পূর্ব জাপানে ভূমিকম্প-ধকল কাটেনি কৃষি ও পর্যটন খাতের by রাহীদ এজাজ
‘সুনামির তাণ্ডব দাদাকে কেড়ে নিয়েছে। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে আমাদের ঘরবাড়ি। তার পরও ব্যবসা বাড়িয়ে এ কারখানা গত সেপ্টেম্বরে চালু করেছি। এখানকার লোকজনের কর্মসংস্থানের কথা ভাবছি। কাজেই ধ্বংসস্তূপ থেকে ওনাগাওয়া শহর খুব শিগগিরই যে জেগে উঠবে, সে ভরসা আমার আছে।’ বললেন মাসাহি তাকামাশি।
ভূমিকম্প আর সুনামির তাণ্ডব থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ের কথাই শোনালেন মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবসায় জড়িত ৩০ পেরোনো ওই যুবক। গতকাল রোববার ওনাগাওয়া শহরের সমুদ্র উপকূলবর্তী তাঁর নতুন কারখানায় আলাপের সময় ভবিষ্যতের ইতিবাচক ছবিই আঁকলেন তিনি।
তাকামাশি জানালেন, ২০১১ সালের ৩ মার্চ অন্যান্য দিনের মতো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ খবর এল সুনামির পূর্বাভাসের। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিলেন প্রতিষ্ঠানের ১২৫ কর্মীকে। কাছে পাহাড় থাকায় সুনামির তাণ্ডব থেকে বেঁচে যায় কারখানাটি। কিন্তু রক্ষা পায়নি নিজের বাড়িঘর। হারালেন দাদাকেও। সামুদ্রিক মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাকামাশা অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম কর্ণধার জানালেন, সুনামির আগে তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল ১২০। ওই দুর্যোগের পর তা কমে হয় ৯০। যদিও এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০। নতুন কর্মীদের ৫০ জনের বেশি সুনামি-দুর্গত। তবে কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের কর্মীসংখ্যা ৮০০-তে নেওয়ার পরিকল্পনা তাকামাশির।
ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে কাজটি করছেন কি না, জানতে চাইলে তাকামাশির উত্তর, ‘ব্যবসা বাড়ানোর চেয়ে আমার বড় উদ্দেশ্য, কানাগাওয়া শহরে প্রাণ সঞ্চার করা, লোকজনের শহর ছেড়ে চলে যাওয়া বন্ধ করা।’
ওনাগাওয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকায় তেজস্ক্রিয়ার আতঙ্ক আছে এ শহরকে নিয়েও। তাই পণ্য বিপণনে সমস্যা হচ্ছে। জাপানের ক্রেতাদের কাছে সমাদৃত এ প্রতিষ্ঠানটি এ নিয়ে সংকটে রয়েছে। যদিও ভূমিকম্প আর সুনামিতে বিস্ফোরণ ঘটেনি এ শহরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। তা ছাড়া নিয়মিত তেজস্ক্রিয়া পরীক্ষা করা হয় প্রতিষ্ঠানটিতে।
এ পরিস্থিতিতে তাকামাশির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ও টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির (টেপকো) দিকে। তাঁর যুক্তি, ‘এরা কেউই লোকজনের আতঙ্ক পুরোপুরি দূর করতে পারছে না। অন্যদিকে শহর পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনে সরকারের দীর্ঘসূত্রিতা হতাশাব্যঞ্জক। সুনামি ঠেকাতে মাটির স্তর দুই স্তর বাড়ানোর জন্য লোকজনকে তাদের বাড়িঘর পুনর্বাসন করতে দেওয়া হচ্ছে না। বছরের পর বছর যদি লোকজন অস্থায়ী বাড়িঘরে থাকতে বাধ্য হয়, তবে তো তারা শহর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাবে।’
গত বছরের ৩ মার্চের ভূমিকম্পে জাপানে প্রায় ১৬ হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে মিয়াগি এলাকায় প্রাণহানির সংখ্যা সাড়ে নয় হাজার। আর এ অঞ্চলের সমুদ্র-উপকূলবর্তী শহর ওনাগাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
গতকাল সেনদাই শহর থেকে ওনাগাওয়া যাওয়ার পথে চোখে পড়ে তাণ্ডবের চিহ্ন। বিশেষ করে সমুদ্র-উপকূলের পাশ ঘেঁষে যাওয়ার সময়। অধিকাংশ বাড়িঘর পরিত্যক্ত। বছর খানেক আগে যেটা যে অবস্থায় ছিল, পড়ে আছে সেভাবেই। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি আবর্জনা আর গাড়ির স্তূপ এখনো চোখে পড়ে। সুনামির তাণ্ডবের চিহ্ন দেখা গেছে সেনদাই থেকে ওনাগাওয়া যাওয়ার পথে ইশিনোকি শহরেও।
গত শনিবার সেনদাই থেকে ইয়ামামোতে আর মাতসুশিমা যাওয়ার পথে দেখা গেছে আবাদি জমিতে পড়ে আছে স্পিডবোট আর নানারকম আবর্জনা। জমি আবাদের উপযুক্ত না হওয়ায় লোকজন বিকল্প পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরুর চেষ্টা করছে। এসব শহর ঘুরে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ভূমিকম্পের পর পর্যটকের সংখ্যা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
তাকামাশি জানালেন, ২০১১ সালের ৩ মার্চ অন্যান্য দিনের মতো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ খবর এল সুনামির পূর্বাভাসের। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিলেন প্রতিষ্ঠানের ১২৫ কর্মীকে। কাছে পাহাড় থাকায় সুনামির তাণ্ডব থেকে বেঁচে যায় কারখানাটি। কিন্তু রক্ষা পায়নি নিজের বাড়িঘর। হারালেন দাদাকেও। সামুদ্রিক মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাকামাশা অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম কর্ণধার জানালেন, সুনামির আগে তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল ১২০। ওই দুর্যোগের পর তা কমে হয় ৯০। যদিও এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০। নতুন কর্মীদের ৫০ জনের বেশি সুনামি-দুর্গত। তবে কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের কর্মীসংখ্যা ৮০০-তে নেওয়ার পরিকল্পনা তাকামাশির।
ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে কাজটি করছেন কি না, জানতে চাইলে তাকামাশির উত্তর, ‘ব্যবসা বাড়ানোর চেয়ে আমার বড় উদ্দেশ্য, কানাগাওয়া শহরে প্রাণ সঞ্চার করা, লোকজনের শহর ছেড়ে চলে যাওয়া বন্ধ করা।’
ওনাগাওয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকায় তেজস্ক্রিয়ার আতঙ্ক আছে এ শহরকে নিয়েও। তাই পণ্য বিপণনে সমস্যা হচ্ছে। জাপানের ক্রেতাদের কাছে সমাদৃত এ প্রতিষ্ঠানটি এ নিয়ে সংকটে রয়েছে। যদিও ভূমিকম্প আর সুনামিতে বিস্ফোরণ ঘটেনি এ শহরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। তা ছাড়া নিয়মিত তেজস্ক্রিয়া পরীক্ষা করা হয় প্রতিষ্ঠানটিতে।
এ পরিস্থিতিতে তাকামাশির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ও টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির (টেপকো) দিকে। তাঁর যুক্তি, ‘এরা কেউই লোকজনের আতঙ্ক পুরোপুরি দূর করতে পারছে না। অন্যদিকে শহর পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনে সরকারের দীর্ঘসূত্রিতা হতাশাব্যঞ্জক। সুনামি ঠেকাতে মাটির স্তর দুই স্তর বাড়ানোর জন্য লোকজনকে তাদের বাড়িঘর পুনর্বাসন করতে দেওয়া হচ্ছে না। বছরের পর বছর যদি লোকজন অস্থায়ী বাড়িঘরে থাকতে বাধ্য হয়, তবে তো তারা শহর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাবে।’
গত বছরের ৩ মার্চের ভূমিকম্পে জাপানে প্রায় ১৬ হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে মিয়াগি এলাকায় প্রাণহানির সংখ্যা সাড়ে নয় হাজার। আর এ অঞ্চলের সমুদ্র-উপকূলবর্তী শহর ওনাগাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
গতকাল সেনদাই শহর থেকে ওনাগাওয়া যাওয়ার পথে চোখে পড়ে তাণ্ডবের চিহ্ন। বিশেষ করে সমুদ্র-উপকূলের পাশ ঘেঁষে যাওয়ার সময়। অধিকাংশ বাড়িঘর পরিত্যক্ত। বছর খানেক আগে যেটা যে অবস্থায় ছিল, পড়ে আছে সেভাবেই। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি আবর্জনা আর গাড়ির স্তূপ এখনো চোখে পড়ে। সুনামির তাণ্ডবের চিহ্ন দেখা গেছে সেনদাই থেকে ওনাগাওয়া যাওয়ার পথে ইশিনোকি শহরেও।
গত শনিবার সেনদাই থেকে ইয়ামামোতে আর মাতসুশিমা যাওয়ার পথে দেখা গেছে আবাদি জমিতে পড়ে আছে স্পিডবোট আর নানারকম আবর্জনা। জমি আবাদের উপযুক্ত না হওয়ায় লোকজন বিকল্প পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরুর চেষ্টা করছে। এসব শহর ঘুরে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ভূমিকম্পের পর পর্যটকের সংখ্যা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
No comments