স্বপ্নের মতো। আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ার কাজে আছি।
সাধারণ সম্পাদক, বন্ধুসভা জাতীয়পরিচালনা পর্ষদ।
dontossowrowshan@gmail.com
No comments