দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন-পুলিশ সদস্যদের বাড়াবাড়ি
‘অনেকগুলো গাড়ি আটকের সময় ওই দুই ছেলেকেও আটক করা হয়। থানায় আনার পর ছেলেটি পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।’ রাজধানীর গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলমের বক্তব্য এটি। বলেছেন প্রথম আলোর প্রতিবেদককে। আটক দুই ছেলের একজন রাকিব; ওসি শাহ আলম বলেছেন, গত শুক্রবার গুলশান থানায় রাকিবের ওপর পুলিশের ‘নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।’
পুলিশ কাউকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে সেই ব্যক্তি থানার মধ্যে পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে পারেন—এমন ঘটনা কখনো ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। যেকোনো আটক ব্যক্তির জন্য থানা একটি ভীতিকর স্থান। মাত্র ১৯ বছরের তরুণ রাকিব থানার ভেতর সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, কিন্তু সে কারণে পুলিশের সদস্যরা তাঁর ওপর নির্যাতন চালাননি—ওসি শাহ আলমের এ দুটো দাবিই অসত্য বলে মনে হয়। কোনো পুলিশ কর্মকর্তার এমন অসত্য ভাষণ করা উচিত নয়। তাতে পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আরও কমে যায়।
রাকিব বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জোহরা তাজউদ্দীনের নাতি এবং বর্তমান সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগনে—এসব সত্য আর উল্লেখ না করেই প্রশ্ন তোলা যায়, পুলিশের ওই সদস্যরা কি ভুলে গেছেন যে কোনো কারণেই কোনো ব্যক্তিকে প্রহার করা, আটকে রেখে নির্যাতন করার অধিকার তাঁদের নেই? নাকি তাঁরা মনে করেন, কথায় কথায় বলপ্রয়োগই তাঁদের স্বাভাবিক কর্মপদ্ধতি?
এমন খ্যাতিমান ও প্রভাবসম্পন্ন একটি পরিবারের সন্তানও যদি পুলিশের হাতে এভাবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে একদম সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী হবে?—এমন প্রশ্ন রাকিবের মা তাজউদ্দীন-তনয়া সিমিন হোসেন রিমি এবং অন্য অনেকেই তুলেছেন। এটি একটি সর্বজনীন উদ্বেগময় প্রশ্ন।
পুলিশ সদস্যদের এই বাড়াবাড়ির ঘটনাটি স্বাভাবিকভাবেই ত্বরিত ও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গুলশান থানার দুই উপপরিদর্শককে (এসআই) দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে; হাইকোর্ট এ বিষয়ে গুলশান থানা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের উদ্দেশে রুল জারি করেছেন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং এমন দৃষ্টান্ত একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাতির ক্ষেত্রেই শুধু নয়, সব সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে হবে।
রাকিব বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জোহরা তাজউদ্দীনের নাতি এবং বর্তমান সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগনে—এসব সত্য আর উল্লেখ না করেই প্রশ্ন তোলা যায়, পুলিশের ওই সদস্যরা কি ভুলে গেছেন যে কোনো কারণেই কোনো ব্যক্তিকে প্রহার করা, আটকে রেখে নির্যাতন করার অধিকার তাঁদের নেই? নাকি তাঁরা মনে করেন, কথায় কথায় বলপ্রয়োগই তাঁদের স্বাভাবিক কর্মপদ্ধতি?
এমন খ্যাতিমান ও প্রভাবসম্পন্ন একটি পরিবারের সন্তানও যদি পুলিশের হাতে এভাবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে একদম সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী হবে?—এমন প্রশ্ন রাকিবের মা তাজউদ্দীন-তনয়া সিমিন হোসেন রিমি এবং অন্য অনেকেই তুলেছেন। এটি একটি সর্বজনীন উদ্বেগময় প্রশ্ন।
পুলিশ সদস্যদের এই বাড়াবাড়ির ঘটনাটি স্বাভাবিকভাবেই ত্বরিত ও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গুলশান থানার দুই উপপরিদর্শককে (এসআই) দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে; হাইকোর্ট এ বিষয়ে গুলশান থানা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের উদ্দেশে রুল জারি করেছেন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং এমন দৃষ্টান্ত একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাতির ক্ষেত্রেই শুধু নয়, সব সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে হবে।
No comments