ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ-নির্বাচন কমিশনের আইন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের আপত্তি by হারুন আল রশীদ
ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত আইনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলেছে, ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এ আইন সংশোধন করা না হলে তারা উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র, ডেটাবেইস ও নেটওয়ার্ক তৈরি প্রকল্পে (আইডিয়া প্রকল্প) ঋণ দেবে না।
নির্বাচন কমিশন আইডিয়া প্রকল্পের জন্য গত বছরের ২১ আগস্ট বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা) একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে আছে, বিশ্বব্যাংককে এ-সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান পর্যালোচনার সুযোগ দিতে হবে।
কমিশন আগামী মাস (মার্চ) থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করবে। সূত্র জানায়, ভূমি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে কমিশন এবার ভোটারদের কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য নতুন তথ্য ফরমও তৈরি করেছে। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে: মাতা-পিতা এবং স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং ভোটারের জন্মনিবন্ধন নম্বর। বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে কমিশন ভোটার তালিকা আইন ও বিধিতে সংশোধনী আনতে খসড়াও তৈরি করেছে।
সূত্র জানায়, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কমিশন বিদ্যমান ভোটার তালিকা আইন এবং সংশোধিত খসড়া বিশ্বব্যাংককে পাঠায়। বিশ্বব্যাংক সেগুলো পর্যালোচনা করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কমিশনে মতামত দেয়। মতামতে বলা হয়, বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত আইন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এতে নাগরিকের নিরাপত্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ আইনে নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় সংগ্রহের বিধানও রয়েছে। সুতরাং আইন ও বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী না আনলে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে না।
সদ্যবিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন এ নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনে বৈঠক করেন। সূত্র জানায়, বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা হয়নি।
জানতে চাইলে এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক কিছু শর্ত দিয়েছে। তাদের সব শর্ত মানা সম্ভব নয়। ইসিকেও কিছু ছাড় দিতে হবে। আমরা আপাতত এই নীতিতে আছি।’
কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, কমিশন ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করলেও তা সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। ১৯৭২ সাল থেকে সংবিধানে নির্দেশনা থাকলেও নাগরিকের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এখনো আইন হয়নি। বরং ২০০৬ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধন করে নাগরিকের টেলিফোনে আড়িপাতা ও ই-মেইলে নজরদারির ক্ষমতা নিরাপত্তা সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কমিশনের সঙ্গে যথাক্রমে ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংক কেবল ডেটাবেইসে থাকা ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখ করা তথ্য যাচাই করতে পারবে। কমিশন সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার মতে, ভোটারদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত না করেই কমিশন এ চুক্তি করেছে। মুঠোফোন অপারেটররা চাইলে তাদেরও তথ্যভান্ডার সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের জন্য যে আইন রয়েছে, তা সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সুরক্ষার জন্য সংবিধানের আলোকে আইন করতে হবে। কোনোভাবেই ব্যক্তির তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সরবরাহ করা যাবে না। এতে নাগরিকের নিরাপত্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হবে। তিনি বলেন, ভোটারের তথ্যভান্ডার কোনো প্রতিষ্ঠানকেই দেওয়া উচিত নয়। কারও সম্পর্কে কোনো প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে তারা নির্বাচন কমিশনে তথ্য চাইতে পারে।
সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে আছে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, জনসাধারণের নৈতিকতা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের প্রবেশ, তল্লাশি ও আটক হতে স্বীয় গৃহে নিরাপত্তা লাভের অধিকার থাকবে। চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার থাকবে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ১২ ধারায় রয়েছে, একজন ব্যক্তি কখনোই অন্য ব্যক্তির গোপনীয়তা, পারিবারিক, বাসস্থান বা যোগাযোগ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এ ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার সবার আছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ফান্ডামেন্টাল ফ্রিডম’-এর ৮ ধারায় আছে, প্রত্যেক মানুষ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবন সুরক্ষিত রাখার অধিকার রাখে। সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। তবে উন্নয়ন, অপরাধ দমন, জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির ওই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে।
বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, জার্মানি ও ফ্রান্সে জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রচলন থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে নেই। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ২৮ জানুয়ারি ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তা দিবস পালনের জন্য ২০০৯ সালে আইন পাস হয়। কানাডায় ব্যক্তির তথ্যের সুরক্ষা আইন আছে। অস্ট্রেলিয়ার আইনে ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা সংকুচিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানি, ফ্রান্স, গ্রিসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ২০০৯ সালের শুরুতে উড়ো চিঠির অভিযোগের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের একজন সাংসদ বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক কি না, তা যাচাইয়ে কমিশন কানাডা সরকারের কাছে তথ্য চায়। জবাবে কানাডা জানায়, তাদের আইনে (প্রাইভেসি অ্যাক্ট) ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাঁর কোনো তথ্য দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে ভোটারদের তথ্য সুরক্ষিত কি না, জানতে চাইলে এম সাখাওয়াত বলেন, সংগ্রহ করা সব তথ্য দ্বিতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্রে যেসব তথ্য থাকবে, যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তারা শুধু সেসব তথ্য দেখতে পাবে।
কমিশন আগামী মাস (মার্চ) থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করবে। সূত্র জানায়, ভূমি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে কমিশন এবার ভোটারদের কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য নতুন তথ্য ফরমও তৈরি করেছে। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে: মাতা-পিতা এবং স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং ভোটারের জন্মনিবন্ধন নম্বর। বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে কমিশন ভোটার তালিকা আইন ও বিধিতে সংশোধনী আনতে খসড়াও তৈরি করেছে।
সূত্র জানায়, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কমিশন বিদ্যমান ভোটার তালিকা আইন এবং সংশোধিত খসড়া বিশ্বব্যাংককে পাঠায়। বিশ্বব্যাংক সেগুলো পর্যালোচনা করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কমিশনে মতামত দেয়। মতামতে বলা হয়, বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত আইন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এতে নাগরিকের নিরাপত্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ আইনে নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় সংগ্রহের বিধানও রয়েছে। সুতরাং আইন ও বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী না আনলে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে না।
সদ্যবিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন এ নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনে বৈঠক করেন। সূত্র জানায়, বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা হয়নি।
জানতে চাইলে এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক কিছু শর্ত দিয়েছে। তাদের সব শর্ত মানা সম্ভব নয়। ইসিকেও কিছু ছাড় দিতে হবে। আমরা আপাতত এই নীতিতে আছি।’
কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, কমিশন ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করলেও তা সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। ১৯৭২ সাল থেকে সংবিধানে নির্দেশনা থাকলেও নাগরিকের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এখনো আইন হয়নি। বরং ২০০৬ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধন করে নাগরিকের টেলিফোনে আড়িপাতা ও ই-মেইলে নজরদারির ক্ষমতা নিরাপত্তা সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কমিশনের সঙ্গে যথাক্রমে ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংক কেবল ডেটাবেইসে থাকা ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখ করা তথ্য যাচাই করতে পারবে। কমিশন সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার মতে, ভোটারদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত না করেই কমিশন এ চুক্তি করেছে। মুঠোফোন অপারেটররা চাইলে তাদেরও তথ্যভান্ডার সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের জন্য যে আইন রয়েছে, তা সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সুরক্ষার জন্য সংবিধানের আলোকে আইন করতে হবে। কোনোভাবেই ব্যক্তির তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সরবরাহ করা যাবে না। এতে নাগরিকের নিরাপত্তা এবং তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হবে। তিনি বলেন, ভোটারের তথ্যভান্ডার কোনো প্রতিষ্ঠানকেই দেওয়া উচিত নয়। কারও সম্পর্কে কোনো প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে তারা নির্বাচন কমিশনে তথ্য চাইতে পারে।
সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে আছে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, জনসাধারণের নৈতিকতা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের প্রবেশ, তল্লাশি ও আটক হতে স্বীয় গৃহে নিরাপত্তা লাভের অধিকার থাকবে। চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার থাকবে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ১২ ধারায় রয়েছে, একজন ব্যক্তি কখনোই অন্য ব্যক্তির গোপনীয়তা, পারিবারিক, বাসস্থান বা যোগাযোগ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এ ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার সবার আছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ফান্ডামেন্টাল ফ্রিডম’-এর ৮ ধারায় আছে, প্রত্যেক মানুষ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবন সুরক্ষিত রাখার অধিকার রাখে। সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। তবে উন্নয়ন, অপরাধ দমন, জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির ওই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে।
বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, জার্মানি ও ফ্রান্সে জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রচলন থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে নেই। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ২৮ জানুয়ারি ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তা দিবস পালনের জন্য ২০০৯ সালে আইন পাস হয়। কানাডায় ব্যক্তির তথ্যের সুরক্ষা আইন আছে। অস্ট্রেলিয়ার আইনে ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা সংকুচিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানি, ফ্রান্স, গ্রিসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ২০০৯ সালের শুরুতে উড়ো চিঠির অভিযোগের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের একজন সাংসদ বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক কি না, তা যাচাইয়ে কমিশন কানাডা সরকারের কাছে তথ্য চায়। জবাবে কানাডা জানায়, তাদের আইনে (প্রাইভেসি অ্যাক্ট) ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাঁর কোনো তথ্য দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে ভোটারদের তথ্য সুরক্ষিত কি না, জানতে চাইলে এম সাখাওয়াত বলেন, সংগ্রহ করা সব তথ্য দ্বিতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্রে যেসব তথ্য থাকবে, যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তারা শুধু সেসব তথ্য দেখতে পাবে।
No comments