শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি -নিশ্চিত করা হোক শিক্ষার মান
শিক্ষা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশে এখনো সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষাকে সবার কাছে পেঁৗছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আবার শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। শিক্ষাক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ফারাকটাও বেশ স্পষ্ট। আমাদের দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি নয়। আবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি অনুদানও পায় না।
এমন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলোকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়। এই সরকারি সহায়তা পাওয়ার জন্য এমপিওভুক্ত হতে হয়। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেড় সহস্রাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন এমপিওভুক্তি বন্ধ ছিল। ফলে সরকারের সহায়তা থেকে বঞ্চিত ছিল অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত বছর এমপিওভুক্তির পর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বস্তি পেয়েছিল। এমপিওভুক্তি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেয়। আর এ কারণেই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওনির্ভর।
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে স্থানীয় রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর। রাজনৈতিক কৃপাদৃষ্টি থাকলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়ে যায়। আবার অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত হয়। এর অনেক উদাহরণ আছে। গত বছর এমপিওভুক্তির পর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। একটি যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে না পারলে ওই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা দেখা দেয়। ওই হতাশার প্রভাব পড়ে শ্রেণীকক্ষে। এভাবেও প্রশ্নবিদ্ধ হয় শিক্ষার মান। বঞ্চিত হয় শিক্ষার্থীরা। আশার কথা, সরকার এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে এমপিও আইন এবং শিক্ষা আইন করতে যাচ্ছে।
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সেই শর্ত পূরণ করছে কি না, তা সরকারি নজরদারিতে থাকবে। পরপর চার বছর এই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ধাপে ধাপে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও কেটে নেওয়া হবে। শিক্ষা আইন এবং এমপিও আইন করাটাও যৌক্তিক এ কারণে যে একটি যোগ্য প্রতিষ্ঠান যেন সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয়।
উপযুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করলে তা সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে। এমনিতেই আমাদের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা আজকের দিনের বিবেচনায় স্বল্প বেতনভোগী। বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কমতির কারণেই অনেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান না। আবার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পেশা শুরু করলেও অনেককে ঝরে যেতে দেখা যায়। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণেও অনেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিতে চান না। অনেকে এটাকে সাময়িক বা অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য গ্রহণ করেন। আর্থিক সংগতিসম্পন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমন সমস্যায় পড়তে হয় না। আর্থিক দিকটি নিরাপদ থাকলে একজন শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে অনেক বেশি মনোনিবেশও করতে পারেন।
নতুন এমপিওভুক্তির জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সুপারিশ করবেন। কিন্তু যোগ্য প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত হবে_এটাই আশা করব আমরা। এমপিওভুক্তি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংগতি যেমন নিশ্চিত করবে, তেমনি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষার মান। তাহলেই কেবল এ দেশে শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব।
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে স্থানীয় রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর। রাজনৈতিক কৃপাদৃষ্টি থাকলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়ে যায়। আবার অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত হয়। এর অনেক উদাহরণ আছে। গত বছর এমপিওভুক্তির পর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। একটি যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে না পারলে ওই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা দেখা দেয়। ওই হতাশার প্রভাব পড়ে শ্রেণীকক্ষে। এভাবেও প্রশ্নবিদ্ধ হয় শিক্ষার মান। বঞ্চিত হয় শিক্ষার্থীরা। আশার কথা, সরকার এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে এমপিও আইন এবং শিক্ষা আইন করতে যাচ্ছে।
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সেই শর্ত পূরণ করছে কি না, তা সরকারি নজরদারিতে থাকবে। পরপর চার বছর এই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ধাপে ধাপে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও কেটে নেওয়া হবে। শিক্ষা আইন এবং এমপিও আইন করাটাও যৌক্তিক এ কারণে যে একটি যোগ্য প্রতিষ্ঠান যেন সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয়।
উপযুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করলে তা সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে। এমনিতেই আমাদের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা আজকের দিনের বিবেচনায় স্বল্প বেতনভোগী। বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কমতির কারণেই অনেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান না। আবার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পেশা শুরু করলেও অনেককে ঝরে যেতে দেখা যায়। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণেও অনেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিতে চান না। অনেকে এটাকে সাময়িক বা অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য গ্রহণ করেন। আর্থিক সংগতিসম্পন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমন সমস্যায় পড়তে হয় না। আর্থিক দিকটি নিরাপদ থাকলে একজন শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে অনেক বেশি মনোনিবেশও করতে পারেন।
নতুন এমপিওভুক্তির জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সুপারিশ করবেন। কিন্তু যোগ্য প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত হবে_এটাই আশা করব আমরা। এমপিওভুক্তি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংগতি যেমন নিশ্চিত করবে, তেমনি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষার মান। তাহলেই কেবল এ দেশে শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব।
No comments