আপিল বিভাগের রায়ের প্রতিফলন চাই-বিচারক নিয়োগে অস্বচ্ছতা
সুপ্রিম কোর্টে ছয়জন অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়া দেখে প্রতীয়মান হয় যে এখানে আগের মতোই অস্বচ্ছতা রয়ে গেছে। অথচ ১০ জন বিচারকের আলোচিত মামলার রায়ে উচ্চ আদালতের বিচারক বাছাই থেকে শুরু করে নিয়োগের প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বসম্মত রায়ে বিচারক নিয়োগের যে নীতিমালা চূড়ান্ত করেছিলেন, তার বাস্তবায়ন না ঘটা দুঃখজনক। সংবিধান অনুযায়ী আপিল বিভাগের রায় দেশের জাতীয় সংসদে পাস করা আইনের মতোই সমমর্যাদাসম্পন্ন ও কার্যকর বটে।
উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে নানা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমরা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নামে একটি অধ্যাদেশ পেয়েছিলাম। ওই অধ্যাদেশ ছিল বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে অনুসৃত রীতিনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। দলমত-নির্বিশেষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আইনবিদেরা ওই অধ্যাদেশকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আশা করা হয়েছিল, ওই অধ্যাদেশের ত্রুটি শুধরে অধিকতর গ্রহণযোগ্য একটি আইন প্রণীত হবে। কিন্তু তা হয়নি।
জোট সরকারের সময় দলীয় বিবেচনায় ১০ জন অতিরিক্ত বিচারককে স্থায়ী না করার সিদ্ধান্তের বৈধতা যৌক্তিকভাবেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। তাঁদের স্থায়ীকরণে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির সুপারিশ সত্ত্বেও নির্বাহী বিভাগ তা অগ্রাহ্য করে। প্রধান বিচারপতির প্রতিষ্ঠানকে এভাবে খাটো করা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী। আমরা মনে করি, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতির মতামত অগ্রাহ্য করা যাবে না।
২০০৯ সালের আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছিল, প্রধান বিচারপতির পরামর্শ মানে ব্যক্তিপ্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তিনি তাঁর মতামত গঠনে জ্যেষ্ঠ সহকর্মী ছাড়াও বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিচারক নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ প্রেরণ করবেন। আর সে ধরনের প্রতিনিধিত্বশীল ও স্বচ্ছ মতামতই নির্বাহী বিভাগের পছন্দ-অপছন্দের ঊর্ধ্বে প্রাধান্য পাবে। কিন্তু এখন যে প্রক্রিয়ায় বিচারপতি নিয়োগ চলছে, তাতে সরকারি দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টিভঙ্গির দৃশ্যমান কোনো তারতম্য লক্ষ করা যায় না।
বিচারক নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে বিএনপি-সমর্থিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ছয়জন অতিরিক্ত বিচারককে সংবর্ধনা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বার সভাপতি বলেছেন, আপিল বিভাগের নীতিমালা অনুসৃত না হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিচারক নিয়োগে বিএনপিরও রয়েছে এক কলুষিত অতীত। এ জন্য তাদের অনুশোচনা নেই। সে কারণে দলগতভাবে তারা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর চাপ সৃষ্টি করছে না। তাই আপিল বিভাগের ওই রায় বাস্তবায়নে বার ও বেঞ্চকে সক্রিয় হতে হবে। বারের উচিত হবে তাদের প্রথাগত ‘জ্বালাও-পোড়াও’ মনোভাব পরিহার করে সুপ্রিম কোর্ট নামক প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় এগিয়ে আসা। বিষয়টি দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা যেমন ঠিক নয়, তেমনি বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় ২০০৯ সালের আপিল বিভাগের রায়ের যথাযথ প্রতিফলন থাকা বাঞ্ছনীয়।
উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে নানা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমরা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নামে একটি অধ্যাদেশ পেয়েছিলাম। ওই অধ্যাদেশ ছিল বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে অনুসৃত রীতিনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। দলমত-নির্বিশেষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আইনবিদেরা ওই অধ্যাদেশকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আশা করা হয়েছিল, ওই অধ্যাদেশের ত্রুটি শুধরে অধিকতর গ্রহণযোগ্য একটি আইন প্রণীত হবে। কিন্তু তা হয়নি।
জোট সরকারের সময় দলীয় বিবেচনায় ১০ জন অতিরিক্ত বিচারককে স্থায়ী না করার সিদ্ধান্তের বৈধতা যৌক্তিকভাবেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। তাঁদের স্থায়ীকরণে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির সুপারিশ সত্ত্বেও নির্বাহী বিভাগ তা অগ্রাহ্য করে। প্রধান বিচারপতির প্রতিষ্ঠানকে এভাবে খাটো করা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী। আমরা মনে করি, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতির মতামত অগ্রাহ্য করা যাবে না।
২০০৯ সালের আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছিল, প্রধান বিচারপতির পরামর্শ মানে ব্যক্তিপ্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তিনি তাঁর মতামত গঠনে জ্যেষ্ঠ সহকর্মী ছাড়াও বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিচারক নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ প্রেরণ করবেন। আর সে ধরনের প্রতিনিধিত্বশীল ও স্বচ্ছ মতামতই নির্বাহী বিভাগের পছন্দ-অপছন্দের ঊর্ধ্বে প্রাধান্য পাবে। কিন্তু এখন যে প্রক্রিয়ায় বিচারপতি নিয়োগ চলছে, তাতে সরকারি দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টিভঙ্গির দৃশ্যমান কোনো তারতম্য লক্ষ করা যায় না।
বিচারক নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে বিএনপি-সমর্থিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ছয়জন অতিরিক্ত বিচারককে সংবর্ধনা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বার সভাপতি বলেছেন, আপিল বিভাগের নীতিমালা অনুসৃত না হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিচারক নিয়োগে বিএনপিরও রয়েছে এক কলুষিত অতীত। এ জন্য তাদের অনুশোচনা নেই। সে কারণে দলগতভাবে তারা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর চাপ সৃষ্টি করছে না। তাই আপিল বিভাগের ওই রায় বাস্তবায়নে বার ও বেঞ্চকে সক্রিয় হতে হবে। বারের উচিত হবে তাদের প্রথাগত ‘জ্বালাও-পোড়াও’ মনোভাব পরিহার করে সুপ্রিম কোর্ট নামক প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় এগিয়ে আসা। বিষয়টি দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা যেমন ঠিক নয়, তেমনি বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় ২০০৯ সালের আপিল বিভাগের রায়ের যথাযথ প্রতিফলন থাকা বাঞ্ছনীয়।
No comments