লুটপাটের মহাপরিকল্পনার নাম রেন্টাল বিদ্যুৎ by বিডি রহমতুল্লাহ
শুরুতে জ্বালানির কথাই বলি। আমাদের যে জ্বালানিনীতি রয়েছে, সে নীতি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। কিন্তু সরকার সেদিকে যায়নি। কোনো সরকারই নয়। পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে অনেক ভালো ভালো বাস্তবসম্মত ইতিবাচক কথা রয়েছে। সেদিকে যদি নজর দেওয়া হতো এবং অনুসরণ করা হতো, তাহলে আমাদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
সরকার বলছে গ্যাস-বিদ্যুতে অধিক খরচের কথা এবং পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ না থাকার কথা। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
বর্তমানে দেশে ২৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ২০০ কোটি ঘনফুট। আমাদের ঘাটতি রয়েছে ৯০ কোটি ঘনফুট। এ ৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনে সরকার নীতিমালা অবলম্বন করলে তা উৎপাদন করা মোটেই কঠিন কিছু নয়। সরকার গ্যাস-বিদ্যুতে গেলে কোনোক্রমেই আমাদের বিদ্যুতের এ ঘাটতি থাকত না।
গ্যাস-বিদ্যুতের দিকে গেলে প্রতি ইউনিট উৎপাদনে খরচ হতো ৬৭ পয়সা। কিন্তু তারা গেছে রেন্টাল বিদ্যুতে, যা পৃথিবীর কোথাও নেই। কিনেছে পুরনো পাওয়ার স্টেশন। সেগুলো মেরামত খরচ এবং বন্ধ থাকার কারণে জাতিকে বিশাল অঙ্কের গচ্চা দিতে হচ্ছে। এসব বলতে গিয়ে আমার পদাবনতি হয়েছে। দেশে রয়েছে সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা। এটা ব্যবস্থা করা কোনো বিষয়ই হতো না, যদি সরকার জনগণের কথা চিন্তা করত। তারা সে চিন্তা করছে না। এ খাত থেকে সম্পূর্ণ লুটপাটের মহাপরিকল্পনা করে তারা রেন্টাল বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে। দেখবেন, এ বাণিজ্যে বিএনপির সময় যাঁরা পেয়েছেন তাঁরা সবাই বিএনপির লোক, আবার এ সরকারের সময় যাঁরা পেয়েছেন তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক।
সব সরকারই এ খাতকে নিজেদের ব্যবসার জায়গায় পরিণত করেছে। সুষ্ঠুভাবে নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে যে বিদ্যুৎ ইউনিটপ্রতি ৬৭ পয়সা খরচ হতো, তা ওই সব নিজেদের লোকের কাছ থেকে আট টাকা ইউনিট দরে কেনা হচ্ছে।
সিএসএলের কথা বলছে সরকার। এটি ছিল আমাদেরই স্লোগান। সেটিকে পুঁজি করে সরকার ব্যবসা করছে। কিন্তু আমাদের কথা শুনছে না। এ খাত সম্পর্কে অনভিজ্ঞ, লুটেরাদের মাধ্যমে লুট করা হচ্ছে। ড. নুরুল ইসলামের অনেক ভালো প্রস্তাব আছে। তারা সেগুলো বাস্তবায়ন করলে কোনো সমস্যাই হতো না।
গ্রন্থনা : মহসীন হাবিব
বর্তমানে দেশে ২৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ২০০ কোটি ঘনফুট। আমাদের ঘাটতি রয়েছে ৯০ কোটি ঘনফুট। এ ৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনে সরকার নীতিমালা অবলম্বন করলে তা উৎপাদন করা মোটেই কঠিন কিছু নয়। সরকার গ্যাস-বিদ্যুতে গেলে কোনোক্রমেই আমাদের বিদ্যুতের এ ঘাটতি থাকত না।
গ্যাস-বিদ্যুতের দিকে গেলে প্রতি ইউনিট উৎপাদনে খরচ হতো ৬৭ পয়সা। কিন্তু তারা গেছে রেন্টাল বিদ্যুতে, যা পৃথিবীর কোথাও নেই। কিনেছে পুরনো পাওয়ার স্টেশন। সেগুলো মেরামত খরচ এবং বন্ধ থাকার কারণে জাতিকে বিশাল অঙ্কের গচ্চা দিতে হচ্ছে। এসব বলতে গিয়ে আমার পদাবনতি হয়েছে। দেশে রয়েছে সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা। এটা ব্যবস্থা করা কোনো বিষয়ই হতো না, যদি সরকার জনগণের কথা চিন্তা করত। তারা সে চিন্তা করছে না। এ খাত থেকে সম্পূর্ণ লুটপাটের মহাপরিকল্পনা করে তারা রেন্টাল বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে। দেখবেন, এ বাণিজ্যে বিএনপির সময় যাঁরা পেয়েছেন তাঁরা সবাই বিএনপির লোক, আবার এ সরকারের সময় যাঁরা পেয়েছেন তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক।
সব সরকারই এ খাতকে নিজেদের ব্যবসার জায়গায় পরিণত করেছে। সুষ্ঠুভাবে নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে যে বিদ্যুৎ ইউনিটপ্রতি ৬৭ পয়সা খরচ হতো, তা ওই সব নিজেদের লোকের কাছ থেকে আট টাকা ইউনিট দরে কেনা হচ্ছে।
সিএসএলের কথা বলছে সরকার। এটি ছিল আমাদেরই স্লোগান। সেটিকে পুঁজি করে সরকার ব্যবসা করছে। কিন্তু আমাদের কথা শুনছে না। এ খাত সম্পর্কে অনভিজ্ঞ, লুটেরাদের মাধ্যমে লুট করা হচ্ছে। ড. নুরুল ইসলামের অনেক ভালো প্রস্তাব আছে। তারা সেগুলো বাস্তবায়ন করলে কোনো সমস্যাই হতো না।
গ্রন্থনা : মহসীন হাবিব
No comments