ক্ষতিপূরণ দিতে ঘেরমালিকদের বাধ্য করা হোক-বাঁধের সর্বনাশ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দরমুজ আলী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ কেটে ও ছিদ্র করে লবণপানি ঢোকানো চিংড়িঘেরের মালিকদের কাছে স্বস্তিদায়ক হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য জীবনমরণ সমস্যা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভাগ ১-এর ৫ নম্বর পোল্ডারের বিভিন্ন অংশের বাঁধ কেটে ও ছিদ্র করে কালিন্দি নদী থেকে
লবণপানি ঘেরে ঢুকিয়েছেন প্রভাবশালী কয়েকজন ঘেরমালিক। ফলে ১০টি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে, ছয়টি গ্রামে দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির সংকট। বাঁধ কেটে চিংড়িঘেরের জন্য পানি ঢোকানো বেআইনি। তবে বাঁধে যেসব স্লুইস গেট আছে, পাউবোর অনুমতিক্রমে সেসব স্লুইস গেট দিয়ে পানি ঢোকানো যেতে পারে। কিন্তু ঘেরের মালিকেরা এসব নিয়মকানুন কমই মানেন।
চিংড়িঘেরের জন্য লবণপানি প্রয়োজন। কিন্তু অতিরিক্ত লবণপানি যে উপকূলের জনজীবনে বিপর্যয় ডেকে এনেছে, তাতে সন্দেহ নেই। যাদের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব, সেই পাউবো কার্যত নিষ্ক্রিয়। তারা বলেছে, চিংড়িঘেরের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘেরের মালিকেরা বলছেন, তাঁরা পাউবোর অনুমতি নিয়ে বাঁধ কেটেছেন। পাউবোর দায়িত্ব বাঁধ কাটা নয়, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ। চিংড়িঘেরের মালিকদের দাবি সত্য হলে পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর পাউবোর অনুমতি ব্যতিরেকে ঘেরের মালিকেরা কাজটি করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে, আদায় করতে হবে ক্ষতিপূরণ। বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের দায়িত্ব পাউবোর হলেও এর মালিক জনগণ। অতএব, তাদের জীবনজীবিকা বিপন্ন করে কতিপয় চিংড়িঘেরের মালিককে অন্যায্য সুবিধা করে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।
আইলা ও সিডরের আঘাতে বাঁধের যে ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এখনো সেখানকার বাসিন্দারা ভয়ভীতিতে দিন কাটাচ্ছে। সামনে বর্ষা মৌসুম। ঝড়বৃষ্টিতে যাতে বাঁধের ক্ষতি না হয়, সে জন্য সংস্কার জরুরি। কিন্তু পাউবো সেদিকে নজর না দিয়ে চিংড়িঘেরের মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে বাঁধের সর্বনাশ ঘটাচ্ছে। এভাবে কিছু লোকের হাতে উপকূলীয় জনগণের প্রতিরক্ষাব্যূহ বলে পরিচিত বাঁধ ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। বিষয়টির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বাঁধের যেসব স্থানে কাটা হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে মেরামত করতে হবে।
উপকূলের মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থেই সেটি করা জরুরি বলে মনে করি। উপকূলে মানবসৃষ্ট এ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন, পাউবোর পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
চিংড়িঘেরের জন্য লবণপানি প্রয়োজন। কিন্তু অতিরিক্ত লবণপানি যে উপকূলের জনজীবনে বিপর্যয় ডেকে এনেছে, তাতে সন্দেহ নেই। যাদের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব, সেই পাউবো কার্যত নিষ্ক্রিয়। তারা বলেছে, চিংড়িঘেরের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘেরের মালিকেরা বলছেন, তাঁরা পাউবোর অনুমতি নিয়ে বাঁধ কেটেছেন। পাউবোর দায়িত্ব বাঁধ কাটা নয়, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ। চিংড়িঘেরের মালিকদের দাবি সত্য হলে পাউবোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর পাউবোর অনুমতি ব্যতিরেকে ঘেরের মালিকেরা কাজটি করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে, আদায় করতে হবে ক্ষতিপূরণ। বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের দায়িত্ব পাউবোর হলেও এর মালিক জনগণ। অতএব, তাদের জীবনজীবিকা বিপন্ন করে কতিপয় চিংড়িঘেরের মালিককে অন্যায্য সুবিধা করে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।
আইলা ও সিডরের আঘাতে বাঁধের যে ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এখনো সেখানকার বাসিন্দারা ভয়ভীতিতে দিন কাটাচ্ছে। সামনে বর্ষা মৌসুম। ঝড়বৃষ্টিতে যাতে বাঁধের ক্ষতি না হয়, সে জন্য সংস্কার জরুরি। কিন্তু পাউবো সেদিকে নজর না দিয়ে চিংড়িঘেরের মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে বাঁধের সর্বনাশ ঘটাচ্ছে। এভাবে কিছু লোকের হাতে উপকূলীয় জনগণের প্রতিরক্ষাব্যূহ বলে পরিচিত বাঁধ ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। বিষয়টির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বাঁধের যেসব স্থানে কাটা হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে মেরামত করতে হবে।
উপকূলের মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থেই সেটি করা জরুরি বলে মনে করি। উপকূলে মানবসৃষ্ট এ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন, পাউবোর পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
No comments