আসেম-এর পূর্ণ সদস্যপদ লাভ-বাংলাদেশের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ
বিশ্বব্যাপী জোটবদ্ধ আন্দোলন কিংবা সার্বিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। ইতিমধ্যে এর ইতিবাচক দিকও লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আসিয়ান কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সামনেই রয়েছে। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম- সার্ক গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সে রকমই ছিল বটে, কিন্তু
পারস্পরিক আস্থাবোধের অভাবে সার্ক কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলেও প্রত্যাশা এখনো মিইয়ে যায়নি। এরই মধ্যে আরো একটি সুবার্তা মিলেছে বাংলাদেশের জন্য, যার মধ্য দিয়ে এ দেশের প্রতি অন্য দেশগুলোর আস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ১০ এপ্রিল ২০১২ কালের কণ্ঠে প্রকাশ, বিশ্বের ৪৬টি দেশ এবং প্রভাবশালী দুটি সংস্থার আন্ত-আঞ্চলিক জোট 'এশিয়া-ইউরোপ মিটিং' (আসেম)-এ বাংলাদেশ পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পাচ্ছে। আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর লাওসের ভিয়েনতিয়েনে আসেমের নবম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূর্ণ সদস্য হিসেবে যোগ দেবে। বিষয়টি একদিকে গৌরবের, অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সাফল্য হিসেবে অবশ্যই বিবেচিত।
বর্তমান বিশ্বপ্রেক্ষাপটে 'ওয়ার্ল্ড ভিলেজ' অর্থাৎ 'ভুবন গ্রাম' শব্দযুগল খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিযোগিতামূলক বর্তমান বিশ্বে এই কনসেপ্ট সংগত কারণেই বেগবানও হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে আসেম-এর পূর্ণ সদস্যপদে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি এও প্রমাণ করল, আঞ্চলিক রাজনীতিতে আমাদের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। একসময় শুধু দারিদ্র্যের কষাঘাতে পিষ্ট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল। কোনো কোনো ক্ষমতাধর দেশ বা রাষ্ট্র হীনস্বার্থ চরিতার্থকরণের লক্ষ্যে অপবাদের নানা রকম তকমা আমাদের ললাটে এঁকে দেওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছে। কিন্তু নানাবিধ যৌক্তিক কারণেই বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন অস্বীকার করা দুরূহ। বাংলাদেশকে আসেম-এর পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এরই বহিঃপ্রকাশ বটে। আসেমে মূলত রাজনৈতিক সংলাপ, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রাধান্য পায়। শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য এ সবই জরুরি। দারিদ্র্য ও অশিক্ষা শান্তি-অগ্রগতির প্রধান শত্রু। অন্যদিকে এ দুটি-ই মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের চারণভূমির ক্ষেত্র প্রশস্ত করে এবং সভ্যতা-মানবতা-অগ্রগতিবিরোধী এসব ঘৃণ্য আদর্শের মাশুল গুনতে হয় রাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের। দারিদ্র্য আর শান্তির সহাবস্থান সম্ভব নয়। দারিদ্র্য, অশিক্ষা- এসব ঈশ্বর প্রদত্ত কিংবা জন্মগত কোনো ব্যাপারও নয়। সমাজে ন্যায়বিচারের অভাব হলে, শোষণ-বঞ্চনা বেড়ে গেলে এবং রাষ্ট্র দরিদ্রদের সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে স্বাভাবিক কারণেই অস্থিতিশীলতাও বেড়ে যায়। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অস্থিতিশীলতা একটি বড় উপসর্গ হয়ে দেখা দিয়েছে এবং এই উপসর্গের আন্তর্জাতিক যোগসূত্রও রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে অস্থিতিশীলতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে আঞ্চলিক ও জোটবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। আসেম-এর পূর্ণ সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার প্রত্যাশার কিংবা কাঙ্ক্ষিত মাত্রার আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করল। সবার আগে মানুষ শান্তি চায়। আর শান্তির জন্য প্রয়োজন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা-সংস্কৃতির ব্যাপ্তি। সুশাসন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, জবাবদিহিতা, মানবাধিকার ইত্যাদি নিশ্চিত করে শান্তির নীড় গড়ে তুলতে নতুন নতুন প্রয়াস জোরদার করতেই হবে। বিষয়গুলো নিশ্চিত হলে অর্থনীতির চেহারা এমনিতেই পুষ্ট হবে। জোটবদ্ধ আন্দোলন এ ক্ষেত্রেও ব্যাপক ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।
বর্তমান বিশ্বপ্রেক্ষাপটে 'ওয়ার্ল্ড ভিলেজ' অর্থাৎ 'ভুবন গ্রাম' শব্দযুগল খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিযোগিতামূলক বর্তমান বিশ্বে এই কনসেপ্ট সংগত কারণেই বেগবানও হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে আসেম-এর পূর্ণ সদস্যপদে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি এও প্রমাণ করল, আঞ্চলিক রাজনীতিতে আমাদের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। একসময় শুধু দারিদ্র্যের কষাঘাতে পিষ্ট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল। কোনো কোনো ক্ষমতাধর দেশ বা রাষ্ট্র হীনস্বার্থ চরিতার্থকরণের লক্ষ্যে অপবাদের নানা রকম তকমা আমাদের ললাটে এঁকে দেওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছে। কিন্তু নানাবিধ যৌক্তিক কারণেই বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন অস্বীকার করা দুরূহ। বাংলাদেশকে আসেম-এর পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এরই বহিঃপ্রকাশ বটে। আসেমে মূলত রাজনৈতিক সংলাপ, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রাধান্য পায়। শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য এ সবই জরুরি। দারিদ্র্য ও অশিক্ষা শান্তি-অগ্রগতির প্রধান শত্রু। অন্যদিকে এ দুটি-ই মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের চারণভূমির ক্ষেত্র প্রশস্ত করে এবং সভ্যতা-মানবতা-অগ্রগতিবিরোধী এসব ঘৃণ্য আদর্শের মাশুল গুনতে হয় রাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের। দারিদ্র্য আর শান্তির সহাবস্থান সম্ভব নয়। দারিদ্র্য, অশিক্ষা- এসব ঈশ্বর প্রদত্ত কিংবা জন্মগত কোনো ব্যাপারও নয়। সমাজে ন্যায়বিচারের অভাব হলে, শোষণ-বঞ্চনা বেড়ে গেলে এবং রাষ্ট্র দরিদ্রদের সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে স্বাভাবিক কারণেই অস্থিতিশীলতাও বেড়ে যায়। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অস্থিতিশীলতা একটি বড় উপসর্গ হয়ে দেখা দিয়েছে এবং এই উপসর্গের আন্তর্জাতিক যোগসূত্রও রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে অস্থিতিশীলতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে আঞ্চলিক ও জোটবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। আসেম-এর পূর্ণ সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার প্রত্যাশার কিংবা কাঙ্ক্ষিত মাত্রার আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করল। সবার আগে মানুষ শান্তি চায়। আর শান্তির জন্য প্রয়োজন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা-সংস্কৃতির ব্যাপ্তি। সুশাসন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, জবাবদিহিতা, মানবাধিকার ইত্যাদি নিশ্চিত করে শান্তির নীড় গড়ে তুলতে নতুন নতুন প্রয়াস জোরদার করতেই হবে। বিষয়গুলো নিশ্চিত হলে অর্থনীতির চেহারা এমনিতেই পুষ্ট হবে। জোটবদ্ধ আন্দোলন এ ক্ষেত্রেও ব্যাপক ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।
No comments