মানুষ কতটা নিরাপদ?-সাংবাদিক দম্পতি হত্যা
সমগ্র গণমাধ্যম মহলে শোকের ছায়া নেমেছে। শুধু এ জন্য নয় যে সাংবাদিক দম্পতিকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। সেই শোক তো আছেই। কিন্তু পরিস্থিতির কতটা অবনতি ঘটলে খুনিরা এভাবে ফ্ল্যাটের ভেতর দম্পতিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে নির্বিঘ্নে সরে যেতে পারে, সেটাই বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। এত থানা, এত পুলিশ, নিরাপত্তার নামে রাস্তার মোড়ে মোড়ে এত চেকপোস্ট তাহলে কিসের জন্য?
সাগর সরওয়ার (গোলাম মুস্তফা সরওয়ার) ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক। স্ত্রী মেহেরুন রুনি (মেহেরুন নাহার) ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। সাড়ে পাঁচ বছরের ছেলে মাহিন সরওয়ারকে (মেঘ) নিয়ে তাঁদের তিনজনের সংসার। আজ শিশু মাহিন রইল, নেই তার মা-বাবা। নৃশংস হত্যার বিভীষিকাময় স্মৃতি এই শিশুকে সারা জীবন তাড়া করে ফিরবে।
প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। খুনিরা লুকিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেনি, সেটা সম্ভবও নয়। বাইরের কে কখন কোন ফ্ল্যাটে ঢুকেছে, তার সব বিবরণ খাতায় লেখা থাকার কথা। সেই রাতে সাংবাদিক দম্পতির মুঠোফোনের যাবতীয় তথ্য থেকেও অনেক খবর জানা সম্ভব। তা ছাড়া কোনো খুনিই এমন নিখুঁতভাবে খুন করতে পারে না, যার কোনো চিহ্নই থাকবে না। এখন পুলিশের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে কত দ্রুত খুনিরা ধরা পড়বে।
এই খুন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কোনো ফ্ল্যাটের ভেতর ছুরি মেরে কাউকে হত্যা করা হতে পারে, পরিচিত জনের হাতে কেউ খুন হতে পারে। কিন্তু যারা খুন করে, তারা হয় ভাড়াটে খুনি, অথবা মাদক সেবনে অভ্যস্ত নেশাগ্রস্ত অপরাধী, নয়তো পাড়ার মাস্তান চক্রের সদস্য। পুলিশের খাতায় এদের প্রত্যেকের নাম থাকার কথা। কোথায় মাদকের ব্যবসা চলে, কোথায় ভড়াটে খুনিরা থাকে—এসব খবরও তাদের অজনা নয়। বস্তুত এদের খোঁজখবর রাখা ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাজ। পুলিশ যদি এদের ওপর নজরদারি চালায়, সব সময় তাদের পর্যবেক্ষণে রাখে, তাদের গতিবিধি যদি পুলিশের নখদর্পণে থাকে, তাহলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন নয়। এই দায়িত্ব পালনে গড়িমসি করা হলেই অপরাধী চক্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটে তখনই।
খুনিদের শুধু দ্রুত গ্রেপ্তার করাই যথেষ্ট নয়। তার দ্রুত বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বছরের পর বছর মামলা ঝুলিয়ে রাখলে অপরাধীরা আশকারা পায়, অপরাধ আরও দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে।
আমেরিকায় একটা জরুরি ফোন নম্বর আছে ৯১১। বাংলাদেশেও একটা জরুরি টেলিফোন নম্বর চালু করা হোক। নম্বরটা হতে পারে ২১। কেউ জীবনের ঝুঁকিতে পড়লে মুঠোফোনে ২১ টিপলেই যেন পুলিশ এসে হাজির হয়। আর সে অনুযায়ী পুলিশকে যথেষ্ট লোকবল, গাড়ি ও সাজসরঞ্জাম দিতে হবে।
যে সমাজ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেখানে আর কেউ নিরাপদ নয়।
প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। খুনিরা লুকিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেনি, সেটা সম্ভবও নয়। বাইরের কে কখন কোন ফ্ল্যাটে ঢুকেছে, তার সব বিবরণ খাতায় লেখা থাকার কথা। সেই রাতে সাংবাদিক দম্পতির মুঠোফোনের যাবতীয় তথ্য থেকেও অনেক খবর জানা সম্ভব। তা ছাড়া কোনো খুনিই এমন নিখুঁতভাবে খুন করতে পারে না, যার কোনো চিহ্নই থাকবে না। এখন পুলিশের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে কত দ্রুত খুনিরা ধরা পড়বে।
এই খুন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কোনো ফ্ল্যাটের ভেতর ছুরি মেরে কাউকে হত্যা করা হতে পারে, পরিচিত জনের হাতে কেউ খুন হতে পারে। কিন্তু যারা খুন করে, তারা হয় ভাড়াটে খুনি, অথবা মাদক সেবনে অভ্যস্ত নেশাগ্রস্ত অপরাধী, নয়তো পাড়ার মাস্তান চক্রের সদস্য। পুলিশের খাতায় এদের প্রত্যেকের নাম থাকার কথা। কোথায় মাদকের ব্যবসা চলে, কোথায় ভড়াটে খুনিরা থাকে—এসব খবরও তাদের অজনা নয়। বস্তুত এদের খোঁজখবর রাখা ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাজ। পুলিশ যদি এদের ওপর নজরদারি চালায়, সব সময় তাদের পর্যবেক্ষণে রাখে, তাদের গতিবিধি যদি পুলিশের নখদর্পণে থাকে, তাহলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন নয়। এই দায়িত্ব পালনে গড়িমসি করা হলেই অপরাধী চক্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটে তখনই।
খুনিদের শুধু দ্রুত গ্রেপ্তার করাই যথেষ্ট নয়। তার দ্রুত বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বছরের পর বছর মামলা ঝুলিয়ে রাখলে অপরাধীরা আশকারা পায়, অপরাধ আরও দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে।
আমেরিকায় একটা জরুরি ফোন নম্বর আছে ৯১১। বাংলাদেশেও একটা জরুরি টেলিফোন নম্বর চালু করা হোক। নম্বরটা হতে পারে ২১। কেউ জীবনের ঝুঁকিতে পড়লে মুঠোফোনে ২১ টিপলেই যেন পুলিশ এসে হাজির হয়। আর সে অনুযায়ী পুলিশকে যথেষ্ট লোকবল, গাড়ি ও সাজসরঞ্জাম দিতে হবে।
যে সমাজ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেখানে আর কেউ নিরাপদ নয়।
No comments