সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে: সন্তু
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা অভিযোগ করেছেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। সে কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা এখনো ভূমির আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘চাকমা জাতির ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন, রীতিনীতি ও প্রথাসমূহ গ্রন্থনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সন্তু লারমা এ অভিযোগ করেন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে অনেক আগে। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে আদিবাসীদের ব্যক্তিগত, প্রথাগত ও সমষ্টিগত ভূমি দখল করে বিলুপ্তির পথে ধাবিত করতে পাঁচ লাখের বেশি লোককে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন করা হয়েছিল।
সন্তু লারমা অভিযোগ করেন, পার্বত্যচুক্তি অনুযায়ী ভূমি ব্যবস্থাপনা পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় এর ব্যবস্থাপনাও হস্তান্তর করা হচ্ছে না। বিদ্যমান বাস্তবতা বুঝে ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি আদায়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শামীম ইমাম বলেন, কোনো জনগোষ্ঠীর রীতি-প্রথা লিখিত না থাকলে তা হারিয়ে যেতে পারে। আদালতে এর কোনো প্রমাণও উপস্থাপন করা যায় না এবং অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ তা জানতে পারে না। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সামাজিক আইনের গ্রন্থ প্রকাশনার জন্য মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মঙ্গল কুমার চাকমা। প্রধান আলোচক ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান গৌতম কুমার চাকমা ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা। সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বৃষকেতু চাকমা, তিন পার্বত্য জেলার সামাজিক নেতা, মৌজাপ্রধান, হেডম্যান ও গ্রামপ্রধান কারবারিসহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন।
সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে অনেক আগে। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে আদিবাসীদের ব্যক্তিগত, প্রথাগত ও সমষ্টিগত ভূমি দখল করে বিলুপ্তির পথে ধাবিত করতে পাঁচ লাখের বেশি লোককে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন করা হয়েছিল।
সন্তু লারমা অভিযোগ করেন, পার্বত্যচুক্তি অনুযায়ী ভূমি ব্যবস্থাপনা পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় এর ব্যবস্থাপনাও হস্তান্তর করা হচ্ছে না। বিদ্যমান বাস্তবতা বুঝে ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি আদায়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শামীম ইমাম বলেন, কোনো জনগোষ্ঠীর রীতি-প্রথা লিখিত না থাকলে তা হারিয়ে যেতে পারে। আদালতে এর কোনো প্রমাণও উপস্থাপন করা যায় না এবং অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ তা জানতে পারে না। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সামাজিক আইনের গ্রন্থ প্রকাশনার জন্য মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মঙ্গল কুমার চাকমা। প্রধান আলোচক ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান গৌতম কুমার চাকমা ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা। সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বৃষকেতু চাকমা, তিন পার্বত্য জেলার সামাজিক নেতা, মৌজাপ্রধান, হেডম্যান ও গ্রামপ্রধান কারবারিসহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন।
No comments