এমআইটি গ্লোবাল স্টার্টআপ ওয়ার্কশপ-উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় by অঞ্জলি সরকার
২৮ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ছয়টি মহাদেশের প্রায় ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে চতুর্দশ ‘এমআইটি গ্লোবাল স্টার্টআপ ওয়ার্কশপ’ হয়ে উঠেছিল জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর নতুন সব উদ্ভাবনী ধারণা বিনিময়ের প্রাণকেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন দেশে তাদের একটি
বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যার নাম ‘এমআইটি গ্লোবাল স্টার্টআপ ওয়ার্কশপ’। এতে আমন্ত্রণ জানানো হয় খ্যাতনামা উদ্যোক্তা, গবেষক, অধ্যাপক, নীতিনির্ধারক, শিক্ষার্থী এবং করপোরেট জগতের নামীদামি ব্যক্তিত্বদের। যুক্তরাষ্ট্রের কেম্ব্রিজ শহর থেকে যাত্রা শুরু করে একে একে সিঙ্গাপুর, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, চীন, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, নরওয়ে, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, আইসল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সফলতার সঙ্গে ১৩টি ওয়ার্কশপ আয়োজনের পর এবার চতুর্দশ সম্মেলনের গন্তব্য হিসেবে নির্বাচিত হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুল।
বাংলাদেশ এবারই প্রথম অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ পায়। বিভিন্ন দেশের সফল উদ্যোক্তা আর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সফল হওয়ার গল্প আর শিক্ষার্থীদের জন্য নানা কর্মশালা ও প্রতিযোগিতার পাশাপাশি এবারের আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রদর্শনী। প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এই প্রদর্শনীতে গত এক বছরের মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যবসা পরিকল্পনা প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছে, এমন ১০টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের আইবিএতে অধ্যয়নরত মাহবুবুর রহমান তূর্য ও অঞ্জলি সরকার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, পাকিস্তান, হংকং, ডেনমার্ক ও তুরস্ক থেকে আসা বিজয়ী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে একই মঞ্চে তাঁরা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের স্যানিটেশন সমস্যা সমাধানের জন্য সামাজিক ব্যবসা প্রকল্প ‘টয়লেট প্লাস’। গ্রামের মানুষদের একটি বিরাট অংশ যারা এখনো ন্যূনতম স্যানিটেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তাদের জন্য কীভাবে টেকসই ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করা যায় সে লক্ষ্যেই কাজ করছে তারা। এ ছাড়া এমআইটি থেকে স্নাতক প্রকৌশলী শাম্মী সাখাওয়াত কুদ্দুস ‘তরুণ উদ্যোক্তা’ শিরোনামের আলোচনাসভায় বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের অবস্থান, সাফল্য, ব্যর্থতা ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। এমআইটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি এখন বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে সুলভে সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন।
শুরুটা হয়ে গেল এভাবেই। এমআইটির আমন্ত্রিত উদ্যোক্তাদের তালিকায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে উঠে এল বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তাদের নাম। শাম্মী বলেন, ‘উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা ও সবার সহযোগিতা পাওয়া গেলে বাংলাদেশও শিগগিরই এমআইটি গ্লোবাল স্টার্টআপ ওয়ার্কশপের আয়োজক দেশের সম্মান অর্জন করতে পারবে।’ হয়তো সেদিন আর বেশি দূরে নেই, যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় পাড়ি জমাবে তরুণ উদ্যোক্তারা, নতুন সম্ভাবনার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ এবারই প্রথম অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ পায়। বিভিন্ন দেশের সফল উদ্যোক্তা আর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সফল হওয়ার গল্প আর শিক্ষার্থীদের জন্য নানা কর্মশালা ও প্রতিযোগিতার পাশাপাশি এবারের আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রদর্শনী। প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এই প্রদর্শনীতে গত এক বছরের মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যবসা পরিকল্পনা প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছে, এমন ১০টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের আইবিএতে অধ্যয়নরত মাহবুবুর রহমান তূর্য ও অঞ্জলি সরকার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, পাকিস্তান, হংকং, ডেনমার্ক ও তুরস্ক থেকে আসা বিজয়ী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে একই মঞ্চে তাঁরা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের স্যানিটেশন সমস্যা সমাধানের জন্য সামাজিক ব্যবসা প্রকল্প ‘টয়লেট প্লাস’। গ্রামের মানুষদের একটি বিরাট অংশ যারা এখনো ন্যূনতম স্যানিটেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তাদের জন্য কীভাবে টেকসই ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করা যায় সে লক্ষ্যেই কাজ করছে তারা। এ ছাড়া এমআইটি থেকে স্নাতক প্রকৌশলী শাম্মী সাখাওয়াত কুদ্দুস ‘তরুণ উদ্যোক্তা’ শিরোনামের আলোচনাসভায় বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের অবস্থান, সাফল্য, ব্যর্থতা ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। এমআইটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি এখন বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে সুলভে সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন।
শুরুটা হয়ে গেল এভাবেই। এমআইটির আমন্ত্রিত উদ্যোক্তাদের তালিকায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে উঠে এল বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তাদের নাম। শাম্মী বলেন, ‘উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা ও সবার সহযোগিতা পাওয়া গেলে বাংলাদেশও শিগগিরই এমআইটি গ্লোবাল স্টার্টআপ ওয়ার্কশপের আয়োজক দেশের সম্মান অর্জন করতে পারবে।’ হয়তো সেদিন আর বেশি দূরে নেই, যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় পাড়ি জমাবে তরুণ উদ্যোক্তারা, নতুন সম্ভাবনার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।
No comments