দুর্গাপুরে গাছ কাটা চলছেই by মো. কামরুজ্জামান
হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ অমান্য করে গতকাল বৃহস্পতিবারও নেত্রকোনার দুর্গাপুরের শতবর্ষী রেইনট্রি কাটা হয়েছে। গতকাল একটি গাছ সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। আরেকটি গাছ কাটা চলছে। তৃতীয় একটি গাছের গোড়ার মাটি সরানো হয়েছে।
দুর্গাপুর-ঝাঞ্জাইল সড়কের পাশে ২৬টি গাছ ১০০ বছরের পুরোনো। স্থানীয় গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন (জিবিসি) কর্তৃপক্ষ গাছ কাটা বন্ধ করা এবং জমির মালিকানা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করলে গত মঙ্গলবার আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেন।
এই সড়কের ৬২টি গাছ (২৬টি শতবর্ষী) দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছে জেলা পরিষদ। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাছগুলো কিনলেও এর সঙ্গে দুর্গাপুরের সাংসদ মোশতাক আহমেদ ওরফে রুহী সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে জানার জন্য গতকালও সাংসদের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল হোসেনের কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। গাছ কাটা বন্ধে জেলা প্রশাসনের চিঠি তাঁর কার্যালয়ে পৌঁছেছে। তবে ফোনে চেষ্টা করে গতকালও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
পরে সওজ জেলার জারিয়া শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী সাঈদ উদ্দিন জানান, শ্যামগঞ্জ-দুর্গাপুর ৩৭ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। পাকা ১২ ফুট প্রশস্ত সড়কটি ১৮ ফুটে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসন জমির মালিকানা আমাদের নামে হস্তান্তর না করলেও আমরা সড়কের কাজ করছি। আর গাছ কাটার টেন্ডার দিয়েছে জেলা পরিষদ।’
এই উপসহকারী প্রকৌশলীর মতে, গাছ না কেটে সড়কের ওই অংশটুক পশ্চিম পাশে সম্প্রসারণ করা যেত। কিন্তু তাতে সোমেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর মুখে রাস্তায় বাঁক তৈরি হবে। এ ছাড়া মাটি ভরাট বাবদ প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাবে।
মিশনের সভাপতি সমরেন্দ্র রিছিল বলেন, ‘সড়ক প্রশস্ত হোক এমনটা অবশ্যই চাই। তবে গাছ না কেটে সড়কের পশ্চিম পাশের আমাদের জমিতেও এ সম্প্রসারণ হতে পারে। আমরা শুধু শতবর্ষী গাছগুলো বাঁচাতে চাই।’
গাছ কাটা স্থগিত রাখার জন্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. আফতাব আলীর স্বাক্ষরিত চিঠি গতকাল জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি বা অন্য কোনো দপ্তর আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ঠিকাদারকেও লোক মারফত চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঠিকাদার মেসার্স রিজভী কনস্ট্রাকশনের মালিক হোসেন আহাম্মেদ ওরফে পান্না গত সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমি কোনো চিঠি পাইনি। তাই গাছ কাটা হচ্ছে।’
জরুরি এই চিঠিটি জেলা প্রশাসন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে পাঠিয়েছে রেজিস্ট্রি ডাকে। শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকায় রোববার এ চিঠি তাঁদের হাতে পৌঁছাতে পারে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গতকাল দুই প্রকৌশলীসহ আটপাড়া উপজেলার তেলেগাতি ডাকবাংলো পরিদর্শনে গেছেন। তাঁর মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। ফলে দুর্গাপুরের ইউএনও এবং ওসিকে ফ্যাক্স না করার কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জরুরি চিঠি ফ্যাক্সে পাঠালে ভালো হতো। কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না। তবু আমি ইউএনওকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
দুর্গাপুরের ইউএনও কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘নায়েবের মাধ্যমে গাছ কাটা বন্ধ করতে খবর পাঠিয়েছি। কিন্তু নায়েবের তো বন্দুক নেই। তাঁকে তারা দাম দেয়নি। আমি থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।’
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সব জরুরি বার্তা ফ্যাক্সে পেলেও এ ব্যাপারে কোনো বার্তা পাইনি। জেলা পরিষদ সহযোগিতা না চাওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো পদক্ষেপ নেব না।’
এই সড়কের ৬২টি গাছ (২৬টি শতবর্ষী) দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছে জেলা পরিষদ। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাছগুলো কিনলেও এর সঙ্গে দুর্গাপুরের সাংসদ মোশতাক আহমেদ ওরফে রুহী সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে জানার জন্য গতকালও সাংসদের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল হোসেনের কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। গাছ কাটা বন্ধে জেলা প্রশাসনের চিঠি তাঁর কার্যালয়ে পৌঁছেছে। তবে ফোনে চেষ্টা করে গতকালও তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
পরে সওজ জেলার জারিয়া শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী সাঈদ উদ্দিন জানান, শ্যামগঞ্জ-দুর্গাপুর ৩৭ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। পাকা ১২ ফুট প্রশস্ত সড়কটি ১৮ ফুটে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসন জমির মালিকানা আমাদের নামে হস্তান্তর না করলেও আমরা সড়কের কাজ করছি। আর গাছ কাটার টেন্ডার দিয়েছে জেলা পরিষদ।’
এই উপসহকারী প্রকৌশলীর মতে, গাছ না কেটে সড়কের ওই অংশটুক পশ্চিম পাশে সম্প্রসারণ করা যেত। কিন্তু তাতে সোমেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর মুখে রাস্তায় বাঁক তৈরি হবে। এ ছাড়া মাটি ভরাট বাবদ প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাবে।
মিশনের সভাপতি সমরেন্দ্র রিছিল বলেন, ‘সড়ক প্রশস্ত হোক এমনটা অবশ্যই চাই। তবে গাছ না কেটে সড়কের পশ্চিম পাশের আমাদের জমিতেও এ সম্প্রসারণ হতে পারে। আমরা শুধু শতবর্ষী গাছগুলো বাঁচাতে চাই।’
গাছ কাটা স্থগিত রাখার জন্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. আফতাব আলীর স্বাক্ষরিত চিঠি গতকাল জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি বা অন্য কোনো দপ্তর আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ঠিকাদারকেও লোক মারফত চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঠিকাদার মেসার্স রিজভী কনস্ট্রাকশনের মালিক হোসেন আহাম্মেদ ওরফে পান্না গত সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমি কোনো চিঠি পাইনি। তাই গাছ কাটা হচ্ছে।’
জরুরি এই চিঠিটি জেলা প্রশাসন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে পাঠিয়েছে রেজিস্ট্রি ডাকে। শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকায় রোববার এ চিঠি তাঁদের হাতে পৌঁছাতে পারে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গতকাল দুই প্রকৌশলীসহ আটপাড়া উপজেলার তেলেগাতি ডাকবাংলো পরিদর্শনে গেছেন। তাঁর মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। ফলে দুর্গাপুরের ইউএনও এবং ওসিকে ফ্যাক্স না করার কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জরুরি চিঠি ফ্যাক্সে পাঠালে ভালো হতো। কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না। তবু আমি ইউএনওকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
দুর্গাপুরের ইউএনও কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘নায়েবের মাধ্যমে গাছ কাটা বন্ধ করতে খবর পাঠিয়েছি। কিন্তু নায়েবের তো বন্দুক নেই। তাঁকে তারা দাম দেয়নি। আমি থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।’
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সব জরুরি বার্তা ফ্যাক্সে পেলেও এ ব্যাপারে কোনো বার্তা পাইনি। জেলা পরিষদ সহযোগিতা না চাওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো পদক্ষেপ নেব না।’
No comments