পবিত্র কোরআনের আলো-রাসুল পাঠিয়ে আল্লাহ মুমিনদের সৌভাগ্যবান করেছেন
১৬২. আফামানিত্তাবাআ' রিদ্বওয়া-নাল্লাহি কামাম্ বা-আ বিছাখাতি্বম্ মিনাল্লাহি ওয়ামা'ওয়া-হু জাহান্নাম; ওয়াবি'ছাল মাসীর। ১৬৩. হুম দারাজা-তুন ই'নদাল্লাহি; ওয়াল্লাহু বাসীরুম্ বিমা ইয়া'মালূন। ১৬৪. লাক্বাদ মান্নাল্লাহূ আ'লাল মু'মিনীনা ইয্ বাআ'ছা ফীহিম রাসুলাম্ মিন্ আনফুছিহিম ইয়াত্লূ আ'লাইহিম আ-য়াতিহি ওয়া ইউযাক্কীহিম ওয়া
ইউআ'লি্লমুহুমুল কিতা-বা ওয়ালহিক্মাতা; ওয়াইন কা-নূ মিন ক্বাবলু লাফী দ্বালা-লিম্ মুবীন। [সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬২-১৬৪]
অনুবাদ : ১৬২. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ অনুসরণ করে তার সঙ্গে কিভাবে সে ব্যক্তির তুলনা করা যায়, যে আল্লাহর অসন্তুষ্টির পথে চলে শুধু তাঁর ক্রোধই অর্জন করেছে। এদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম, আর তা কতই না নিকৃষ্ট জায়গা!
১৬৩. এরা নিজ নিজ কর্মফল অনুযায়ী আল্লাহর কাছে বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত হবে। আল্লাহ এদের সব কার্যকলাপের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন। ১৬৪. আল্লাহতায়ালা অবশ্যই মুমিনদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন, তিনি তাদের মধ্য থেকে একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন। সেই রাসুল তাদের কাছে আল্লাহর কিতাবের আয়াতগুলো পড়ে শোনান এবং তিনি তাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ করে দেন। সে নবী তাদের আল্লাহর কিতাব ও এর প্রজ্ঞা শিক্ষা দেন। অথচ এরা সবাই এর আগে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত ছিল।
ব্যাখ্যা : ১৬২ ও ১৬৩ নম্বর আয়াতে মানুষে মানুষে শ্রেণীবিন্যাস কিভাবে হতে পারে, এর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, মানুষের মধ্যে মর্যাদার শ্রেণীবিন্যাস হতে পারে নিজ নিজ কর্মফলের ভিত্তিতে। আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের শ্রেণীবিন্যাস হবে, কারণ আল্লাহ ভালোভাবেই জানেন মানুষ কে কী করে। এর আগের আয়াতে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ অনুসরণ করে তার সঙ্গে কিভাবে তুলনা হতে পারে সেই ব্যক্তির যে আল্লাহর অসন্তুষ্টির পথে চলে শুধু তাঁর ক্রোধই অর্জন করেছে। অর্থাৎ এই দুই ধরনের লোক দুই শ্রেণীভুক্ত। এদের মর্যাদা কখনো এক হতে পারে না। আল্লাহর অসন্তুষ্টির পথে যারা চলে, তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
১৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, মুমিনদের সৌভাগ্যের অন্যতম ব্যাপার হলো, আল্লাহ তাদের মধ্য থেকে একজনকে তাঁর রাসুল করে পাঠিয়েছেন। রাসুলের আবির্ভাব মানবজাতির জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ওমা আরছালানাকা ইল্লা রাহমাতালি্লল আলামিন। অর্থাৎ আমি আপনাকে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি। আর যারা রাসুলের ওপর ইমান এনেছে, তাদের জন্য তো রহমত বটেই। রাসুলের আবির্ভাবের আগে মানুষ ছিল বিভ্রান্ত ও অসহায়। তাদের কাছে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথের দিশা ছিল না, সত্য ও ন্যায়ের পথের দিশা ছিল না। রাসুল এসে তাদের আল্লাহর কিতাব পাঠ করে শুনিয়েছেন, সত্য ও ন্যায়ের পথের দিশা দিয়েছেন এবং তাদের প্রজ্ঞা দান করেছেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ১৬২. যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ অনুসরণ করে তার সঙ্গে কিভাবে সে ব্যক্তির তুলনা করা যায়, যে আল্লাহর অসন্তুষ্টির পথে চলে শুধু তাঁর ক্রোধই অর্জন করেছে। এদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম, আর তা কতই না নিকৃষ্ট জায়গা!
১৬৩. এরা নিজ নিজ কর্মফল অনুযায়ী আল্লাহর কাছে বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত হবে। আল্লাহ এদের সব কার্যকলাপের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন। ১৬৪. আল্লাহতায়ালা অবশ্যই মুমিনদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন, তিনি তাদের মধ্য থেকে একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন। সেই রাসুল তাদের কাছে আল্লাহর কিতাবের আয়াতগুলো পড়ে শোনান এবং তিনি তাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ করে দেন। সে নবী তাদের আল্লাহর কিতাব ও এর প্রজ্ঞা শিক্ষা দেন। অথচ এরা সবাই এর আগে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত ছিল।
ব্যাখ্যা : ১৬২ ও ১৬৩ নম্বর আয়াতে মানুষে মানুষে শ্রেণীবিন্যাস কিভাবে হতে পারে, এর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, মানুষের মধ্যে মর্যাদার শ্রেণীবিন্যাস হতে পারে নিজ নিজ কর্মফলের ভিত্তিতে। আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের শ্রেণীবিন্যাস হবে, কারণ আল্লাহ ভালোভাবেই জানেন মানুষ কে কী করে। এর আগের আয়াতে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ অনুসরণ করে তার সঙ্গে কিভাবে তুলনা হতে পারে সেই ব্যক্তির যে আল্লাহর অসন্তুষ্টির পথে চলে শুধু তাঁর ক্রোধই অর্জন করেছে। অর্থাৎ এই দুই ধরনের লোক দুই শ্রেণীভুক্ত। এদের মর্যাদা কখনো এক হতে পারে না। আল্লাহর অসন্তুষ্টির পথে যারা চলে, তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
১৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, মুমিনদের সৌভাগ্যের অন্যতম ব্যাপার হলো, আল্লাহ তাদের মধ্য থেকে একজনকে তাঁর রাসুল করে পাঠিয়েছেন। রাসুলের আবির্ভাব মানবজাতির জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ওমা আরছালানাকা ইল্লা রাহমাতালি্লল আলামিন। অর্থাৎ আমি আপনাকে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি। আর যারা রাসুলের ওপর ইমান এনেছে, তাদের জন্য তো রহমত বটেই। রাসুলের আবির্ভাবের আগে মানুষ ছিল বিভ্রান্ত ও অসহায়। তাদের কাছে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথের দিশা ছিল না, সত্য ও ন্যায়ের পথের দিশা ছিল না। রাসুল এসে তাদের আল্লাহর কিতাব পাঠ করে শুনিয়েছেন, সত্য ও ন্যায়ের পথের দিশা দিয়েছেন এবং তাদের প্রজ্ঞা দান করেছেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments