আমাদের আমলাতন্ত্রের জয় হোক!-বিশ্বভ্রমণের স্বপ্নের সমাধি ঘটবে স্বদেশেই?
দুনিয়ার এত দেশে গেলেন, সমস্যায় পড়লেন না, পড়লেন নিজের দেশে। আবদুস সাত্তার সালাউদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা, কানাডা থেকে শুরু করেছিলেন গাড়ি নিয়ে বিশ্বভ্রমণ। দেশের মাটি স্পর্শ না করলে একটি বিশ্বভ্রমণ কি পূর্ণতা পায়! আবদুস সাত্তার তা-ই করতে চেয়েছিলেন, আর এখানেই বড় ভুল করে বসেছেন তিনি! দেশে আসার পর এক বছরের বেশি সময় ধরে আটকে আছে তাঁর গাড়িতে চড়ে বিশ্বভ্রমণ।
বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র যে কী জিনিস, তা না জেনে তিনি যে ‘ভুল’ করেছেন, তা কি এমনই ভুল, যা প্রায়শ্চিত্তেরও অতীত?
আবদুস সাত্তার তাঁর গাড়িটি নিয়ে কানাডা থেকে সড়কপথে ভ্রমণে বের হন ২০০৯ সালের আগস্টে। ২২টি দেশ ঘুরে গত বছরের ২৯ মে বাংলাদেশে আসার আগে করাচি বন্দর থেকে তাঁর গাড়িটি জাহাজে তুলে দেন চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে। সেই গাড়ি নিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে আবার বের হবেন বাকি বিশ্বের উদ্দেশে—এই ছিল তাঁর পরিকল্পনা। গাড়িটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে ঠিকই, কিন্তু আটকে আছে সেখানেই, আজকের দিন পর্যন্ত। গত বছরের জুন থেকে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত হিসাব করলে এক বছর চার মাস। গাড়ির শুল্ক নিয়ে ঝামেলায় পড়েন তিনি। এখন বাংলাদেশ ঘোরা তো দূরে থাক, বাকি বিশ্বভ্রমণই এখন শিকেয় ওঠার দশা। গাড়িটি ছাড়াতে এ সময় তিনি কমলাপুর আইসিডির শুল্ক কর্মকর্তার দপ্তর, আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম শুল্ক কার্যালয় ও এনবিআর থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত ঘুরেছেন। কোনো কাজ হয়নি।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের একটিই কথা, গাড়ি নিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে হলে ‘কারনেট দ্য প্যাসেজ’ নামে একটি বিশেষ অনুমতি নিতে হয়, যা আবদুস সাত্তার নেননি। যদি ধরে নেওয়া হয় যে ভুল করেই তিনি এ কাজটি করেননি, এর কি কোনো প্রতিকার নেই? বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন বের হয়েছে, বিশ্বভ্রমণের গাড়িটি ছাড় করাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন, মানববন্ধন পর্যন্ত করেছেন। যে স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন বিশ্বভ্রমণ, তার সমাধি হতে চলেছে দেশের মাটিতে! ‘এ পরাজয় আমি মেনে নিতে পারছি না। এর চেয়ে ভালো, সরকার আমাকে গুলি করে মেরে ফেলুক। আমি এ মৃত্যু মেনে নেব।’ কতটা হতাশ হলে একজন স্বপ্ন দেখা লোকের মুখ থেকে এ কথা বের হয়!
সরকার এখন কী করবে?
আবদুস সাত্তার তাঁর গাড়িটি নিয়ে কানাডা থেকে সড়কপথে ভ্রমণে বের হন ২০০৯ সালের আগস্টে। ২২টি দেশ ঘুরে গত বছরের ২৯ মে বাংলাদেশে আসার আগে করাচি বন্দর থেকে তাঁর গাড়িটি জাহাজে তুলে দেন চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে। সেই গাড়ি নিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে আবার বের হবেন বাকি বিশ্বের উদ্দেশে—এই ছিল তাঁর পরিকল্পনা। গাড়িটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে ঠিকই, কিন্তু আটকে আছে সেখানেই, আজকের দিন পর্যন্ত। গত বছরের জুন থেকে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত হিসাব করলে এক বছর চার মাস। গাড়ির শুল্ক নিয়ে ঝামেলায় পড়েন তিনি। এখন বাংলাদেশ ঘোরা তো দূরে থাক, বাকি বিশ্বভ্রমণই এখন শিকেয় ওঠার দশা। গাড়িটি ছাড়াতে এ সময় তিনি কমলাপুর আইসিডির শুল্ক কর্মকর্তার দপ্তর, আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম শুল্ক কার্যালয় ও এনবিআর থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত ঘুরেছেন। কোনো কাজ হয়নি।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের একটিই কথা, গাড়ি নিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে হলে ‘কারনেট দ্য প্যাসেজ’ নামে একটি বিশেষ অনুমতি নিতে হয়, যা আবদুস সাত্তার নেননি। যদি ধরে নেওয়া হয় যে ভুল করেই তিনি এ কাজটি করেননি, এর কি কোনো প্রতিকার নেই? বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন বের হয়েছে, বিশ্বভ্রমণের গাড়িটি ছাড় করাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন, মানববন্ধন পর্যন্ত করেছেন। যে স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন বিশ্বভ্রমণ, তার সমাধি হতে চলেছে দেশের মাটিতে! ‘এ পরাজয় আমি মেনে নিতে পারছি না। এর চেয়ে ভালো, সরকার আমাকে গুলি করে মেরে ফেলুক। আমি এ মৃত্যু মেনে নেব।’ কতটা হতাশ হলে একজন স্বপ্ন দেখা লোকের মুখ থেকে এ কথা বের হয়!
সরকার এখন কী করবে?
No comments