১১ হাজার আবেদনকারীর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন-৩৩তম বিসিএস
যেখানে দ্রুত সেবা পাওয়ার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সেখানে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিসিএস পরীক্ষার আবেদনকারীরা বঞ্চিত হতে পারেন না। গতকাল প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার ১১ হাজার আবেদনকারী নির্ধারিত সময়ে রেজিস্ট্রেশন করেও পরীক্ষা দিতে পারছেন না।
তাঁরা যথাসময়ে টাকা জমা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন নির্ধারিত মুঠোফোন সংস্থা টেলিটকের কারিগরি ত্রুটির কারণে। এর দায় কেন আবেদনকারীরা নেবেন?
নির্ধারিত সময়ে যাঁদের টাকা জমা পড়েনি, তাঁদের আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই বলে পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি যে এলান জারি করেছে, তা এই ১১ হাজার আবেদনকারীর প্রতি অবিচার ও নিষ্ঠুরতা ছাড়া কিছু নয়। এসব আবেদনকারী পিএসসির নির্ধারিত সময়েই টাকা জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু টেলিটক একই সময়ে এতজন আবেদনকারীর (প্রায় ১৩ লাখ) মুঠোফোন বার্তা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে আবেদনকারীদের যে কোনো দোষ নেই, তা টেলিটকের একজন কর্মকর্তার স্বীকারোক্তিতেই প্রমাণিত। তিনি বলেছেন, একই সময়ে বিপুলসংখ্যক আবেদনকারী বার্তা পাঠানোর ফলে তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে, যে কারণে উল্লিখিত প্রার্থীরা টাকা জমা দিতে পারেননি।
প্রশ্ন হলো, টাকা জমা দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে টেলিটককে নির্ধারণ করেছে কে? পিএসসি। তবে সেই সংস্থার কারিগরি ত্রুটির দায়ও তাদের নিতে হবে। এ জন্য নিশ্চয়ই আবেদনকারীদের দায়ী করা যাবে না।
কে কখন অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তার রেকর্ড নিশ্চয়ই সংস্থাটির কাছে আছে। অতএব, সেই রেকর্ড দেখে রেজিস্ট্রেশন করার পরও যাঁরা টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের আবেদনপত্র গ্রহণ ও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আমরা পিএসসিকে রোবটের ভূমিকায় দেখতে চাই না। এটি পরিচালনার দায়িত্ব যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা আকাশ থেকেও নাজেল হননি। বাংলাদেশের বাস্তবতা তাঁদেরও আমলে নিতে হবে। যে কারিগরি ত্রুটির জন্য আবেদনকারীরা মোটেই দায়ী নন, তাঁদের পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা সমীচীন হবে না। এ ব্যাপারে পিএসসির কাছে মানবিক ও যৌক্তিক প্রতিকার আশা করি।
নির্ধারিত সময়ে যাঁদের টাকা জমা পড়েনি, তাঁদের আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই বলে পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি যে এলান জারি করেছে, তা এই ১১ হাজার আবেদনকারীর প্রতি অবিচার ও নিষ্ঠুরতা ছাড়া কিছু নয়। এসব আবেদনকারী পিএসসির নির্ধারিত সময়েই টাকা জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু টেলিটক একই সময়ে এতজন আবেদনকারীর (প্রায় ১৩ লাখ) মুঠোফোন বার্তা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে আবেদনকারীদের যে কোনো দোষ নেই, তা টেলিটকের একজন কর্মকর্তার স্বীকারোক্তিতেই প্রমাণিত। তিনি বলেছেন, একই সময়ে বিপুলসংখ্যক আবেদনকারী বার্তা পাঠানোর ফলে তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে, যে কারণে উল্লিখিত প্রার্থীরা টাকা জমা দিতে পারেননি।
প্রশ্ন হলো, টাকা জমা দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে টেলিটককে নির্ধারণ করেছে কে? পিএসসি। তবে সেই সংস্থার কারিগরি ত্রুটির দায়ও তাদের নিতে হবে। এ জন্য নিশ্চয়ই আবেদনকারীদের দায়ী করা যাবে না।
কে কখন অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তার রেকর্ড নিশ্চয়ই সংস্থাটির কাছে আছে। অতএব, সেই রেকর্ড দেখে রেজিস্ট্রেশন করার পরও যাঁরা টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের আবেদনপত্র গ্রহণ ও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আমরা পিএসসিকে রোবটের ভূমিকায় দেখতে চাই না। এটি পরিচালনার দায়িত্ব যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা আকাশ থেকেও নাজেল হননি। বাংলাদেশের বাস্তবতা তাঁদেরও আমলে নিতে হবে। যে কারিগরি ত্রুটির জন্য আবেদনকারীরা মোটেই দায়ী নন, তাঁদের পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা সমীচীন হবে না। এ ব্যাপারে পিএসসির কাছে মানবিক ও যৌক্তিক প্রতিকার আশা করি।
No comments