ভোজ্য তেল নিয়ে কারসাজি
এমনটা নতুন কিছু নয়। আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে এক টাকা বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সঙ্গে সঙ্গে তা দুই টাকা বাড়ে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে যখন সে পণ্যটির দাম এক টাকা কমে তখন বাংলাদেশের বাজারে একটি পয়সা কমে না। তাই এ দেশের মানুষ মূল্যবৃদ্ধি দেখেছে, মূল্য কদাচিৎ কমতে দেখেছে।
তারই আরেকটি উদাহরণ দেখা যাচ্ছে ভোজ্য তেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের বেলায়। পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি বিক্রীত মূল্য এক হাজার ৪৭০ ডলারের অপরিশোধিত সয়াবিনের দাম এক হাজার ২১০ ডলারে নেমে এসেছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কেজিপ্রতি কমেছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ টাকা। অধিকন্তু সরকার তেলের ওপর থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু বাজারে তেলের মূল্য কমা তো দূরের কথা, বরং ৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দাম বাড়ার এ খেলা যে শুধু তেলের ক্ষেত্রেই ঘটছে তা নয়, আমদানিনির্ভর সব পণ্যের বেলায়ই আমরা এ বৈশিষ্ট্য দেখে আসছি। কোনো সরকারের সময়, কখনোই মনে হয় না যে বাজার নিয়ন্ত্রণের বা বাজার মনিটরিংয়ের কোনো ব্যবস্থা আছে। ব্যবসায়ীরা তেলের মূল্য কমাতে না পারার ব্যাপারে একটি যুক্তি দিয়েছেন, যা সব পণ্যের ব্যাপারেই দিয়ে থাকেন। সেটা হলো, আমাদের তেল চড়া মূল্যে কেনা, সুতরাং এখন মূল্য ছাড় দিলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু লক্ষণীয়, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পণ্যের মূল্য বাড়ে। সে পণ্য কি কয়েক ঘণ্টার মধেই আমদানি করা হয়? ব্যবসায়ীদের কাছে প্রশ্ন করা যায়, তাহলে কি ক্ষতির দায় শুধু জনগণকে টানতে হবে? কোনো যুক্তি ছাড়া, কোনো কৈফিয়ত ছাড়া বিভিন্ন উৎসব, পালা-পার্বণে দাম বাড়ানো হয়। সে দাম উৎসবের পরও বহাল থাকে এবং আর কখনোই তা কমে না। তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন একটু হলেও ছাড় দেবেন না? এবারের তেলের মূল্য নিয়ে ব্যবসাযীরা যে চড়া মূল্যের দোহাই দিচ্ছেন, সেটাও কিন্তু যুক্তিসংগত নয়। কারণ তারা ভোজ্য এই তেলের দাম কেজিপ্রতি কয়েক টাকা নামিয়ে আনলে যে লোকসান গুনতে হবে না, সেটা আমদানিমূল্য দেখলেই বোঝা যাবে। বস্তুত প্রয়োজন তাঁদের ইতিবাচক মানসিকতা। সে মানসিকতা যদি তাঁরা না প্রকাশ করতে পারেন, তাহলে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বা বাজারসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মোদ্দা কথা, দেশের জনগণের ওপর স্বেচ্ছাচারী মূল্য চাপিয়ে দেওয়ার এই বহুকালের ধারার একটি অবসান হওয়া প্রয়োজন।
দাম বাড়ার এ খেলা যে শুধু তেলের ক্ষেত্রেই ঘটছে তা নয়, আমদানিনির্ভর সব পণ্যের বেলায়ই আমরা এ বৈশিষ্ট্য দেখে আসছি। কোনো সরকারের সময়, কখনোই মনে হয় না যে বাজার নিয়ন্ত্রণের বা বাজার মনিটরিংয়ের কোনো ব্যবস্থা আছে। ব্যবসায়ীরা তেলের মূল্য কমাতে না পারার ব্যাপারে একটি যুক্তি দিয়েছেন, যা সব পণ্যের ব্যাপারেই দিয়ে থাকেন। সেটা হলো, আমাদের তেল চড়া মূল্যে কেনা, সুতরাং এখন মূল্য ছাড় দিলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু লক্ষণীয়, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পণ্যের মূল্য বাড়ে। সে পণ্য কি কয়েক ঘণ্টার মধেই আমদানি করা হয়? ব্যবসায়ীদের কাছে প্রশ্ন করা যায়, তাহলে কি ক্ষতির দায় শুধু জনগণকে টানতে হবে? কোনো যুক্তি ছাড়া, কোনো কৈফিয়ত ছাড়া বিভিন্ন উৎসব, পালা-পার্বণে দাম বাড়ানো হয়। সে দাম উৎসবের পরও বহাল থাকে এবং আর কখনোই তা কমে না। তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন একটু হলেও ছাড় দেবেন না? এবারের তেলের মূল্য নিয়ে ব্যবসাযীরা যে চড়া মূল্যের দোহাই দিচ্ছেন, সেটাও কিন্তু যুক্তিসংগত নয়। কারণ তারা ভোজ্য এই তেলের দাম কেজিপ্রতি কয়েক টাকা নামিয়ে আনলে যে লোকসান গুনতে হবে না, সেটা আমদানিমূল্য দেখলেই বোঝা যাবে। বস্তুত প্রয়োজন তাঁদের ইতিবাচক মানসিকতা। সে মানসিকতা যদি তাঁরা না প্রকাশ করতে পারেন, তাহলে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বা বাজারসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মোদ্দা কথা, দেশের জনগণের ওপর স্বেচ্ছাচারী মূল্য চাপিয়ে দেওয়ার এই বহুকালের ধারার একটি অবসান হওয়া প্রয়োজন।
No comments