একে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই-র্যাগিং-ব্যাধি
‘র্যাগিং’ নামে উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একধরনের সহিংসতা নীরবে-নিভৃতই চলে আসছে। কুৎসিত ও নিষ্ঠুর আচরণের মাধ্যমে নবাগত শিক্ষার্থীদের ‘অভ্যর্থনা’ জানানোর নামই হলো ‘র্যাগিং’। সম্প্রতি সে রকম অধিকারের চর্চা করতে গিয়ে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে নির্যাতিত ছাত্রদের একজনের পায়ের নখ উপড়ানো হয়েছে, একজনের
কিডনি নষ্ট হতে বসেছে, সারা শরীরে জখম হয়েছে অনেকের এবং মানসিক ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে একজনের। ১১ জন নবাগত শিক্ষার্থী একাডেমি ছেড়ে চলে গেছেন।
মেরিন একাডেমি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যে জানে না তা নয়, কিন্তু তারা এটাকে যে হালকাভাবে নিয়েছিল, তা একাডেমির কমান্ড্যান্টের উক্তি থেকেই বোঝা যায়। বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ বিষয়ের সংবাদে তিনি বলেছেন, ‘...কিছু ক্যাডেট প্রশিক্ষণের ধকল সইতে না পেরে একাডেমি ছেড়ে চলে যায়, এবারও হয়তো কিছু যেতে পারে।’ অর্থাৎ তিনি একে গতানুগতিক ঘটনা হিসেবেই দেখেছেন। জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা নিজেরাও নবাগত অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাই বর্তমানের নবাগতদের নির্যাতন করাকে তাঁরা গতানুগতিক অধিকার বলে মনে করেন। এটা চলতে থাকলে বর্তমান নবাগতরাও ভবিষ্যতের নবাগতদের সঙ্গে এমন আচরণই করবেন এবং র্যাগিং নামের বিকৃতি চলতেই থাকবে।
দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং না চললেও ছাত্র রাজনীতির নামে অবৈধ ক্ষমতাচর্চা ও নিষ্ঠুরতার মহড়া লক্ষ্য করা যায়। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কঠিন প্রাতিষ্ঠানিক বিধিমালার চাপে নিয়মভঙ্গের ঝোঁকও লক্ষণীয়। পারস্পরিক সম্মান ও ব্যক্তির মর্যাদার বোধ যে সমাজে দুর্বল, সেই সমাজে এ ধরনের ঘটনা ঘটার পরিবেশও জারি থাকে।
সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালকদের র্যাগিংয়ের মানসিকতার গোড়া খুঁজে তা উৎপাটন করতে হবে। একে হালকাভাবে দেখার কিছু নেই, র্যাগিংয়ের অত্যাচারে শারীরিক-মানসিক ক্ষতি অপূরণীয়। অনেক সুবোধ শিক্ষার্থীও র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে সহিংস মনোভাব অর্জন করতে পারেন, আবার অনেকে ভীরু ও হীনম্মন্যও হয়ে পড়েন। সম্প্রতি বগুড়া মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর্যুপরি বিদ্রূপের শিকার হয়ে এক ছাত্র আত্মহত্যাও করেছেন।
মেরিনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া দরকার, নইলে এই অসদাচরণ বন্ধ হবে না। পাশাপাশি শিক্ষক ও প্রাতিষ্ঠানিক-প্রধানদের শিক্ষাবর্ষের শুরুতে এ ব্যাপারে সতর্ক নজরদারিও চালাতে হবে। মেরিন একাডেমিসহ যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের মতো অসুস্থ ও নিষ্ঠুর প্রথা চালু আছে, তা বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
মেরিন একাডেমি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যে জানে না তা নয়, কিন্তু তারা এটাকে যে হালকাভাবে নিয়েছিল, তা একাডেমির কমান্ড্যান্টের উক্তি থেকেই বোঝা যায়। বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ বিষয়ের সংবাদে তিনি বলেছেন, ‘...কিছু ক্যাডেট প্রশিক্ষণের ধকল সইতে না পেরে একাডেমি ছেড়ে চলে যায়, এবারও হয়তো কিছু যেতে পারে।’ অর্থাৎ তিনি একে গতানুগতিক ঘটনা হিসেবেই দেখেছেন। জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা নিজেরাও নবাগত অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাই বর্তমানের নবাগতদের নির্যাতন করাকে তাঁরা গতানুগতিক অধিকার বলে মনে করেন। এটা চলতে থাকলে বর্তমান নবাগতরাও ভবিষ্যতের নবাগতদের সঙ্গে এমন আচরণই করবেন এবং র্যাগিং নামের বিকৃতি চলতেই থাকবে।
দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং না চললেও ছাত্র রাজনীতির নামে অবৈধ ক্ষমতাচর্চা ও নিষ্ঠুরতার মহড়া লক্ষ্য করা যায়। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কঠিন প্রাতিষ্ঠানিক বিধিমালার চাপে নিয়মভঙ্গের ঝোঁকও লক্ষণীয়। পারস্পরিক সম্মান ও ব্যক্তির মর্যাদার বোধ যে সমাজে দুর্বল, সেই সমাজে এ ধরনের ঘটনা ঘটার পরিবেশও জারি থাকে।
সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালকদের র্যাগিংয়ের মানসিকতার গোড়া খুঁজে তা উৎপাটন করতে হবে। একে হালকাভাবে দেখার কিছু নেই, র্যাগিংয়ের অত্যাচারে শারীরিক-মানসিক ক্ষতি অপূরণীয়। অনেক সুবোধ শিক্ষার্থীও র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে সহিংস মনোভাব অর্জন করতে পারেন, আবার অনেকে ভীরু ও হীনম্মন্যও হয়ে পড়েন। সম্প্রতি বগুড়া মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর্যুপরি বিদ্রূপের শিকার হয়ে এক ছাত্র আত্মহত্যাও করেছেন।
মেরিনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া দরকার, নইলে এই অসদাচরণ বন্ধ হবে না। পাশাপাশি শিক্ষক ও প্রাতিষ্ঠানিক-প্রধানদের শিক্ষাবর্ষের শুরুতে এ ব্যাপারে সতর্ক নজরদারিও চালাতে হবে। মেরিন একাডেমিসহ যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের মতো অসুস্থ ও নিষ্ঠুর প্রথা চালু আছে, তা বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
No comments